আমি যা পরি মুখস্ত খাকেনা,পরা মনে থাকেনা,পরার মন বসেনা প্লিজ আপনারা পরামর্শ দেন ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এক্ষেত্রে আপনাকে যেকোনো পড়া মুখস্ত করার আগে, তা ভালো করে মনোযোগ সহকারে পড়ে তার বিষয় বস্তু আত্মস্ত করতে হবে।এবং উক্ত বিষয়ের মুল বক্তব্য সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা হয়ে গেলে তারপর মনোযোগ দিয়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করতে হবে।মনে রাখতে হবে যে,পড়া তখন ই মুখস্থ করা যাবে, যখন পড়ার প্রতি মনোযোগ ও আকর্ষণ থাকবে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সবসময় নির্জন স্থানে বসে পড়বেন । মনযোগ সহকারে পড়বেন । পড়া শেষে তা না দেখে লিখবেন । তবে আপনার স্মৃতি শক্তি লোপ পেতে থাকলে ডাক্তার দেখান। বেশি বেশি বাদাম খান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

‘পড়া মনে থাকে না’ কিংবা ‘যা পড়ি তা-ই ভুলে যাই’, এই অভিযোগটি প্রায় সবার। পড়া মনে না থাকা নিয়ে কম-বেশি হতাশায় ভুগে নাই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল ব্যাপার। তবে বিষয়টি নিয়ে হতাশ হলে চলবে না। কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললেই এ জাতীয় উৎকট ঝামেলা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভবঃ ★ পড়তে বসার আগে ১০ মিনিট হাঁটা: পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, পড়ার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ পরিমাণ বেড়ে যায়। তাহলে একটু হাঁটার পরেই শুরু হোক পড়ালেখা। ★ পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা: অনেকেরই ধারণা সারাদিন-সারারাত পড়লেই পড়া বেশি মনে থাকে। এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। কারণ সবসময় আমাদের ব্রেইন একইভাবে কাজ করতে পারে না। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিকালের পর আমাদের ব্রেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বিকালের পরে অর্থাৎ সন্ধ্যায় বা রাতে পড়া বেশি কার্যকর হয়। ★ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো: ব্রেইন যেকোন ইনফরমেশন বা তথ্যকে মেমরি বা স্মৃতিতে পরিণত করে ঘুমানোর সময়। তাই পড়া মনে রাখার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোও জরুরি। সাধারণত একজন সুস্থ ব্যক্তির দিনে ৮ ঘন্টার মত ঘুমানো উচিত। এর থেকে কম ঘুমালে পড়া মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। ★ যা পড়েছি তা অন্যকে শেখানো: পড়া মনে রাখার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই এ পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয়। নিজে যা পড়েছি বা জেনেছি তা অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কে আরো ভালোভাবে গেঁথে যায়। তাছাড়া অন্যকে শেখানোর ফলে নিজের দক্ষতা প্রকাশ পায় এবং পড়াটি ভালভাবে আয়ত্ত হয়েছে কিনা তাও বুঝা যায়। আপনি পড়ার টেবিলে বসে ভাববেন যে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হবে।আপনি যোগব্যায়ামের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন। পড়তে বসার আগে কিছুক্ষণ মেডিটেশনে বসুন। মনোযোগ তৈরী হবে। সাথে সুষম খাবার খাবেন। যোগব্যায়াম আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি করবে আর পড়ার জন্যে শরিলে শক্তি যোগাবে উপযোগী সুষম খাবার। আর মেডিটেশনের সময় সবধরনের বাহ্যিক চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। মনোযোগ আসবেই। শুধু মনে রাখবেন আপনাকে পড়তে হবে এবং পড়া বুঝে মুখস্থ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এজন্য আপনি যা পড়ছেন,তা লিখে লিখে চর্চা করুন।অনেক মনোবিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে একমত যে,একবার লেখা দশবার পড়ার সময়।তাই,বেশি বেশি করে লিখুন।যা পড়ছেন তা বার বার পড়ুন। মনে রাখার জন্য কোনো সম্পূরক বিষয় বা ঘটনাকে মিলিয়ে মনে রাখুন।যেমন বিশ শতক শুরুর ১ বছর আগে নজরুলের জন্ম।অর্থ্যাৎ,১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ। যা পড়বেন,তা শব্দ করে পড়ুন।শব্দ করে পড়লে আপনি সেটি নিজের কান দিয়ে শুনতে পারবেন।আর শুনলে পড়াটিকে ভালো মনে রাখতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ