মেয়েদের বাচ্ছা হবার অাগে স্তন দিয়ে দুধ বার হয় না,কিন্তু বাচ্ছা হবার পর দুধ বার হয় কেন? মেয়েদের স্তনে কিভাবে দুধ তৈরি হয়? এই সম্প্রর্কে কিছু জানতে চাই.
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Waruf

Call

হ্যা দুধ স্তনেই তৈরি হয় রক্তের প্রোটিন ভেঙ্গে। প্রেগনেন্ট হবার পর যখন ভ্রুন অমরার ভেতর স্থাপিত হয় তখন অমরা FSH(ফলিকল স্টিমিউলেটিং হরমোন) নিঃসরন করে এটি স্তনের দুধ গ্রন্থিকে সক্রিয় করে এবং পিটুইটারি গ্রন্থি এই হরমোনের প্রভাবে প্রোটিন ভাংগার জন্য স্তন গ্রন্থিতে বিভিন্ন উপাদানের জমা ও সক্রিয় হবার নির্দেশ দেয় ফলে দুধ তৈরি শুরু হয়। বিয়ের আগে যেহেতু প্রেগনেন্ট না হওয়ায় এফএসএইচ ক্ষরিত হয়না তাই দুধ তৈরি হয়না, এখানে আরও বেশ কিছু ফ্যাক্টর আছে কিন্তু সেগুলো এফএসএইচ এর পরবর্তী ক্রিয়া এবং এই হরমোনের উপর নির্ভর করে বাকি গুলো শুরু হয়। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

মাতৃগর্ভে ভ্রূণ সঞ্চারিত হবার সাথে সাথে শিশুর আগমনীবার্তা মায়ের দেহে প্রচার হয়ে যায়। মস্তিষ্ক ও দেহের কিছু গ্রন্থি এবং জরায়ুর ফুলের নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে স্তনে দুধ তৈরির প্রক্রিয়া চলতে থাকে। স্তনের কোষগুলো বাড়তে থাকে এবং এই কোষেই দুধ তৈরি হয়।

 সমগ্র দুধ তৈরি প্রক্রিয়াকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।

  1. ল্যাক্টোজেনেসিস-১
  2.  ল্যাক্টোজেনেসিস-২
  3.  ল্যাক্টোজেনেসিস-৩

ল্যাক্টোজেনেসিস-১

★প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায় দুটি হরমোনের নিয়ন্ত্রণাধীন। প্রজেস্টেরন ও ইস্ট্রজেন নামক হরমোন দুটি গর্ভাবস্থার প্রধান হরমোন। শিশুর সম্ভাব্য জন্মের ১২ সপ্তাহ আগে এই পর্যায় সম্পূর্ণ হয়। যদিও শুরু হয় গর্ভাবস্থার চার পাঁচ মাস থেকে। এই সময় শুধু “কলস্ট্রাম” নামক প্রাথমিক দুধ তৈরি শুরু হয়। দুধে ল্যাক্টোজ, প্রোটিন, ইমিউনোগ্লবিনের পরিমাণ বাড়ে। সোডিয়াম ও ক্লোরিনের পরিমাণ কমে। দুধ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ স্তনে এসে জমা হতে থাকে।


ল্যাক্টোজেনেসিস-২

এই পর্যায়ও হরমোনের নিয়ন্ত্রণাধীন। শিশুর জন্মের ৩০ থেকে ৪০ ঘণ্টা পরে এই পর্যায় শুরু হয়। বাচ্চার জন্মের সাথে সাথে প্লাসেন্টা জরায়ু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তাই প্লাসেন্টা থেকে বের হওয়া হরমোন, যেমন- প্রজেস্টেরন, ইস্ট্রজেন ও প্লাসেন্টাল ল্যাক্টজেনও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় প্রোল্যাক্টিনের কাজ। দুধ তৈরিতে এই হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একে বলে মাতৃত্ব হরমোন বা mothering hormone. এর কাজ হোল প্রকৃত দুধ তৈরি করা। প্রোল্যাক্টিনের ক্ষরণ অ্যারিওলার উত্তেজনার উপর নির্ভরশীল। শিশু স্তন মুখে নিয়ে টানলেই এই উত্তেজনা তৈরি হয়। না টানলে হবেনা, তাই প্রোল্যাক্টিনও বের হবেনা- দুধও তৈরি হবেনা।

কাজেই দেখা যাচ্ছে শিশু দুধ না খেলে দুধ তৈরির পদ্ধতি গোড়াতেই ধাক্কা খাবে। দুধই তৈরি হবেনা। তাই দুধ বুকে আসুক না আসুক, বুকের দুধ পেতে গেলে জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, শিশুকে বুকে দিতে হবে। শিশু স্তন মুখে নিয়ে টানলে তবেই ভবিষ্যতে দুধ হবে, না হলে হবেনা। প্রতিবার দুধ খাবার পরে এই প্রোল্যাক্টিনের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। দিনে রাতে সব সময় এই ঘটনা ঘটে। তাই দুধের পরিমাণ বাড়াতে হলে বা ঠিক রাখতে হলে দিনে রাতে সব সময়ই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।


ল্যাক্টোজেনেসিস-৩

এই পর্যায়ে বুকে পরিণত দুধ তৈরি হয়। প্রথম দুটি পর্যায় নির্ভর করে প্রধানত হরমোনের উপর। কিন্তু তৃতীয় পর্যায় নির্ভর করে বুকের অটোক্রিন বা স্থানীয় অবস্থার উপর। প্রথম দুটি পর্যায় দুধ তৈরি শুরু করে- তৃতীয় পর্যায় এটিকে চালু রাখে। এই চালু রাখাটা নির্ভর করে সম্পূর্ণভাবে শিশুর উপর, সে দুধ খাচ্ছে কি না তার উপর। এই পর্যায় শুরু হয় শিশু জন্মের ৫০ থেকে ৭৩ ঘণ্টা পড়। এই পর্যায়ের আগে আমরা দেখলাম, অ্যালভিওলাইগুলো দুধে ভরে যায়। শিশু মুখ দিয়ে টানলে তবে সে দুধ বেরিয়ে আসে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ