অন্তত একবছর বা তার বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর ও গর্ভ সঞ্চার না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যেহেতু তিন বছর ধরে পিল খাওয়া হয়েছে, কাজেই এর প্রভাব কাটতেও একটু সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ: ধুমপান করলে ছেড়ে দিন, এ অভ্যাস পুরুষের শুক্রাণু কমিয়ে দেয়। ব্যয়াম করুন নিয়মিত, আপনার স্ট্যামিনার উন্নতি হবে। মাসিক শুরু হওয়ার পর ৯ম থেকে ১৯ তম দিন পর্যন্ত যতবেশি বার সম্ভব সহবাস করবেন। সম্ভব হলে একরাতে দ্বিতীয় বার সহবাস করবেন। এতে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খান দুজনেই যেন যৌন মিলনের সময় আগ্রহ হারিয়ে না ফেলেন। বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করুন। তিনি চাইলে সবই সহজ হয়ে যায়। আপনাদের সুন্দর জীবন কামনা করছি।
এতোদিন সন্তান চান নি। জন্ম নিয়ন্ত্রন করার জন্য স্ত্রীকে পিল খাওয়াইছেন। আর এখন সন্তান চাচ্ছেন, আবার স্ত্রীকে জন্ম নিয়ন্ত্রন পিলও খাওয়াচ্ছেন না। অথচ সন্তান হচ্ছে না। পাশ্চাত্য সমাজ থেকে আমাদের সমাজে হস্তমৈথুন ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেটের মারাত্মক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যা ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রীর যৌনশক্তি, যৌনক্ষমতা বা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে। হস্তমৈথুনের সাময়িক আনন্দ আর জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেটের সাময়িক অনৈসলামিক সুবিধার কাছে আমরা এতো বেশি আত্মসমর্পণ করেছি, যা আমাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে। আমরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই ডেকে আনছি। খাল কেটে কুমির আনার মতো। হস্তমৈথুন আর জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট গ্রহণের ফলে যে ক্ষতি হয়, তা থেকে বেরিয়ে আসা সত্যিই কঠিন। আমার জানা অনেক মেয়ে বিয়ের পরপর সন্তান নিয়েছে। তারপর কয়েক বৎসর ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে এখন আর বাচ্চা হচ্ছে না। আবার অনেকে বিয়ের পরপরই কয়েক বৎসর জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে এখন আর তাদের সন্তানই হচ্ছে না। আবার অনেকে কয়েক বৎসর জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট খাওয়ার পর সন্তানের আশায় তা ছেড়ে দিছে, তারপর সন্তান নেওয়ার জন্য বহু চেষ্টা করার পর আল্লাহ তাদেরকে বিয়ের ৮, ১০, ১৪ বৎসরের মাথায় সন্তান দিয়েছেন। এখন আপনারা যদি সন্তান নিতে চান, তাহলে আপনাদের হস্তমৈথুন, ফিঙ্গারিং বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট খাওয়ার বাজে অভ্যাস চিরতরে পরিত্যাগ করতে হবে। নিয়মিত নামাজ-রোজা করুন এবং আল্লাহর কাছে নেক সন্তান ভিক্ষা চান এবং সকল ভুলের জন্য তার কাছে ক্ষমা চান। নিয়মিত কয়েক বৎসর মধু, দুধ, ডিম, কালোজিরা, কাঁচা রসুন ও মাষকলাই ডাল গ্রহণ করুন। আশা করি, একটা সময় সন্তানের মা-বাপ হতে সক্ষম হবেন ইন শা আল্লাহ।