চুলের পুষ্টি ও গোড়া থেকে মজবুত করার উপায়:
চুল পড়া ঠেকানো এবং সুস্থ-সবল তরতাজা চুলের জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় সহজলভ্য এই কয়েকটি খাবার রাখতে পারেনঃ- ★ পালংশাকঃ ভিটামিন ও নানা খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ পালংশাক। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। হালকাভাবে সিদ্ধ করে একটু নুন-মরিচ দিয়ে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি বাহারি নানা পদে রান্না করেও খাওয়া যায় পালংশাক। আর কেবল পালংশাকই নয়, এমন নানা শাকই চুলের জন্য ভালো। ★ ডিমঃ ডিমের পুষ্টি উপাদান দুইভাবে চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করতে পারে। ডিম খাওয়ার পাশাপাশি চুলে ডিম মাখলেও উপকার পাবেন। ডিমের সমৃদ্ধ জৈব প্রোটিন শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর মতোই চুলকেও পুষ্টি জোগায়। ডিমের সাদা অংশের মতোই কুসুমসহ পুরো ডিমও চুলে মাখা যায়। চুলের যত্নে ডিম খুবই উপকারী। ★ গাজরঃ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ গাজর নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। চুলের বৃদ্ধিতে দারুণ উপকারী গাজর। গাজরের এই ভিটামিন মাথার ত্বকে ‘সিবাম’ নামের একটা তৈলাক্ত রাসায়নিক উৎপাদনে সাহায্য করে। এটা চুলের গোড়াসহ মাথার খুলির শুষ্কতা রোধে উপকারী। সকাল-বিকেল কাঁচা গাজর খাওয়ার মতোই নানাপদের রান্নাতেও গাজর রাখতে পারেন। ★ বাদামঃ নানা ধরনের বাদামে পাওয়া যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান এবং তেল ত্বক, চুল, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের জন্য দারুণ উপকারী। সাধারণ চীনাবাদাম থেকে শুরু করে, কাজুবাদাম, আখরোট ও অ্যালমন্ড—সবই দারুণ উপকারী খাবার। প্রতিদিনই হালকা খাবার হিসেবে খাওয়ার জন্য নিজের সঙ্গেই অল্প কিছু বাদাম রাখতে পারেন। ★ মটরশুঁটিঃ চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান কেরাটিন। মটরশুঁটি ও ডাল এই প্রোটিনে সমৃদ্ধ। শক্তপোক্ত চুলের জন্য নিয়মিত মটর ও ডাল খেতে পারেন। এতে চুলের বৃদ্ধি যেমন হবে, তেমনি চুল থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে।
চুলের পুষ্টি ও গোড়া থেকে মজবুত করার জন্য যা খাওয়া দরকার ঃ