পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।যেহেতু আমি একজন মুসলিম,তাই আমাকে সর্বদা পাক-পবিত্র থাকতে হয়।আমার পবিত্রতা নিচের কাজগুলি করলে ক্ষুণ্ণ হয় কি? ১)প্রসাব,গোসল করার পর বা হাত/পা ধোয়ার পর সেই ধোয়ার পানি মেঝেতে পরে আবার আমার গায়ে লাগলে অপবিত্র হবে কি? ২)ঘরের ধুলোবালি তো কমন ব্যাপার।যেখানে ব্যবহারের বস্তু গুলো থাকে সেখানে ধুলা/ময়লা লাগলে তা ব্যবহার করলে পবিত্রতা বজায় থাকে কি? ৩)বেসিন/কমোড/গোসল খানা তে পানি ঢালার সময় সেই পানি গায়ে ছিটে আসলে পবিত্রতা বজায় থাকে কি? ৪)প্রসাবের সময় সবসময় সন্দেহ হয় যে প্রসাবে ছিটে গায়ে লাগছে।এমন হলে করণীয় কি?সব জায়গা তো বারবার ধৌত করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। ৫)নিজের ঘাম,চোখের ময়লা,কফ নিজের হাতে মুছলে পবিত্রতা বজায় থাকে কি? বিষয় গুলো খুবই ঝামেলার।আমাকে আমার ধর্ম পালনে সহায়তা করুন।ধন্যবাদ :)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১...গায়ে পানি ঢালার সময় আগে শরীর হতে অপবিত্র ব্যক্তির নাপাকী দুর করতে হবে। রাসুল (সাঃ) আগে গুপ্তঅঙ্গে এবং গায়ে যে নাপাকী লেগেছিল তা ধুলেন। পরে তাঁর শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গেলেন এবং উভয় পা ধৌত করলেন। আপনি এমন নিয়ম অনুসরন করুন। ২.. ঘরের ধুলোবালি সেখানে ব্যবহারের বস্তু গুলোর ধুলা ময়লা লাগলে বা ব্যবহার করলে পবিত্রতা বজায় থাকে। ৩... বেসিন কমোড গোসল খানাতে পানি ঢালার সময় সেই পানি গায়ে ছিটে আসলে পবিত্রতা বজায় থাকে। তবে তা সর্ত সাপেক্ষে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে, অতঃপর সে স্থানে গোসল করে। এমন হলে পরিহার করুন। অতঃপর সেখানে অজু করে। কেননা অধিকাংশ অসওয়াসা সন্দেহ এটা হতেই সৃষ্টি হয়ে থাকে। ৪.. প্রসাবের সময় সবসময় সন্দেহ হয় যে প্রসাবে ছিটে গায়ে লাগছে। এমন হলে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সন্দিহান বিষয় হতে নিজেকে রক্ষা করেছে, সে নিজের দ্বীনকে পবিত্র করেছে এবং নিজের সম্মানকেও রক্ষা করেছে। ৫.. নিজের ঘাম, চোখের ময়লা, কফ নিজের হাতে মুছলে পবিত্রতা বজায় থাকে। [কিছু বলার থাকলে মন্তব্য করুন]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ