বিস্তারিত উত্তর দিবেন.....
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হ৽া আপনি রাখতে পারবেন তবে তাদের ধ৿মীয় কোনও অনুষ্টানে যেতে পারবেননা, তাদের সাংস্কৃতিক অচার অচরণ মানতে পারবেন না!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call


 
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

প্রথম কথা হল বন্ধু বলতে আমরা কি বুঝি । একজন মুমিনের নিকট সেই প্রকৃত বন্ধু যে তাকে টেনে হিচড়ে জান্নাতে নিতে চায় ও জাহান্নামে যাবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় । 
আল্লাহ বলেন-
• তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র। (আল মায়িদা: 55)

বন্ধুত্ব করার ব্যপারে সামগ্রিক ভাবে নিষেধজ্ঞা নিয়ে আয়াত হল । যা দিয়ে অনেকে বলেন যে সকল অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব হারাম ।

• হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। (আলে ইমরান: 118)

• হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। (আল মায়িদা: 51)

• মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে। (সূরা মুমতাহানা: 13)

তবে এটি কি পৃথিবীর সকল অমুসলিমের জন্য সর্বদা প্রযোজ্য ? অবশ্যই ‪#‎না‬ ! আয়াতগুলো মূলত রাষ্ট্রীয় বন্ধুত্বের জন্যই প্রযোজ্য ।

আল্লাহ বলেন-
• ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। (সূরা মুমতাহানা: ৮-৯) 

অর্থাৎ তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না যে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে , কাজ করে সর্বদা ।

• হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। (আল মায়িদা: 57)

অর্থাৎ যে ইসলামকে নিয়ে উপহাস করে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না ।

• তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। (আন নিসা: 89)

আজকাল এমন অনেকেই আছে যারা নাস্তিক হইছে ও চায় অন্যরাও তাদের মত ইসলাম ত্যাগ করে নাস্তিক হোক । তাদের সাথেও বন্ধুত্ব করার সুযোগ নেই । 

• হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে? (আন নিসা: 144)

• যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য। (আন নিসা : 139)

আমরা অনেককে দেখি পার্থিব সুবিধার জন্য মুসলিমকে ত্যাগ করে অমুসলিম সঙ্গী নেয় যা অবশ্যই নিষেধ । 

এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও যারা উপরোক্ত শ্রেণীর মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে তাদের পরিমাণ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন -
• আপনি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করেননি, যারা আল্লাহর গযবে নিপতিত সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব করে? তারা মুসলমানদের দলভুক্ত নয় এবং তাদেরও দলভূক্ত নয়। তারা জেনেশুনে মিথ্যা বিষয়ে শপথ করে। (আল মুযাদিলা: 14)

• আপনি তাদের অনেককে দেখবেন, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা নিজেদের জন্য যা পাঠিয়েছে তা অবশ্যই মন্দ। তা এই যে, তাদের প্রতি আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা চিরকাল আযাবে থাকবে। (আল মায়িদা: 80)

• যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার। (আল মায়িদা: 81)


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অমুসলিম ভাইদের  বন্ধু হিসেবে মেনে নিতে ইসলামে কোনো বাধা নেই। এরাও ত মানুষ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পুরো লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন। ★বন্ধু নির্বাচনঃ ইমাম আলী (রাঃ) একদিন কুফায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে এক ইহুদির সাথে দেখা। ঐ ইহুদি লোকটিও কুফার দিকেই যাচ্ছিলো। ইহুদি লোকটি হযরত আলী (রাঃ) কে চিনতো না এবং জানতোও না যে, তিনিই মুসলমানদের খলীফা। কিন্তু একই গন্তব্যের যাত্রী যেহেতু, সেজন্য আলী (রাঃ)-এর সাথেই যাচ্ছিলো। যেতে যেতে একসময় দুজনের মাঝে কিছু কথা-বার্তা হলো। কথা বলতে বলতে একটি তেমোহনীতে এসে পৌছলো। সেখান থেকে একটি রাস্তা চলে গেছে কুফার দিকে আর আরেকটি চলে গেছে আশে-পাশের কোনো এলাকার দিকে। ইমাম আলী (রাঃ) ঐ তেমোহনীতে এসে কুফার পথে পাড়ি না জমিয়ে অপর পথে অগ্রসর হয়ে ইহুদি লোকটিকে সঙ্গ দিলেন। ইহুদি লোকটি জানতে পেরেছিলো যে, তার সঙ্গী অর্থাত্‍ আলী (রাঃ) কুফায় যাবেন। এখন ভিন্ন পথে যাচ্ছে দেখে জিজ্ঞাসা করলো, "তুমি না বলছিলে কুফায় যাবে?" ইমাম বললেন, "হ্যাঁ, বলেছি।" ইহুদি লোকটি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, "তুমি তো কুফার পথ চেনোই, তাহলে আমার সাথে আসছো কেনো?" ইমাম জবাবে বললেন, "আমরা চলার পথে বন্ধু হয়েছি। বন্ধুত্বপূর্ণ সফরের শুভ পরিসমাপ্তির জন্যই তোমার সাথে যাচ্ছি। কেননা, আমাদের নবী (সাঃ) বলেছেন, পথিক বন্ধুর প্রতি সম্মান দেখানোর স্বার্থে বিচ্ছিন্ন হবার সময় কিছুটা পথ বন্ধুকে সঙ্গ দেওয়া উচিত অর্থাত্‍ তাকে কিছুটা পথ এগিয়ে দেয়া উচিত। ইহুদি লোকটি জিজ্ঞাসা করলো, "সত্যিই তোমাদের নবী এরকম বলেছেন?" ইমাম বললেন, "হ্যাঁ।" ইহুদি লোকটি ইমাম আলী (রাঃ)-এর চিত্ত্বাকর্ষক এই আচরণ আর নৈতিকতায় মুগ্ধ হয়ে শেষ পর্যন্ত মুসলমান হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ্। ★মরহুম আইনুদ্দীন আল আজাদ গেয়েছেনঃ "বন্ধু, ভুলে যেও না কখনো। যেখানেই থাকো যেভাবেই থাকো মনে রেখো আমিও আছি তখনো।" ★বন্ধুঃ "বন্ধু বলে ডাকো যারে সে কি তোমায় ভুলতে পারে? যেমন ছিলাম তোমার পাশে আজো আছি ভালোবেসে।" ★মুমিনরা যেনো অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে। যারা এমনটি করবে, আল্লাহ্ তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবেন না। (সূরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ২৮) ★রাসূল (সাঃ) বলেন, "পৃথিবীতে যার সঙ্গে যার বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রয়েছে, পরকালে তার সঙ্গে তাঁর হাশর-বিচার হবে।" ★ইমাম গাজ্জালি (রহঃ) বলেন, "সবাইকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। বরং ৩টি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান, তাকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করতে হবেঃ ১◆বন্ধুকে হতে হবে জ্ঞানী ও বিচক্ষণ। ২◆বন্ধুর চরিত্র হতে হবে সুন্দর ও মাধুর্যময়। ৩◆বন্ধুকে হতে হবে নেককার ও পূণ্যবান।" ★আল্লামা শেখ সাদী (রহঃ) বলেন, "সত্‍ সঙ্গে স্বর্গবাস অসত্‍ সঙ্গে সর্বনাশ।" ★হযরত আলী (রাঃ) বলেন, "সেই তোমার সত্যিকার বন্ধু, যে তোমার সঙ্গে থেকে তোমার কল্যাণের জন্য নিজের ক্ষতি করে। দৈব-দুর্বিপাকে পড়ে তোমার অবস্থা শোচনীয় হলে সে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে তোমাকে সুখ দান করে।" ★হযরত ইমাম জাফর আস সাদিক (রহ:) বলেন, "৫ ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করো নাঃ ১◆মিথ্যাবাদী ২◆নির্বোধ ৩◆কৃপণ ৪◆কাপুরুষ ৫◆ফাসেক ব্যক্তি।" ★মহান আল্লাহ্ বলেন, "হে মুমিনরা, তোমরা ইহুদি-নাসারাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, কারন তারা পরস্পরে বন্ধু।" ★লোকমান হাকিম বলেন, "প্রয়োজনের মুহূর্ত ছাড়া বন্ধুকে চেনা যায় না।" ★ঈমানদার একে অপরের বন্ধু। তারা পরস্পরকে ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠিত করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করে। তাদের ওপর আল্লাহ্ তা'আলা অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী ও সুকৌশলী। (সূরাঃ আত-তওবা, আয়াতঃ ৭১) ★রাসূল (সাঃ) বলেন, "একাকী নিঃসঙ্গতার চেয়ে ভালো বন্ধু উত্তম আর নিঃসঙ্গতা মন্দ বন্ধুর চেয়ে উত্তম।" ★যারা খারাপকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে, কুরআন বলেছে, হাশরের ময়দানে তারা বলবে, "হায়! আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।" ★মাওলানা জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ) বলেন, "অসত্‍ বন্ধু থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকো। কেননা, সে যে বিষধর সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর। মনে রেখো, বিষধর সাপ শুধু তোমার প্রাণে আঘাত করে, কিন্তু অসত্‍ বন্ধু ছোবল মারে প্রাণের সাথে ঈমানের উপর।" ★ইমাম হাসান মুজতবা (রহঃ)-এর একজন ভক্ত তাঁর বন্ধু হতে চাইলে তিনি বলেন, "১◆আমার বন্ধু হতে চাইলে আমার গুণকীর্তন করতে পারবে না, কারন আমি নিজের ব্যাপারে ভালোভাবেই সচেতন। ২◆কখনো আমাকে মিথ্যা বলবে না, কারন মিথ্যার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। ৩◆একইভাবে আমার কাছে কারো ব্যাপারে গীবত করতে পারবে না।" ★ইমাম আলী (রাঃ) বলেন, "সবচেয়ে মন্দ লোক সে-ই, যে নিজের ভুল স্বীকার করতে রাজি নয়।" ★হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। (সূরাঃ আত-তওবা, আয়াতঃ ১১৯) ★হযরত আলী (রাঃ) বলেন, "নির্বোধের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকো। কারন সে উপকার করতে চাইলেও তার দ্বারা তোমার ক্ষতি হয়ে যাবে।" ★রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেন, "মানুষ তার বন্ধুর ধর্ম (স্বভাব-চরিত্র) দ্বারা প্রভাবিত। সুতরাং সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে, তা যেনো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নেয়।" ★সঙ্গ দেখে লোক চেনা যায় (A man is known by the company he keeps). ★মনে রাখবেনঃ "আপনার হয়তো অনেকগুলো ভালো বন্ধু রয়েছে, কিন্তু একটিমাত্র খারাপ বন্ধুর সংস্পর্শই আপনাকে শেষ করে দিতে পারে। তাই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন।" ★আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ভালো ও নেক বন্ধু নির্বাচন করার তাওফীক দান করুন। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাহাবী হযরত জাবের রা. বর্ণনা করেন, একদিন আমাদের পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁর দেখাদেখি আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা তাঁকে বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো এক ইহুদির লাশ!’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যখন কোনো লাশ নিতে দেখবে, তখন দাঁড়াবে।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৩১১ আরেক হাদীসে এসেছে, হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ ও হযরত কায়েস ইবনে সাদ রা. একদিন বসা ছিলেন। তারা তখন কাদিসিয়ায় থাকেন। পাশ দিয়ে একটি লাশ নেয়া হচ্ছিল। তা দেখে তারা দুজনই দাঁড়ালেন। উপস্থিত লোকেরা তাদেরকে জানাল, ‘এ এক অমুসলিমের লাশ।’ তাঁরা তখন শোনালেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশ দিয়েও একবার এক লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি যখন তা দেখে দাঁড়ালেন, উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম তখন বললেন, এ তো ইহুদির লাশ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, ﺃﻟﻴﺴﺖ ﻧﻔﺴﺎ অর্থাৎ ‘সে মানুষ ছিল তো?’ -সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৩১২ অমুসলিমদের সাথে আচরণে ভদ্রতা ও সৌজন্য রক্ষা করার জন্যে ইসলাম যে উদার নির্দেশনা দেয়, উপরোক্ত হাদীসটিই তার প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট। [1] সমাজবদ্ধভাবে জীবনযাপন করতে গিয়ে নানা শ্রেণির নানা পেশার নানা মত ও পথের মানুষের মুখোমুখি হতে হয়। মুখোমুখি হতে হয় অমুসলিমদেরও। লেনদেন ওঠাবসা চলাফেরা সাহায্য-সহযোগিতা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে একজন মুসলমান ও একজন অমুসলমানের সাক্ষাৎ হতে পারে। কোনো মুসলিমপ্রধান দেশে অমুসলিমদের বসবাস কিংবা কোনো অমুসলিমপ্রধান দেশে মুসলমানদের বসবাস এখন বিচিত্র কিছু নয়। অমুসলিম ব্যক্তি হতে পারে কোনো মুসলমানের প্রতিবেশী। কোনো অমুসলিম যদি পুরনো ধর্ম ছেড়ে ইসলামের শীতল ছায়ায় আশ্রয় নেয়, তাহলে তো আরও অনেক অমুসলিমের সাথে তার আত্মীয়তার সম্পর্কও থাকবে। বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে যেভাবে দলে দলে অমুসলিম ইসলামের ছায়াতলে আসছে, তাতে এ বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। ইসলামে অমুসলিমদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধের বিধানও দেয়া হয়েছে- এ কথা ঠিক, তবে এও অনস্বীকার্য যে, যুদ্ধের ময়দানের বাইরে তাদের নিরাপত্তাদান, তাদের সাথে সৌজন্য বজায় রেখে উত্তম আচরণের কথাও বলা হয়েছে। এমনকি যুদ্ধের মাঠেও যেন অমানবিক আচরণ করা না হয়, যারা যুদ্ধে অংশ নেয়নি তাদেরকে, বিশেষত নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর যেন হামলা করা না হয়- এ আদেশও দেয়া হয়েছে। যদি কারও কোনো প্রতিবেশী কিংবা কোনো আত্মীয় অমুসলিম হয়, ইসলামের নির্দেশনা হল- তার সাথেও প্রতিবেশী বা আত্মীয়ের হক রক্ষা করে চলতে হবে। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ দুটি সম্পর্ক রক্ষা করার ওপর যথেষ্ট জোর দেয়া হয়েছে। সাহাবী হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, একজন প্রতিবেশীর ওপর আরেকজন প্রতিবেশীর কী হক রয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন, ﺇِﻥِ ﺍﺳْﺘَﻘْﺮَﺿَﻚَ ﺃَﻗْﺮَﺿْﺘَﻪُ ﻭَﺇِﻥِ ﺍﺳْﺘَﻌَﺎﻧَﻚَ ﺃَﻋَﻨْﺘَﻪُ ﻭَﺇِﻥْ ﻣَﺮِﺽَ ﻋُﺪْﺗَﻪُ ﻭَﺇِﻥِ ﺍﺣْﺘَﺎﺝَ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺘَﻪُ ﻭَﺇِﻥِ ﺍﻓْﺘَﻘَﺮَ ﻋُﺪْﺕَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﺻَﺎﺑَﻪُ ﺧَﻴْﺮٌ ﻫَﻨَّﻴْﺘَﻪُ ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﺻَﺎﺑَﺘْﻪُ ﻣُﺼِﻴﺒَﺔٌ ﻋَﺰَّﻳْﺘَﻪُ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺎﺕَ ﺍﺗَّﺒَﻌَﺖَ ﺟَﻨَﺎﺯَﺗَﻪُ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺴْﺘَﻄِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﺎﻟْﺒِﻨَﺎﺀِ ﻓَﺘَﺤْﺠُﺐَ ﻋَﻨْﻪُ ﺍﻟﺮِّﻳﺢَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺆْﺫِﻳﻪِ ﺑِﺮِﻳﺢِ ﻗِﺪْﺭِﻙَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻥْ ﺗَﻐْﺮِﻑَ ﻟَﻪُ ﻭَﺇِﻥِ ﺍﺷْﺘَﺮَﻳْﺖَ ﻓَﺎﻛِﻬَﺔً ﻓَﺄَﻫْﺪِ ﻟَﻪُ ... ‘যদি সে তোমার কাছে ঋণ চায় তাহলে ঋণ দেবে, যদি তোমার সহযোগিতা চায় তাহলে তাকে সহযোগিতা করবে, যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার খোঁজখবর নেবে, তার কোনোকিছুর প্রয়োজন হলে তাকে তা দেবে, সে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়লে তার খোঁজখবর নেবে, যখন সে ভালো কিছু লাভ করবে তখন তাকে শুভেচ্ছা জানাবে, যদি সে বিপদে পড়ে তাহলে সান্ত্বনা দেবে, মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় শরিক হবে, তার অনুমতি ছাড়া তোমার ঘর এত উঁচু করবে না যে তার ঘরে বাতাস ঢুকতে পারে না, কোনো ভালো খাবার রান্না করলে তাকে এর ঘ্রাণ ছড়িয়ে কষ্ট দেবে না, তবে যদি তার ঘরেও সে খাবার থেকে কিছু পৌঁছে দাও। যখন কোনো ফল কিনে তোমার বাড়িতে নেবে তখন হাদিয়াস্বরূপ তাকে সেখান থেকে কিছু দেবে। [খারায়েতী, তবারানী, আবুশ শায়খ- ফাতহুল বারী[2] , খ. ১০, পৃ. ৫১৯, কিতাবুল আদব, বাব-৩১] আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে নির্দেশনা তো আরও স্পষ্ট। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে আল্লাহ ও পরকালে ঈমান এনেছে সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। -সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬১৩৮ প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলার এই যে নির্দেশনা, তাতে মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। এমনটি বলা হয়নি- তোমার প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয় যদি মুসলমান হয়, ধার্মিক হয়, ভালো মানুষ হয়, তাহলে তার সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে। বরং প্রতিবেশী ও আত্মীয় যেমনই হোক, মুসলমান হোক কিংবা না হোক, তার অধিকার অকাট্য ও অনস্বীকার্য। একজন মুসলমানকে এ অধিকার রক্ষা করেই জীবনযাপন করতে হবে। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের কিছু নির্দেশনা এমনও রয়েছে, যেখানে সুস্পষ্ট ভাষায় অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও সম্পর্ক রক্ষা করতে বলা হয়েছে। যেমন, সূরা আনকাবুতের ভাষ্য- ﻭَﻭَﺻَّﻴْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻧْﺴَﺎﻥَ ﺑِﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻪِ ﺣُﺴْﻨًﺎ ﻭَﺇِﻥْ ﺟَﺎﻫَﺪَﺍﻙَ ﻟِﺘُﺸْﺮِﻙَ ﺑِﻲ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻚَ ﺑِﻪِ ﻋِﻠْﻢٌ ﻓَﻠَﺎ ﺗُﻄِﻌْﻬُﻤَﺎ আমি মানুষকে বাবা-মায়ের সাথে সুন্দর আচরণের আদেশ করেছি। তবে তারা যদি তোমার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সঙ্গে এমন কিছু শরিক করতে, যে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তাদের কথা মানবে না। -সূরা আনকাবুত, আয়াত : ৮ সূরা লুকমানে একই প্রসঙ্গে আরো বলা হয়েছে, ﻭَﺇِﻥْ ﺟَﺎﻫَﺪَﺍﻙَ ﻋَﻠﻰ ﺃَﻥْ ﺗُﺸْﺮِﻙَ ﺑِﻲ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻚَ ﺑِﻪِ ﻋِﻠْﻢٌ ﻓَﻠَﺎ ﺗُﻄِﻌْﻬُﻤَﺎ ﻭَﺻَﺎﺣِﺒْﻬُﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻣَﻌْﺮُﻭﻓًﺎ ﻭَﺍﺗَّﺒِﻊْ ﺳَﺒِﻴﻞَ ﻣَﻦْ ﺃَﻧَﺎﺏَ ﺇِﻟَﻲَّ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻲَّ ﻣَﺮْﺟِﻌُﻜُﻢْ ﻓَﺄُﻧَﺒِّﺌُﻜُﻢْ ﺑِﻤَﺎ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ . তারা যদি এমন কাউকে (প্রভুত্বে) আমার সমকক্ষ সাব্যস্ত করার জন্য তোমাকে চাপ দেয়, যে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তাদের কথা মানবে না। তবে দুনিয়ায় তাদের সাথে সদাচরণ কর। এমন ব্যক্তির পথ অবলম্বন কর, যে একান্তভাবে আমার অভিমুখী হয়েছে। অতপর তোমাদের সকলকে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। তখন আমি তোমাদেরকে অবহিত করব তোমরা যা-কিছু করতে। -লুকমান, আয়াত : ১৫ কুরআনে কারীমের উক্ত আয়াত দুটি থেকে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়, যদি কোনো মুশরিক বাবা-মা তাদের মুসলিম কোনো সমত্মানকে ইসলাম ধর্ম ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক করতে বলে, তাহলে তাদের এ আদেশ কখনো মানা যাবে না। কিন্তু এমতাবস্থায়ও তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে। বাবা-মায়ের হক আদায় করতে হবে। প্রতিবেশীর অধিকার সম্বলিত যেসকল হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেসবে মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে যে কোনো পার্থক্য করা হয়নি- সাহাবায়ে কেরামের জীবনী থেকেও এর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা.-এর ঘটনা। একদিন তার ঘরে একটি বকরি জবাই করা হল। খাবার রান্না হলে তিনি তার গোলামকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের ইহুদি প্রতিবেশীকে কি এ খাবার দিয়েছ?’ এরপর তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, প্রতিবেশীর বিষয়ে জিবরাইল আমাকে এত উপদেশ দিচ্ছিলেন, আমি মনে করছিলাম, তিনি হয়ত তাদেরকে ওয়ারিশই বানিয়ে দেবেন।’ -জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৯৪৩ ইসলামী রাষ্ট্রে যে সকল অমুসলিম রাষ্ট্রীয় নিয়মকানুন মেনে বসবাস করবে, তারা সেখানে পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে নিরাপদ জীবন যাপন করবে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তারা তাদের নির্ধারিত সকল হক পাবে। সন্দেহ নেই, রাষ্ট্রের শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার জন্যে এ বিধানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। হযরত উমর রা.-এর একটি ঘটনা। তিনি তখন খলীফাতুল মুসলিমীন। একদিন এক ইহুদি বৃদ্ধকে দেখলেন মসজিদের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে বেড়াতে। তখন তিনি ইহুদিকে লক্ষ করে বললেন, ﻡَﺍ ﺃَﻧْﺺَﻓْﻦَﺍﻙَ ﺇِﻥْ ﻙُﻧَّﺎ ﺃَﺧَﺬْﻧَﺎ ﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟْﺠِﺰْﻳَﺔَ ﻓِﻲ ﺷَﺒِﻴﺒَﺘِﻚَ، ﺙُﻡَّ ﺿَﻴَّﻌْﻨَﺎﻙَ ﻓِﻲ ﻛِﺒَﺮِﻙَ . ﻗَﺎﻝَ : ﺙُﻡَّ ﺃَﺟْﺮَﻯ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﺑَﻴْﺖِ ﺍﻟْﻤَﺎﻝِ ﻣَﺎ ﻱُﺻْﻠِﺢُﻩ আমরা তোমার ওপর ইনসাফ করতে পারিনি যদি তোমার যৌবনে আমরা তোমার নিকট থেকে জিয্য়া গ্রহণ করে থাকি আর তোমার বার্ধক্যে তোমাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেই। এরপর তিনি তার জন্যে বায়তুল মাল থেকে প্রয়োজনীয় ভাতার ব্যবস্থা করে দেন। -কিতাবুল আমওয়াল, ইবনে যানজূয়াহ্, ১/১৪৩, হাদীস ১৭৯ হযরত উমর রা. বৃদ্ধ ইহুদির জন্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন- এটা তো তিনি শাসক হিসেবে করতেই পারেন। কিন্তু তিনি সেই ইহুদিকে লক্ষ করে যে কথাটি বললেন, তা আমাদের সামনে চিন্তার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে। যে সহানুভূতি তিনি প্রকাশ করেছেন এটাই ইসলামের সৌন্দর্য ও আসল চরিত্র। অমুসলিমদের সাথে সুন্দর ও সৌজন্যপূর্ণ আচরণ রক্ষার শিক্ষাপ্রদানের পাশাপাশি ইসলাম তাকিদের সাথে বারবার এ নির্দেশও দিয়েছে- ‘কোনো মুসলমান যেন কাফেরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে।’ এবং এ তাকিদও করেছে, সৌজন্য ও উদারতার নামে যেন নিজেদের দ্বীনদারি আক্রান্ত না হয়। দ্বীনের বিষয়ে আপোস করা কোনোক্রমেই বৈধ নয়। এমনিভাবে সদাচরণের ক্ষেত্রে কোনো অমুসলিমকে মুসলিম ভাই থেকে প্রাধান্য দেওয়াও বৈধ নয়। অমুসলিমদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সূরা মুমতাহিনার এই নির্দেশনাটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য- ﻟَﺎ ﻳَﻨْﻬَﺎﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻦِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﻢْ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻮﻛُﻢْ ﻣِﻦْ ﺩِﻳَﺎﺭِﻛُﻢْ ﺃَﻥْ ﺗَﺒَﺮُّﻭﻫُﻢْ ﻭَﺗُﻘْﺴِﻄُﻮﺍ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﻘْﺴِﻄِﻴﻦَ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﻨْﻬَﺎﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻦِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗَﺎﺗَﻠُﻮﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ﻭَﺃَﺧْﺮَﺟُﻮﻛُﻢْ ﻣِﻦْ ﺩِﻳَﺎﺭِﻛُﻢْ ﻭَﻇَﺎﻫَﺮُﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺧْﺮَﺍﺟِﻜُﻢْ ﺃَﻥْ ﺗَﻮَﻟَّﻮْﻫُﻢْ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺘَﻮَﻟَّﻬُﻢْ ﻓَﺄُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤُﻮﻥَ যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে ও তাদের প্রতি ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তো তোমাদের তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তারা জালিম। -সূরা মুমতাহিনা : ৮-৯ তথ্যসুত্রঃ মাসিক আল কাওছার

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ