আমি কিছুতেই মানুষের ব্যবহার বুঝতে পারি না।মানে সে কেন এই ব্যবহার করছে,তার এই ব্যবহারের মানে কি ইত্যাদি অনন্যা তুলনায় আমি কম বুঝি।তাছাড়া কথার প্যাঁচও আমি বুঝতে পারি না।এজন্য অনেক বন্ধুরাই আমাকে অপমান করে।এজন্য সবাই আমাকে বোকা,সরল টাইপের ছেলে বলে।এখন আমি কিভাবে মানুষের ব্যবহার আর কথার প্যাঁচ সহজেই বুঝতে পারবো?আশা করি প্রশ্নের যথাযথ উওর দিয়ে আমাকে সহায়তা করবেন।
Share with your friends
Call

আপনি বন্ধু প্রিয় ব্যক্তি আমি সেটা বুঝতে পেরেছি ।

.
আপনি যখন আপনার বন্ধুদের সাথে থাকবেন তখন সিমিত কম কথা বলবেন।  যখন তারা আপনার সম্পর্কে বলবে আপনি হাবা বলদ তখন আপনি তাদের কে বলবেন * ধন্যবাদ বন্ধু আমার মোত বলদ তোদের সাথে থাকতে পেরে।  
.
আপনি কোথাও কোন কথা বলার আগে একবার হলেও ভেবে নিবেন।

যখন তখন কারোর সাথে মিসবেন না।  
.
স্মার্ট হেয়ার স্টাইল ফ্লো করবেন।  প্রতিদিন ব্যায়াম করবেন।  
Talk Doctor Online in Bissoy App

নিচে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম আশাকরি উপকারে আসবে-

* কোন কিছু জানতে উৎসাহী থাকুন

সব সময় উৎসুক থাকুন। একজন উৎসাহী মানুষ যেকোন কিছু খুব সহজেই শিখে ফেলতে পারে। এমন একটি দারুণ গুনকে নিজের ভেতর ধারণ করার চেষ্টা করুন। আপনি যখনই এই চর্চাটা শুরু করে দিবেন, কিছুদিন পর নিজেই টের পাবেন যে, আপনার মস্তিষ্ক আগের চেয়েও দারুণ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, আর আপনি প্রতিদিনই নিজেকে অনেক বেশি স্মার্ট করে তুলছেন ।

*নতুন কিছু শিখতে সব সময় প্রস্তুত থাকুন

শেখার ক্ষেত্রে কোথাও না শব্দটি বলবেন না । আপনি নিজেও জানেন না আজকে যেটা শিখছেন সেটা কখন কীভাবে কোন পরিস্থিতিতে আপনার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে এসে কাজে লেগে যাচ্ছে । তাই বলছি, সবসময় নতুন কিছু শেখার জন্য প্রস্তুত থাকুন আর সুযোগ পেলেই শিখে ফেলুন । এর ফলাফল হয়ত আপনি সাথে সাথেই পেয়ে যেতে পারেন অথবা ভবিষ্যতে যে কোন পর্যায়ে এটা আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে ।

*প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়ুন

সারা পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে তার সম্পর্কে প্রচুর তথ্য জানতে পারবেন নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমে । যা আপনাকে তথ্যগত দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। আপনি যখন এতকিছু নিয়ে জানবেন, তখন আপনি অকল্পনিয়ভাবেই নিজে নিজে স্মার্ট হয়ে উঠছেন । 

*ভাল ভাল বই পড়ুন

বই পড়া আপনার সৃজনশীলতাকে প্রখর করে তুলবে, আর আপনার ভেতরের সংকীর্ণ চিন্তা ও সীমাবদ্ধতাকে দূর করে দেবে । তাই বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন । চেষ্টা করুন ভাল ভাল বই টানা শেষ করে যেতে । এটা আপনাকে শুধু স্মার্টই করবে না, আপনার জীবনে নানা ভাবে অবদান রাখতে সাহায্যও করবে 

*নতুন নতুন আইডিয়া বের করুন

একটি ব্যাপারে সবাই একমত যে, নতুন নতুন আইডিয়া যেসব মানুষ তৈরি করতে পারে তারা তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে বেশি স্মার্ট হয় । স্মার্ট হতে হলে শেখার জন্য আপনার মনের দরজা সব সময় খোলা রাখতে হবে, চারপাশ থেকে গ্রহণ করুন, শিখুন- যেটা আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে ।   

*স্মার্ট লোকজনদের সাথে চলুন

স্মার্ট মানুষজনের সাথে মিশুন, সময় দিন। তাদের কাছে অনেক কিছু শিখতে পারবেন আপনি। নতুন নতুন আইডিয়াসহ আপনি অনেক অজানা বিষয়ে জানতে ও শিখতে পারবেন তাদের কাছে । যেটা আপনার স্মার্ট হওয়ার পক্ষে খুব কাজে দেবে ।  

*মনকে উজ্জবিত রাখুন

আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে নিজের মনকে উজ্জিবিত রেখে যেতে পারেন, তাহলে আপনার মন সক্রিয় থাকবে এবং আগের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থায় কাজ করবে । মনকে সতেজ রাখুন, দেখুন কি দারুনভাবেই না আপনার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে । আপনি নিজেই বুঝবেন কি ম্যাজিকের মতো দিনে দিনে অনেক বেশি স্মার্ট হয়ে উঠছেন আপনি ।  

*আইডিয়াগুলোকে সব সময় লিখে রাখুন

আপনার মাথায় যে আইডিয়াই আসুক না কেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে লিখে রাখুন । সব সময় সাথে একটি ছোট নোটবই রাখতে পারেন । তবে আজকাল স্মার্ট ফোনে দারুণ কিছু এপস আছে । গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনার স্মার্ট ফোনে এমন একটি এপস ডাউনলোড করে নিতে পারেন । মাঝে মাঝে নোটে লিখে রাখা আইডিয়াগুলো পড়বেন । এর ফলে আপনি জানতে পারবেন কোথায় আপনার শক্তি আর কোথায় কোথায় দুর্বলতা । আপনার দুর্বলতা এবং শক্তির জায়গা বুঝে শুনে পরিকল্পনা করাটা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে ।  

*যা জানেন তা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আপনি যা শিখেছেন, আপনি যেটা জানেন সেটা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন । এর ফলে আপনি আপনার আইডিয়া সম্পর্কে তাদের মতামত, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে পারবেন । একই সাথে অন্যদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার আইডিয়ার একেবারে স্বচ্ছ একটি ছবি আপনা আপনি তৈরি হয়ে যাবে আপনার মস্তিষ্কে । যেটা আপনার আইডিয়াকে আগের চেয়েও সুক্ষ ও পরিপূর্ণ করে তুলবে । তাই কখনো নিজের আইডিয়া অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভয় পাবেন না ।   

* অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও দেখুন

আমরা নিজেরাই অনেক সময় জানিনা কতটা প্রতিভা আমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে । নিজেকে আবিস্কার করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ । জেনে রাখুন, আপনাকে দিয়ে সব কিছু খুব ভাল মতো করানো সম্ভব নয়, তবে আপনি এমন কিছু করতে পারেন যেটা সত্যি আপনি ছাড়া অন্য কেউ তেমনভাবে পারবে না । অর্থাৎ এই কাজটাই আপনার প্রকৃত শক্তির জায়গা । স্টিফেন হকিং যদি নিজেকে একজন কুস্তীগির হিসেবে তৈরি করতে চাইতো, সেটা বলা যায় একেবারেই একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা হত, আবার জন সিনা যদি বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং হওয়ার চেষ্টা করত, তাহলে আমরা তার মতো একজন বিশ্বসেরা রেসলারকে কখনোই পেতাম না । তাই কার ভেতরে কি লুকিয়ে আছে সেটা খুঁজে বের করাটাই সব থেকে কঠিন কাজ । আবার ধরা যাক, আপনি আপনার শক্তির জায়গাটা খুঁজে পেয়েছেন, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হবে টিকে থাকাটা । আপনি যে আসলেই এই কাজটি ভাল পারেন, কাজটি যে আপনাকে অন্যদের চেয়ে সেরা বানাবে এই বিশ্বাসটা তৈরি করা। ধন্যবাদ।

Talk Doctor Online in Bissoy App