Ronu

Call

আপনি নিচের কিছু উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা

প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালোভেরা পাতার জেলে রয়েছে প্রদাহ-বিরধী উপাদান সমূহ ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমূহ। যা অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ক্ষত ও দাগ এবং ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য অন্যতম একটি প্রাকৃতিক উপাদান করে তোলে।

ব্যবহারবিধি

অ্যালোভেরার পাতা মাঝ বরাবর কেটে ভেতরের জেল চামচের সাহায্যে ছেঁচে নিতে হবে। এরপর সেই জেল সরাসরি মুখের ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ৩০ মিনিট সময়ের জন্য মুখে অ্যালোভেরা জেল রেখে দিতে হবে, এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন দুইবার এই পদ্ধতিতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে হবে।

লেবু

প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে লেবু সবচাইতে ভালো একটি উপাদান। ত্বকের যেকোন ধরণের দাগকে হালকা করে ফেলার ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে লেবু। একই সাথে ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ত্বকে নতুন কোষ তৈরিতে, ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধিতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে থাকে।

ব্যবহারবিধি

সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু একসাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে খুব আলতোভাবে মুখ মুছে নিতে হবে। প্রতিদিন এইভাবে লেবু ব্যবহার করতে হবে।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের অ্যাসিডিক উপাদান সমূহ ত্বকের পিগমেন্টেশনকে হালকা করতে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে, ফলে ত্বকে তৈরি হওয়া দাগ কমাতে এই ভিনেগার চমৎকার কার্যকরি। একই সাথে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ত্বকের মরা চামড়া দূর করতেও সাহায্য করে থাকে।

ব্যবহারবিধি

সমপরিমাণ আনফিল্টার্ড অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং পানি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট সময়ে জন্য রেখে দিয়ে পানি দিয়ে মুখ খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন একবার এই নিয়মে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে।

বেকিং সোডা

ত্বক উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বেকিং সোডা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। এটি এক্সফলিয়েন্ট উপাদান হিসেবেও ত্বকের উপরের দাগকে দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

ব্যবহারবিধি

একটি বাটিতে দুই চা চামচ বেকিং সোডা নিয়ে কিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করতে হবে। এরপর এই পেষ্ট সরাসরি মুখে লাগিয়ে দিয়ে ৫ মিনিট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন অন্তত একবার এইভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মাঝেই ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে অনেকখানি।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার দুটি পদ্ধতি।
দুধ ও কাঁচা হলুদ :
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা।
দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধ গাঢ় হলুদ রঙ ধারণ করলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার করে পান করতে থাকুন।

কাঁচা হলুদ :
শুধু দুধের সঙ্গে নয়, বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ ফর্সা করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর।
উপকরণ : দুধ ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, এবং কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
দুধ, লেবুর রস ও হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম পানিতে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের রং হয়ে উঠবে ফর্সা, কোমল, দাগমুক্ত ও সুন্দর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মানুষের গায়ের রঙ প্রকৃতি থেকে পাওয়া।  তাই এটার পরিবর্তন করা খুবই কঠিন।  আবার অনেক সময় অঞ্চল ভেদে এমন সমস্যা হয়। কোনো অঞ্চলে মানুষ ফর্সা কোন অঞ্চলে কালো।  তবে আপনি যদি স্থায়ী ফর্সা করতে চান তবে -  মাখন, হলুদ, নিম জ্বাতীয় জিনিস ব্যাবহার করতে দিন। আশাকরি ভালো ফল আসবে। 


[ফর্সা না হলেও অনেকটা উজ্বল হয়ে উঠবে]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ