আমার ইচ্ছা আমি মাসরাফির মতো ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেব... এতে আমাকে কোন কোন বিষয়েরর প্রতি জ্ঞান অর্জন করতে হবে  হবে। এবং কি কি গুন থাকতে হবে আমার মধ্যে।  প্লিজ জানাবেন 

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ক্রিকেটার হতে চাইলে প্রথমে মনস্থির করতে হবে। এটা কি শুধুই শখ নাকি পেশা? কারণ পেশা হিসেবে নিতে চাইলে এ বিষয়ে অবশ্যই পড়ালেখা করতে হবে। কারণ ক্রিকেট খেলতে সবারই ভালো লাগে। তবে শখ আর পেশার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই আগে মনস্থির করুন, কী চান। মনস্থির করার পর প্রাথমিক প্রস্তুতিটা নিতে হবে বাসা থেকেই। পরিবারের অনুমতি নিয়ে তবেই নামতে হবে ক্রিকেটযুদ্ধে। শুরুতে শিখতে হবে খেলতে খেলতে। তবে এজন্য প্রয়োজন হাতে-কলমে শিক্ষা। আর সেজন্যই নিতে হবে প্রশিক্ষণ।

 

যেভাবে ভর্তি হওয়া যায়:

আমাদের দেশে প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠান। তবে লেখাপড়া করার জন্য রয়েছে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান, যার নাম বিকেএসপি। এখান থেকে যারা ক্রিকেট শিখতে চায়, তাদের বয়স হতে হবে ১২-১৩ বছর। তারা ভর্তি হতে পারবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে। বছরের শুরুতেই পত্রিকায় দেওয়া হয় ভর্তির বিজ্ঞাপন। সে অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত, বর্তমান ঠিকানা ও চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ লিখিত আবেদন করতে হবে। বিকেএসপির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্দিষ্ট দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তির জন্য বাছাই করা হবে। মহাপরিচালকের কাছে যাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে, তাদের সঙ্গে বিকেএসপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে।

 

যেভাবে বাছাই করা হয়:

প্রাথমিক বাছাইয়ে সাধারণত স্বাস্থ্য ও বয়স এসব বিষয় দেখা হয়। এ ছাড়া স্পোর্টস সায়েন্টিস্ট দেখবেন, প্রার্থী খেলার জন্য উপযুক্ত কিনা। প্রাথমিক বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে ফিটনেস দেখা হয়। তৃতীয় পর্বে ভর্তি ইচ্ছুককে মাঠে পাঠানো হবে। সেখানে কিছু মৌলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রাথমিক বাছাইয়ে যারা টিকবে, তাদের নিয়ে সাতদিনের অনুশীলন ক্যাম্প হবে। সাতদিন সকাল-বিকাল অনুশীলনের পর নেয়া হবে লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা হয় ১০০ নম্বরে। এখানে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর পরীক্ষা নেয়া হয়। সাধারণ জ্ঞানে সাধারণত খেলাধুলার ওপর মৌখিক প্রশ্ন করা হয়। ভর্তির পর শুরু হবে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ। এর পর প্রার্থীর সক্ষমতা প্রমাণের পালা। এখানে প্রতিনিয়ত গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা হয়। এ প্রতিযোগিতায় সবসময় দক্ষতা দেখাতে হবে। প্রশিক্ষণের পর এসএসসি পাস করলে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। দক্ষতার ভিত্তিতে সুযোগ মিলবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খেলার। খেলোয়াড় হতে চাইলে ক্রিকেটের নিয়ম কানুনগুলো ভালোভাবে জানা দরকার।

 

ক্রিকেট নিয়ম না জানলে খেলবে কেমন করে?  

খেলোয়াড় হতে চাইলে  ক্রিকেটের যে আইনগুলো জানা দরকার তা হলো ক্রিকেটের আইন মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) কর্তৃক প্রণীত একগুচ্ছ নিয়ম-কানুন দ্বারা তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এ আইন অনুসৃত হয়। বর্তমানে ক্রিকেট খেলা পরিচালনার জন্য ৪২টি আইন রয়েছে। এর মাধ্যমে কীভাবে খেলা শুরু হবে, জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে, কীভাবে ব্যাটসম্যান আউট হবে, পিচের মাপ, প্রস্তুত-প্রণালী ও সংরক্ষিত হবেইত্যাদি বিষয়গুলোর বিস্তারিত রূপরেখা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ১৭৮৮ সালে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নের দায়িত্ব নেয়া এমসিসি। ইংল্যান্ডের লন্ডনভিত্তিক ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লাবরূপে এমসিসি ক্রিকেটের আনুষ্ঠানিক পরিচালনা পরিষদ না হলেও এ ক্লাবটি খেলার আইনের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ করছে। কেবলমাত্র তারাই এ আইন পরিবর্তন করতে সক্ষম। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ও বৈশ্বিক পরিচালনা পরিষদরূপে পরিচিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তারা এর পরিবর্তন ঘটায়। স্বল্প কয়েকটি খেলার মধ্যে ক্রিকেটে নিয়ম-কানুনঅথবা ধারাব্যবহার না করে আইনপ্রয়োগ করা হয়।

 

সঠিক প্রশিক্ষণই বয়ে আনবে সাফল্য

খালেদ মাসুদ পাইলট। জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে অবসর গ্রহণ করলেও ক্রিকেট থেকে এখনও অবসর নেননি। নিজে ক্রিকেট না খেললেও এখন তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো এই ক্রিকেটার। বর্তমানে রাজশাহীতে একটি ক্রিকেট একাডেমিতে স্বপ্নবাজ তরুণদের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছেন তিনি। ক্রিকেটকে ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তোলা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো

বিকেএসপিতে যারা সুযোগ পাননা তাদের জন্য আপনি কী বলবেন?

বিকেএসপিতে যারা অংশগ্রহণে ব্যর্থ, তারা নিজেদের মতো করে লোকাল প্রশিক্ষণও শুরু করতে পারে। সবাই যে বিকেএসপি থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পায় আসলে তা নয়। আমাদের দেশেরই অনেক খেলোয়াড় তৃণমূল থেকে উঠে এসেছে। এটা কোনো বিষয় না, খেলোয়াড় যেকোনো অবস্থান থেকে উঠে আসতে পারে।

 

শুরুর দিকে নির্দিষ্ট কাউকে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি?

প্রত্যেকেই কারও না কারও অনুসারী। আর এই অনুসরণও বয়ে আনতে পারে জীবনের চরম সাফল্য। অনুসরণকৃত ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ইত্যাদি কৌশলগুলো আয়ত্ব করার চেষ্টাও অনেক বড় প্রশিক্ষণ।

 

অনেকেরই ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন থাকে একজন সফল ক্রিকেটার হওয়ার। তাদের জন্য কী করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

সবারই ছোটবেলায় কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকেই। তবে বয়সের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নের পরিবর্তনও ঘটে। সফলতা তাদের বেলাতেই ঘটে যারা নিজের স্বপ্নতে দীর্ঘদিন লালন ও পালন করতে পারে। আর তারা নিজেরাই নিজেদের স্বপ্ন কায়েমের নানা রাস্তা বের করে ফেলে। এখন আমাদের দেশের প্রত্যেক পরিবারের অভিভাবকই তাদের মনের অন্তরালে ভেবে থাকেন তাদের সন্তানদের কেউ একজন যদি আজ জাতীয় দলে খেলত। তাই স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকরা নিজ থেকেই যদি তার সন্তানকে ক্রিকেটার বানানোর জন্য চেষ্টা করে তাহলে অনেক পথ আছেন। যেমন ধরুণ স্থানীয় ক্লাব, যেই স্কুলে পড়াশুনা করে সেই স্কুলের ক্রিকেটে তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আর বিকেএসপি তো আছেই। কেউ যদি নিজের নিষ্ঠা ও আগ্রহ দিয়ে ক্রিকেটে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারে তাহলে অবশ্যই তার স্বপ্ন পূরণ হবে।

 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

একজন ভাল মানের ক্রিকেটার হতে হলে অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। এখনকার সেরা সেরা সব ক্রিকেটারই প্রচুর অনুশীলন করেছেন এই কাতারে পৌঁছাতে। অনুশীলনের শুরু করার পূর্বেই শুরুতেই খেয়াল রাখা উচিৎ কোন পজিশনে খেলবো। যেমন, ব্যাটসম্যান, বোলার, উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান বা অলরাউন্ডার। এখন আমি যদি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলি তবে অবশ্যই আমাকে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে বেশি। অথবা আমি যদি বোলার হই তবে আমাকে বোলিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে। আর অলরাউন্ডার হতে হলে নিয়ম করে দুই ক্ষেত্রেই সমান মনোযোগ দিতে হবে। একজন ভালো ক্রিকেটার হতে হলে অধ্যবসায়ীর বিকল্প নেই। খেলায় নিয়মিত হতে হবে। এছাড়াও ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মোট কথা, মূল মনোযোগ ক্রিকেটকে ঘিরেই থাকতে হবে। স্বপ্ন যদি হয় ক্রিকেটার হবার তাহলে ছোট থেকেই সেটাতে মনোযোগ দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ক্রিকেট একাডেমী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্রিকেট অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এই খেলায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। তাই যারা ক্রিকেটার হতে চায় তাদের অবশ্যই একাডেমীতে অনুশীলন করা উচিৎ। তবে একবারেই কেউ বড় ক্রিকেটার হতে পারেন না। এর জন্য লেগে থাকতে হবে। বয়স ভিত্তিক (অনূর্ধ) খেলে আসতে হবে। পাশাপাশি ডিভিশন পর্যায়ে খেলেও উন্নতি করা সম্ভব। এ জন্য হতাশ হওয়া চলবে না। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

শুধু মাত্র এই তিনটিগুল থাকলেই চলবে। 


  1. Concentration = একাগ্রতা 
  2.  patience = ধের্য
  3. practice = অনুশীলন 



মনে রাখবেন, practice makes a man perfect .   
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ