হে সেটা স্বাভাবিক,ভয়ের কিছু নেই অন্যান্য অঙ্গের চাইতে মুখের লোম বেশি চোখে পড়ে। অনেকক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদেরও মুখে বড় বড় লোম দেখা যায়, যা বেশ অস্বস্তিকর। থ্রেডিং, ওয়াক্সিংয়ের মাধ্যমে লোম তুললে অনেক সময় ত্বকের ক্ষতি হয়। ব্যথাও পেতে হয় বেশ। এছাড়া বাজারের ‘হেয়ার রিমুভাল ক্রিম’ অথবা ওয়াক্সিং উপাদানগুলো নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি লোমনাশক মিশ্রণ। লেবু ও মধুর মিশ্রণ: প্রথমে দুই টেবিল-চামচ চিনি এবং সমপরিমাণ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তিন মিনিট মিশ্রণটি গরম করে নিন যেন চিনি গলে মিশে যায়। বেশি ঘন হয়ে গেলে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি পাতলা করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে সঙ্গে কর্নস্টার্চ বা ময়দা মিশিয়ে নিন পরিমাণ বুঝে। ত্বকে সমানভাবে এক পরত লাগিয়ে নিন। উপরে ওয়াক্সিং স্ট্রিপ লাগিয়ে লোম যেদিকে বড় হয় এর অপর দিকে টেনে তুলে ফেলুন। ঘরোয়া এই মিশ্রণ ত্বকের কোনো ক্ষতি করবে না এবং লোমও উঠে আসবে। ওটমিল ও কলা : দুই টেবিল-চামচ ওটমিল এবং একটি পাকাকলা ব্লেন্ড করে নিন। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মালিশ করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ওটমিলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের মৃতকোষ এবং লালচেভাব দূর করে। নিয়মিত এই মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করার ফলে লোম দূর হয়। পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করতেও এই মাস্ক বেশ উপকারী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call

বিভিন্ন অঙ্গের লোম এবং মুখের চারপাশে লোম দূর করার উপায়। নিচে উল্লেখ করা হলো • চিনি ও লেবুর রস >>> উপকরণ ও পরিমাণ>>> দুই টেবিল চামচ চিনি, লেবুর রস ,আট থেকে নয় টেবিল চামচ পানি প্রস্তুত প্রণালী উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে নিন। এরপর বুদবুদ উঠা পর্যন্ত গরম করে নিন।তারপর ঠাণ্ডা করে ২০ থেকে ২৫ মিনিট মাখিয়ে রাখতে হবে। ধোয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বৃত্তাকারে ঘষে তা ওঠাতে হবে। • লেবু ও মধু >>> উপকরণ ও পরিমাণ >>> দুই টেবিল-চামচ চিনি ,লেবুর রস এক টেবিল-চামচ মধু প্রস্তুত প্রণালী উপাদানগুলো একসাথে মিশিয়ে নিন। পরে তিন মিনিট গরম করে পানি মিশিয়ে পাতলা কিরে নিনি। এরপর ঠান্ডা করে নিন। যেখানের লোম তুলতে চান সেখানে প্রথমে কর্নস্টার্চ (ভুট্টার দানা রিফাইন্ড করে এটি তৈরি করা হয় যা অনেকটা কর্নফ্লাওয়ার এর মত) মাখিয়ে নিন। এরপর কর্নস্টার্চের উপর মিশ্রণটি লাগিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণ লাগতে হবে লোম যেদিকে বের হচ্ছে সেদিকে। পরে সুতি কাপড়ের সাহায্যে লোমগুলো টেনে তুলে নিতে হবে। টান দিতে হবে লোম যেদিকে বের হচ্ছে তার উল্টো দিকে। • ওটমিল ও কলা >>> উপকরণ ও পরিমাণ >>> দুই টেবিল-চামচ ওটমিল, একটি পাকা কলা প্রস্তুত প্রণালী উপকরণগুলো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।অবাঞ্ছিত লোম থাকা অংশে ১৫ মিনিট পেস্টটি মালিশ করে নিন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। • আলু ও মসুর ডাল উপকরণ ও পরিমাণ এক টেবিল-চামচ মধু লেবুর রস পাঁচ টেবিল-চামচ আলুর রস মসুর ডালের পেস্ট (মসুর ডাল সারারাত পানিতে ডুবিয়ে রেখে এই পেস্ট তৈরি করতে হবে) প্রস্তুত প্রণালী উপকরণটি মিশিয়ে নিন।এবার মিশ্রণটি যে স্থানের লোম তুলতে হবে সেখানে ২০ মিনিট মাখিয়ে রাখুন।এরপর পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।মিশ্রণটি ত্বকের পাতলা এবং শক্ত আস্তর ফেলবে যা লোম তুলে আনতে সহায়ক। • ডিম ও কর্নস্টার্চ >>> উপকরণ ও পরিমাণ >>> এক টেবিল-চামচ কর্নস্টার্চ ,চিনি ডিমের সাদা অংশ প্রস্তুত প্রণালী উপকরণটি একসাথে মেশায়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি অবাঞ্ছিত লোমযুক্ত অংশে মাখিয়ে রাখুন।শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন।ডিমের সাদা অংশ আঠালো, তাই এটি চিনি ও কর্নস্টার্চের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলে ত্বকের উপর পাতলা আস্তর ফেলবে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তাদের জন্য এ পদ্ধতি নয়। সুত্র স্টাইল কেয়ার

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ