পতিতালয়ে যাওয়া যাবে কি?বিস্তারিত বলবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

না পতিতালয়ে যাওয়া যাবে না।হাদিসে এসেছে, যিনাকারী ঈমানদার অবস্থায় যিনা করেনা।তাই বলা যায় পতিতাতে যাওয়া যাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যিনা উদ্দেশ্যে পতিতালয়ে যাওয়া হারাম। কারণ যিনা ইসলামী শরীয়তে স্পষ্ট হারাম। মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- তোমরা যিনার ধারে কাছেও যেও না। -সূরা  ইসরা; আয়াত ৩২।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বর্তমানে আমাদের সমাজে যিনা ব্যাভিচার এবং নারী পুরুষের মাঝে অনৈতিক সম্পর্ক ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ইসলাম এই গুনাহকে অনেক ভয়াবহ চোখে দেখে। এতই ভয়াবহ ভাবে দেখে যে, যদি বিবাহিত পুরুষ বা নারী যদি যিনায় লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড, পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড। এটা শুধু মুহম্মদ (সাঃ) এর শরীয়তে নয়, বরং পুর্বের সকল নবীর শরীয়তেও একই শাস্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। মহান আল্লাহপাক সুরা ইসরার ৩২ নং আয়াতে বলেন, “ আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। ” কুরআনে আল্লাহপাক আরো বলেন, “ এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ” (ফুরক্বান, ৬৮-৬৯) আল্লাহপাক আরো বলেন, “ ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। ” (আন-নুর, ০২) উপরোক্ত শাস্তি শুধুমাত্র অবিবাহিত নারী পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। বিবাহিত নারী পুরুষের ক্ষেত্রে বিধান হল তাদেরকে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা। বিবাহিত থাকতে হবে এমনটিও শর্ত নয়। আগে বিয়ে হয়েছিল কিন্তু এখন একা, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই হুকুম। আর যদি এ সমস্ত নারী পুরুষ তওবা অথবা শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি ছাড়া দুনিয়া ত্যাগ করে, তাহলে জাহান্নামে তাদেরকে কঠিন শাস্তি আস্বাদন করানো হবে। ইসরাইলী রেওয়াতে এসেছে, যিনাকারী নারী ও পুরুষকে তাঁদের লজ্জাস্থানের সাথে জাহান্নামে ঝুলানো হবে এবং এভাবে ঝুলিয়ে পোড়ানো হবে। সেই সাথে লোহার চাবুক দিয়ে মারা হবে। তাদের আর্ত চিৎকারে ফেরেস্তারা বলবে, “কোথায় ছিল এই আর্তনাদ?তোমরাতো হাসাহাসি করতে, ফুর্তি করতে এবং মহান আল্লাহর ব্যাপারে ছিলে উদাসিন, আল্লাহ সবকিছু দেখেন জানা সত্তেও লজ্জা করতেন না।” নিচের হাদিস গুলো একটু ভালোভাবে পড়ুন, “যিনাকারী যিনা করার সময় তার ঈমান থাকেনা।” (বুখারী) “যখন কেউ যিনায় লিপ্ত হয়, তার অন্তর থেকে ঈমান উঠে যায়। এবং যখন সে বিরত হয়, তার ঈমান আবার ফেরত আসে।” (আবু-দাউদ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পতিতালয়ে যাওয়া যাবে না। আর 'তোমরা' যিনার ধারের-কাছেও যেও না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (বনী ইসরাঈলঃ ৩২) যিনার কাছেও যেও না। এ হুকুম ব্যক্তির জন্য এবং সামগ্রিক ভাবে সমগ্র সমাজের জন্যও। আয়াতে ব্যভিচার হারাম হওয়ার দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছেঃ এক, এটি একটি অশ্লীল কাজ। মানুষের মধ্যে লজ্জা-শরম না থাকলে সে মনুষ্যত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। অতঃপর তার দৃষ্টিতে ভালমন্দের পার্থক্য লোপ পায়। কিন্তু যাদের মধ্যে মনুষ্যত্বের সামান্যতম অংশও বাকী আছে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিলে তারা ব্যভিচারকে অন্যায় বলে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধা করে না। আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক যুবক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ব্যভিচার করার অনুমতি দিন। এটা শুনে চতুর্দিক থেকে লোকেরা তার দিকে তেড়ে এসে ধমক দিল এবং চুপ করতে বলল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বললেন, বস। যুবকটি বসলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি এটা তোমার মায়ের জন্য পছন্দ কর? যুবক উত্তর করলঃ আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন, আল্লাহর শপথ, তা কখনো পছন্দ করিনা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তেমনিভাবে মানুষও তাদের মায়েদের জন্য সেটা পছন্দ করেনা। তারপর রাসূল বললেন, তুমি কি তোমার মেয়ের জন্য তা পছন্দ কর? যুবক উত্তর করলঃ আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন, আল্লাহর শপথ, তা কখনো পছন্দ করিনা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অনুরূপভাবে মানুষ তাদের মেয়েদের জন্য সেটা পছন্দ করেনা। তারপর রাসূল বললেন, তুমি কি তোমার বোনের জন্য সেটা পছন্দ কর? যুবক উত্তর করলঃ আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন, আল্লাহর শপথ, তা কখনো পছন্দ করিনা। তখন রাসূল বললেনঃ তদ্রুপ লোকেরাও তাদের বোনের জন্য তা পছন্দ করে না। (এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ফুফু, ও খালা সম্পর্কেও অনুরূপ কথা বললেন আর যুবকটি একই উত্তর দিল) এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উপর হাত রাখলেন এবং বললেন, “হে আল্লাহ! তার গুনাহ৷ ক্ষমা করে দিন, তার মনকে পবিত্র করুন এবং তার লজ্জাস্থানের হেফাযত করুন। বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন, এরপর এ যুবককে কারো প্রতি তাকাতে দেখা যেত না। [মুসনাদে আহমাদঃ ৫/২৫৬, ২৫৭] দ্বিতীয় কারণ সামাজিক অনাসৃষ্টি। ব্যভিচারের কারণে এটা এত প্রসার লাভ করে যে, এর কোন সীমা-পরিসীমা থাকে না। এর অশুভ পরিণাম অনেক সময় সমগ্ৰ গোত্র ও সম্প্রদায়কে বরবাদ করে দেয়। এ কারণেই ইসলাম এ অপরাধটিকে সব অপরাধের চাইতে গুরুতর বলে সাব্যস্ত করেছে। এবং এর শাস্তি ও সব অপরাধের শাস্তির চাইতে কঠোর বিধান করেছে। কেননা, এই একটি অপরাধ অন্যান্য শত শত অপরাধকে নিজের মধ্যে সন্নিবেশিত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যিনাকার ব্যক্তি যিনা করার সময় মুমিন থাকে না। চোরের চুরি করার সময় মুমিন থাকে না। মদ্যপায়ী মদ্যপান করার সময় মুমিন থাকে না। [মুসলিমঃ ৫৭]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পতিতালয়ে যাওয়া যাবে৷ সেখানকার গুনাহে লিপ্ত আল্লাহর বান্দাদেরকে আল্লাহর পথে ডাকার জন্য৷ কিন্তু সেখানে গুনাহ তথা যিনা করার উদ্দেশ্যে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরা গুনাহের কাজ৷ এ সম্পর্কে কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে "তোমরাা যিনার নিকটবর্তীও হয়ো না"৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ