শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নারী পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী, সমাজের সচল জোড়া চাকার অন্যতম। পরিবারের ভিত্তি ও শিক্ষার প্রথম স্কুল এই নারী। প্রত্যেক মহান পুরুষের পশ্চাতে কোন না কোন নারী লুক্কায়িত থাকে অথবা পুরুষের মহত্বের পিছনে এই নারীর হাত অবশ্যই থাকে।  দাম্পত্য জীবনে  স্বামী-স্ত্রী উভয়েই উভয়ের মুখাপেক্ষী। প্রত্যেকের সন্মান মযা'দা, প্রত্যেকের সব-সব অধিকার  রয়েছে অপরের উপর। ইসলামে এই হল ভারসাম্যমূলক পারস্পরিক সহায়তাভিত্তিক প্রেম-প্রীতির সুন্দরতম জীবন ব্যবস্থা। মানুষ হিসাবে সমান অধিকার সকলের। কিন্তু তাহলেও সমাজে সুশৃঙ্খলার জন্য নেতা ও মান্যব্যক্তির বিশেষ প্রয়োজন। নচেৎ স্বাই ‘মোড়ল’ হলে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে না। নারী-পুরুষের ভূমিকা সমান হলেও নারীর উপর পুরুষের কর্তৃত্ব রয়েছে। নারী জাতিকে অপেক্ষাকৃত দুর্বলরূপে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ঘোষণাঃ- هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ অর্থাৎ, ‘‘তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।’’[1] ﴿وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ﴾ ‘‘নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের। কিন্তু নারীদের উপর পুরুষদের কিছু মর্যাদা আছে।’’[2] ﴿الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ﴾  ‘‘পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ শ্রেষ্ঠত্ব এজন্য যে, পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে থাকে।’’[3] সুতরাং নারী পুরুষদের নেত্রী হতে পারে না। নেতার অর্ধাঙ্গিনী, রানী বা রাজমাতা হয়েই তো নারীর বিরাট গর্ব। ‘অতএব জাগো জাগো গো ভগিনী, হও বীরজায়া বীর-প্রসবিনী।’ ইবাদতেও  স্বামী স্ত্রীর ইমাম।  স্বামী অশিক্ষিত এবং স্ত্রী পাকা হাফেয-কবারী হলেও ইমামতি  স্বামীই করবে।[4] পরন্তু স্ত্রী  স্বামীর পশ্চাতে দাঁড়িয়ে (জামাআত করে) নামাজ পড়বে।[5]  স্বামীর উপর স্ত্রীর অনস্বীকার্য অধিকারঃ-  স্বামীর উপর স্ত্রীর বহু অধিকার আছে, যা পালন করা  স্বামীর পক্ষে ওয়াজেব। সেই সমস্ত 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

স্ত্রীর সম্মান সন্তানের মা হিসেবে পিতার তুলনায় তিনগুণ বেশি৷ কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে স্ত্রীর তুলনায় স্বামীর সম্মান বেশি৷ হাদীসে আছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি যদি কাউকে আদেশ করতে পারতাম যে, সে অন্য কাউকে সিজদা করবে, তাহলে স্ত্রীকে বলতাম, তুমি তোমার স্বামীকে সিজদা করবে৷ -তিরমিযী এ থেকেই অনুমান করা যায় স্বামীর সম্মান কতটুকু স্ত্রীর তুলনায়৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

স্ত্রীর সন্মান মর্যাদা বেশি।এখানেও রসুল (সা.) নারীকে পুরুষের ওপরে স্থান দিয়েছেন। বলেছেন, যার স্ত্রী সাক্ষ্য দেবে তার স্বামী ভালো, তার জন্য জান্নাত অপরিহার্য। কারণ, একমাত্র স্ত্রীই জানে তার স্বামী ভালো না মন্দ। স্ত্রীর পর নারীর আরেকটি রূপ কন্যা। এ কন্যা সম্পর্কেও রসুল (সা.) বলেছেন, যে পিতা বা ভাই একটি কন্যাকে ভালোভাবে লালন-পালন করবে তার জন্য একটি জান্নাত। দুটি কন্যা লালন-পালন করলে দুটি জান্নাত। অথচ কোথাও বলা হয়নি একটি পুত্রসন্তান লালন-পালন করলে একটি জান্নাত বা এই প্রতিদান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ