সুশাসন হলো একটি কাক্সিক্ষত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন। আধুনিক বিশ্বের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচনা করা হয়। সুশাসনের মাধ্যমেই নাগরিকগণ তাদের আশা-আকাক্সক্ষা প্রকাশ করতে পারে, তাদের অধিকার ভোগ করে এবং তাদের চাহিদাগুলো মেটাতে পারে। সুশাসনের ফলে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পদগুলোর টেকসই উন্নয়ন ঘটে থাকে। তাই রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক। সুশাসন ব্যতীত রাষ্ট্রের কোনোরূপ উন্নয়ন সম্ভব নয়। যে দেশে সুশাসন যত বেশি সুদৃঢ়, সে দেশ ততো বেশি উন্নত। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ নয়। এজন্য অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমলাতন্ত্র আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অঙ্গ।আমলা ছাড়া কোনো দেশের পক্ষেই সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।সাধারণত নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন মন্ত্রী বা রাজনৈতিক প্রশাসকগণ।এসব নীতি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন আমলারা।আমলা বা বেসামরিক কর্মকর্তাগণ রাজনৈতিক প্রশাসকদের বা মন্ত্রীদের মতো জনপ্রতিনিধি নন।জনগণের সাথে তাদের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিক ও দাপ্তরিক।আমলাগণ তাদের কাজের জন্য সরাসরি জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য নন।জবাবদিহিতার অভাবে আমলারা স্বেচ্ছাচারী হতে পারেন।এর প্রতিরোধে প্রয়োজন জবাবদিহিতা।জবাবদিহিতা সুশাসনের অন্যতম নির্দেশক বা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।জবাবদিহিতার সাথে সুশাসনের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট ও নিবিড়।সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকার পরিচালনা ও প্রশাসন পরিচালনায় জবাবদিহিতার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা আমলারা জনপ্রতিনিধিদের নিকট জবাবদিহি করবে।শুধু তাই নয় আমলারা তাদের উর্ধ্বতন আমলা-প্রশাসকদের নিকটও জবাবদিহি করবে।তবেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ