অবাস্তব মানে আমি চাইব, যেনো অতিদ্রুতই আমাকে বাংলাদেশের সেরা ধনী বানিয়ে দেয়।এখন দোয়া করতে গেলে কি আমাকে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের উপর দরুদ শরিফ আগে পড়তে হবে?নাকি ইসমে আজম আগে পড়তে হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
ইসমে আজম সম্পর্কে একটা হাদিস আসছে। সেটা হলোঃ- হযরত আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- যখন আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সঃ)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম, তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল, যখন সে রুকূ-সিজদা এবং তাশাহহুদ পড়ে দোয়া করতে আরম্ভ করল তখন সে তাঁর দোয়া বললঃ (আরবি), তখন নবী (সঃ) তাঁর সাহাবীগণকে বললেন, 'তোমরা কি জান? সে কিসের দ্বারা দোয়া করল'? তাঁরা বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! সে আল্লাহর ঐ ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করেছে যা দ্বারা দোয়া করা হলে তিনি তা কবুল করেন, আর যা দ্বারা কোন কিছু চাওয়া হলে তা তিনি দান করেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৩০০) তাই উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করেন এবং তাকে তা দান করেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহ তায়ালা বলেন,আমি ততক্ষণ না পর্যন্ত কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করি যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই জাতি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে(দুঃখিত যে আমি তথ্য সূত্র দিতে পারছি না)।তাই আপনার সেজন্য চেষ্টা থাকতে হবে।নিজের চেষ্টা না থাকলে হাজার দোয়া পড়েও কোনো লাভ নেই।শুধু দোয়া পড়লেই যদি ভাগ্য পরিবর্তন হতো তাহলে কেউ আর কষ্ট করতো না।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসমে আযমের ফযীলতঃ ইসমে আযমের গুরত্ব হচ্ছে, এই নামে বা এই নামের ওসীলা দিয়ে আল্লাহকে ডাকলে বা তাঁর কাছে দুয়া করলে আল্লাহ সবচাইতে বেশি খুশি হন, এবং বান্দার দুয়া কবুল করে নেন। ইসমে আযমের উসীলা দিয়ে কোন দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেনঃ নবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে নামাযে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে (দুয়া মাসুরা পড়ার সময়) এই দুয়া পড়তে শুনলেন। নবী (সাঃ) সাহাবাদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো সে কিসের দ্বারা দুয়া করেছে? সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। তিনি বললেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রান, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাঁর “ইসমে আযম” বা সুমহান নামের উসীলায় দুয়া করেছে। “ইসমে আযমের” উসীলায় দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেন, আর কোনো কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন। আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমাদ, বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, ত্বাবারানী ও ইবনে মান্দাহ “আত-তাওহীদ” গ্রন্থসহ (৪৪/২, ৬৭/১, ৭০/১-২), , আল্লাহ্ চাইলে সবকিছু করতে পারেন । তাইবলে তিনি আপনাকে অমরত্ব দিবেননা । আল্লাহর কাছে চাইবেন আপনার সাধ্য, আপনার যোগ্যতা মাফিক এবং সীমার মধ্যে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
আল্লাহ তাআলার কাছে বান্দার চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিষয় হলো ক্ষমা লাভ করা। যে ব্যক্তি ক্ষমা লাভে সক্ষম হবে সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলার দরবারে এক অফুরন্ত রহস্যের নাম তাওবা ও ইগতিগফার। তাওবা ও ইসতেগফারের মাধ্যমে মানুষ ক্ষমা লাভ করে থাকে।

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ সেই সত্তার কসম! এই ব্যক্তি আল্লাহর কাছে এমন ইসমে আজমের মাধ্যমে দুআ করছে যার ওয়াসীলায় দুআ করা হলে আল্লাহ তাআলা কবুল করেন এবং যার ওয়াসীলায় যাঞ্ছা করা হলে তিনি দান করেন। (তিরমিজীঃ ৩৪৭৫)

জনাব! আল্লাহর কাছে অবাস্তব যেমনঃ আমাকে অতিদ্রুতই বাংলাদেশের সেরা ধনী বানিয়ে দিন। এমন চাওয়া হতে রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন।

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য তিনটি বস্তু পছন্দ এবং তিনটি বস্তু অপছন্দ করেছেন, তা হলো সমালোচনা অথবা শোনা কথায় কান দেয়া, অধিক চাওয়া এবং মাল-সামান নষ্ট করা। (মুসলিম সংক্ষিপ্ত)

সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য, তিনি প্রতিটি বিষয়ে ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি কিছু দিতে আগ্রহী হলে কেউ তা ঠেকানোর মতো নেই আর তুমি না দিলে কেউ তা দেয়ার মতো নেই। কোন মর্যাদাবানের মযার্দা তোমার কাছে কোন উপকারে আসে না। নবী করীম (সাঃ) অনর্থক ও উদ্দেশ্যহীন বাক্যলাপ করতে, ধন-সম্পদ নষ্ট করতে এবং অধিক চাওয়া হতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম আংশিকভাবে লেখা)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ