শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

পেয়াজ

সাধারণত একটি বড় মাপের পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন, ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে থাকে ভিটামিন এ, বি ও সি। 


এবার পেঁয়াজের কিছু গুণাগুণ জানা যাক- 


ঠাণ্ডা লেগে মাথা ব্যথা করছে? ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে দ্বিগুণ পরিমাণ পানি মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্যথা কমে গেছে।এছাড়া জ্বর জ্বর ভাবে পেঁয়াজের রস নাক দিয়ে টেনে নিলে শরীরের জ্বর জ্বর ভাব কেটে যাবে।


নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে বাত ব্যথার রোগীদের ব্যথা কম থাকবে। এছাড়া বার বার বমি হলে চার-পাঁচ ফোঁটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যাবে। শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক এসিডও বের করে দেয় পেঁয়াজ।


যদি হেঁচকি উঠতে থাকে তবে পেঁয়াজের রস মিশানো পানি খান, হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া চুলে খুশকির সমস্যা থাকলে কিংবা গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যার ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ অনেক কার্যকরী। 


চুল ধোওয়ার আগে আধঘন্টা পেঁয়াজের রস মাথায় মেখে রাখুন, চুলের গোড়া শক্ত হওয়ার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও কাজ করবে এ পদ্ধতি।



রসুন:রসুনে আছে সালভারভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন, যা অনেক রোগ নিরাময়ে কাজ করে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ায় শরীরে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। অনেকের দাবি, রসুন নিয়মিত সেবনে অনেক ক্যানসার প্রতিরোধ হয়।


 


এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী রসুনের সাতটি ব্যবহার এবং এর ফলে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে জানানো হলো। 


রক্ত পরিষ্কার রাখে 


প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোয়া ও এক গ্লাস পরিমাণ গরম পানি সেবন করতে হবে। আর দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে রক্ত পরিষ্কার হবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। আর ওজন কিছুটা কমাতে চাইলে সকালে রসুনের সঙ্গে পান করা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস দিতে হবে। 


ঠান্ডা ও জ্বরে 


প্রায়ই ঠান্ডা ও জ্বরে পড়েন এমন ব্যক্তিদের জন্য রসুন হতে পারে এক মহৌষধ। শরীর থেকে জ্বর আর ঠান্ডা দূর করতে প্রতিদিন দু-তিন কোয়া রসুন কাঁচা খেতে হবে। এ ছাড়া রান্না করা বা চায়ের সঙ্গেও রসুন খাওয়া যায়। আর রসুনের গন্ধ খারাপ লাগলে এর সঙ্গে আদা ও মধু মিশিয়ে নেওয়া যায়। এভাবে নিয়মিত সেবনে ঠান্ডা ও জ্বর শুধু সাময়িক দূর হবে না বরং শরীরে এগুলোর প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়বে। 


হৃদরোগ থেকে বাঁচতে 


প্রতিদিন রসুনের কয়েকটি কোয়া কাঁচা বা আধা সিদ্ধ করে সেবনে কেলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। আর রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতেও রসুন কাজ করে। রসুনের মধ্যে থাকা সালফার-ভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন মূলত স্বাস্থ্যে এই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, রসুন কাঁচা সেবন সবচেয়ে ভালো। সিদ্ধ করা হলে অ্যালিসিনের ঔষধি গুণ কমতে থাকে।


 


ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে 


ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে হাজার বছর ধরেই রসুন ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের কৃমি দূর করতে রসুনের নির্যাস ভালো কাজ করে। রসুনের নির্যাস থেকে ‘মাউথ ওয়াশ’ (মুখের ভেতর পরিষ্কারের তরল) তৈরি করা যায়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বন্ধ হয়।


 


ক্যানসার প্রতিরোধে 


প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা ও রান্না রসুন সেবনের মাধ্যমে পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।


 


ত্বক ও চুলের যত্নে 


নিয়মিত রসুন সেবনে ত্বক সুন্দর হয় ও বয়সের ছাপ দূর হয়। এ ছাড়া ফাঙ্গাশ ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে ত্বক সুরক্ষায় নিয়মিত রসুন সেবন করতে হবে। আর চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে রসুন ভালো কাজ করে। এই উপকার পেতে মাথায় নিয়মিত রসুনের নির্যাস বা রসুন সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে হবে। 


কাটা সারিয়ে তুলতে 


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রসুনের অনেক ব্যবহার বিস্মৃত হয়ে গেছে, যার একটি হলো কাটা সারিয়ে তোলা। কাঠ বা বাঁশে ছোট টুকরো শরীরে কোথাও ঢুকে গেলে তা বের করে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে লাগিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে শরীরের ওই অংশে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠবে ওই কাটা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ