উমরাহ হজ্জ বা অন্য কোন ইবাদতের সফর হলেও কোন মহিলার একাকিনী সফর বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা নারীর সঙ্গে তার সাথে এগানা পুরুষ ছাড়া অবশ্যই নির্জনতা অবলম্বন না করে। আর মাহরাম ব্যতিরেকে কোন নারী যেন সফর না করে। এক ব্যক্তি আবেদন করল, হে রাসুল! আমার স্ত্রী হজ্জ পালন করতে বের হয়েছে। আর আমি অমুক অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি। তিনি বললেন, যাও, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজ্জ কর। (বুখারী ও মুসলিম) জনাব! মহিলাদের জন্য মাহরাম ব্যতীত একাকী সফরে যাওয়া জায়েজ নয়। এ ব্যাপারে সকল ইমাম একমত। তবে মহিলারা মাহরাম ছাড়া হজ্জ করতে পারবে কিনা- এ প্রসঙ্গে ইমামদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কোনো মহিলার জন্য মাহরাম না পাওয়ার কারণে হজ্জ সফর থেকে বিরত থাকা জায়েজ নয়। তার উচিত কোনো মহিলা দলের সাথে হজ্জ সম্পন্ন করা। (সুনানে আবু দাউদ) যেসব হাদীসে মহিলাদের জন্য সফর সঙ্গী হিসেবে মাহরাম বা স্বামী সঙ্গে থাকার কথা বলা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য হলো, ফিতনা থেকে রক্ষা পাওয়া। কোনো বিশ্বস্ত মহিলা দলের সাথে যাত্রা করলে এ উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে যাবে। বিশ্বস্ত মহিলা দলের ব্যাখ্যা ইমাম শাফেয়ী এভাবে করেছেন, দলের কিছু সংখ্যক মহিলা নির্ভরযোগ্য হতে হবে এবং তাদের সাথে মাহরাম থাকতে হবে। তবেই এ দলের সাথে একজন মাহরামহীন মহিলা হজ্জ সফরে যেতে পারবে। (আসান ফেকাহ) তবে এমন কোনো পুরুষ দলের সাথে মহিলারা যেতে পারবেন না, যে দলে কয়েকজন মহিলা নেই বা নিজ মাহরাম পুরুষ নেই। (আল উম্ম) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, হে আদী! তোমার জীবনকাল যদি দীর্ঘ হয়, তুমি অবশ্যই দেখতে পাবে, ইরাকের হীরা অঞ্চল থেকে একজন মহিলা একাকী উটের হাওদায় বসে কাবা তাওয়াফ করবে এবং সে আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাবে না। (বুখারী ও মুসলিম) অন্য বর্ণনায় এসেছে, সে মহিলা আল্লাহর ঘর তাওয়াফের নিয়তে বা উদ্দেশে একাকী আসবে তার সাথে অন্য কেউ থাকবে না। (ফিকহুন্নিসা।) এ হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, ইসলামের কল্যাণে মানুষের জান মালের নিরাপত্তা এমন পর্যায়ে পৌঁছবে, মহিলারা একাকী হজের নিয়তে সফর করবে তাদের কোনো অসুবিধা হবে না।। আর এর বৈধতাও এই হাদীস দ্বারাই প্রমাণীত হয়েছে। আপনার আম্মুর বান্ধবীর স্বামীও যেহেতু যাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় আপনার আম্মুর হজ্জে না যাওয়াই উত্তম।