সত্যবাদী হওয়া, ধৈর্যশীল হওয়া কোমল স্বভাবের অধিকারী হওয়া, দ্বীনী কাজে একনিষ্ঠ হওয়া কথায় ও কাজে মিল থাকা, ধর্মীয় জ্ঞান সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমান ধারণা থাকা ইত্যাদি।
ইসলামের দিকে যারা ডাকেন তাদেরকে দাঈ বলে। অথবা, একজন মুসলিম যিনি দাওয়াতের কাজ করেন, একজন ধর্মীয় কর্মী হিসাবে বা স্বেচ্ছাসেবী সাম্প্রদায়ীক প্রচেষ্টা হিসাবে, যেভাবেই হোক তাকে বলা হয় দাঈ। দাওয়াত এর গুরুত্ব সমন্ধে কুরআনে বহুবার জোর দেওয়া হয়েছেঃ আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম যে আল্লাহর দিকে আহবান জানায় এবং সৎকাজ করে। আর বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। (ফুসসিলাতঃ ৩৩) আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল যেন থাকে যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে, আর তারাই সফলকাম। (আল-ইমরানঃ ১০৪) তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য যাদের বের করা হয়েছে, তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে, অসৎকাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনবে। (আল-ইমরানঃ ১১০) আর আহলে কিতাবগণ যদি ঈমান আনতো তবে তা ছিল তাদের জন্য ভাল। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুমিন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ফাসেক। একজন দাঈ এর কর্তব্য হচ্ছেঃ দীনের দাওয়াত দানকারী দাঈ এর আল্লাহর রাস্তায় আহ্বান করতে হলে কিছু গুণাবলী অর্জন করতে হয়। দাঈকে সর্বপ্রথম একজন মুসলিম হতে হবে। শরয়ী জ্ঞানে পারদর্শী হওয়া দ্বীনী ইলম ছাড়া জাতিকে পথ প্রদর্শন করা অসম্ভব।