কোরআন হাদিস থেকে প্রমাণ হয় না যে, মহানবী (সাঃ) নিজের জন্মদিন পালন করতেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সোমবার দিন রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ইহা এমন একটি দিন, যেদিন আমার জন্ম হয়েছে। (মুসলিম)
এ হাদিস থেকে জন্মদিন পালন করার কথা প্রমাণিত হয় না। তবে যদি হয়েও থাকে, তাহলে প্রত্যেক সোমবারকে তাঁর জন্মদিন হিসেবে পালন করতে হবে এবং কেবল রোযা রাখার মাধ্যমে।
আর মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের এ 'দ্বীন' ব্যপারে নতুন কিছু আবিষ্কার করে, সে ব্যাক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত। (বুখারী ও মুসলিম)
যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করে, যার উপর আমাদের কোন নির্দেশ নেই, সে ব্যক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত। (মুসলিম)
মহানবী (সাঃ) নবুয়তের ২৩ বছর কাল নিজের জীবনে কোন বছর নিজের জন্মদিন পালন করে যাননি। কোন সাহাবীকে তা পালন করার নির্দেশও দেননি। তাঁর পূর্ববর্তী নবীদের জন্ম মৃত্যু উপলক্ষে কোন শোকপালন করে যাননি।
তাঁর পরবর্তীকালে তাঁর চারজন খলীফা তাদের খেলাফতকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা একেকভাবে নবী দিবস পালন করে যাননি। অন্য কোন সাহাবী বা আত্মীয়ও তাঁর প্রতি এত ভালবাসা ও শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে শোক পালন করেননি। তাঁদের পরেও কোন তাবেঈ অথবা তাঁদের কোন একনিষ্ঠ অনুসারী অথবা কোন ইমাম তাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যুদিন পালন করার ইঙ্গিত দিয়ে যাননি। সুতরাং তা যে নব আবিষ্কৃত বিদআত, তা বলাই বাহুল্য।