হেপাটাইটিস বি একটি সংক্রামক রোগ।
হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি দেখা দেয় যা যকৃতে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়।
।
রক্ত, বীর্য অথবা শরীরের অন্যান্য তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। বড়দের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ ভালো হয়ে গেলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
হেপাটাইটিস বি হয়েছে কি করে বুঝবেন।।।
হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের দুই থেকে তিন মাস পর এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয় । হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো হাল্কা থেকে মারাত্মক হয়ে থাকে।
হেপাটাইটিস বি’ হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়:
পেট ব্যথা
গাঢ় রংয়ের প্রস্রাব।
অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
ক্ষুধা মন্দা।
ক্লান্ত এবং অবসাদ অনুভব করা।
শরীরের চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া এবং চোখ সাদা ফ্যাকাশে হওয়া।
কখন ডাক্তার দেখাবেন।
রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্র ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
হেপাটাইটিস B একটি DNA ভাইরাস । এই রোগ হেপাটাইটিস আক্রান্ত মায়ের দুধ পান, আক্রান্ত ব্যাক্তির সিরিঞ্জ এবং অনিরাপদ যৌন মিলনের কারনে হয় । এই রোগ হলে ক্রমশ মাথা ব্যাথা, জ্বর, দুর্বল, খাবারে অরুচি ইত্যাদি লক্ষন প্রকাশ পায় । পরবর্তিতে প্রসাব হলুদ হয়, চোখের সাদা অংশ হলুদ দেখায়, পায়ে পানি জমে এবং আক্রান্ত ব্যাক্তি সবসময় অস্বস্থি অনুভব করে ।
হেপাটাইটিস বি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা যকৃত বা লিভার কে আক্রমণ করে।
দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগেরই কোন প্রাথমিক লক্ষন থাকে না। যদিও এক্ষেত্রে এটি ধীরে ধীরে এটি সিরোসিস এবং যকৃতের ক্যান্সার এ রূপ নিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী আক্রান্ত হওয়া রোগীদের প্রায় ১৫ থেকে ২৫% মৃত্যুবরণ করতে পারে।
এই ভাইরাসটি রক্ত কিংবা দেহনিঃসৃত তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। যে সব জায়গায় এ রোগের প্রকোপ বেশি সেখানে সাধারনত শিশুর জন্মের সময় কিংবা শৈশবে অন্য আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে এ রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কিন্তু যে সব জায়গায় এ রোগের প্রকোপ কম সেখানে শিরায় মাদক দ্রব্যের ব্যবহার এবং অরক্ষিত যৌনমিলন এ রোগের প্রধান কারণ।
এছাড়াও আক্রান্ত ব্যাক্তির সুই সিরিজ রক্ত গ্রহণে এই রোগ হয়ে থাকে।
একজন লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী চলবেন। দীর্ঘদিন চিকিত্সা চালিয়ে
যেতে হবে, ঔষধ বন্ধ করা যাবেনা।
আশা ছেড়ে দেওয়া যাবেনা, চিকিত্সা ও রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতায় সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ
করতে পারবেন।
যারা সুস্থ আছেন তারা টিকা নিয়ে এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবেন।