শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই স্কুল-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বিতর্ক প্রতিযোগিতা ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের ভান্ডারকে বিকশিত করে। সেই সাথে একজন শিক্ষার্থীকে নেতৃত্বদানের মতো যোগ্যতা তৈরী করতে সাহায্য করে। শুধু তর্কের খাতিরে তর্ক নয়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আলোচনা সমালোচনা হয়। ফলে অংশগ্রহনকারী ও শ্রোতা, উভয়ের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে। কিভাবে একজন ভাল তর্কবাগীশ হওয়া যায় সেটা নিয়েই আজকের আলোচনা।
তর্কবাগীশ হতে চাইলে:
কথায় আছে, যেই মুলোটা বাড়ে তা পত্তনেই বোঝা যায়। তাই ছোটবেলা থেকেই স্কুলপর্যায়ে যেসব বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিতর্কে অংশগ্রহণের জন্য অনেক বিষয় সম্পর্কে প্রচুর পড়ালেখা করতে হয়। আর যেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হবে তা সম্পর্কে ভালোভাবে না জানলে প্রতিপক্ষের সাথে সমান তালে তর্ক করা যাবে না। তাই ওই নির্দিস্ট বিষয়ে জ্ঞানের পরিধি আরও ব্যাপক হতে হয়।
আশেপাশে কোথায় কি ঘটছে প্রতিনিয়ত এই ব্যাপারে জানতে হলে অবশ্যই প্রতিদিন সবাদপত্র ও খবর দেখার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও এখন বাজারে অনেক বই পাওয়া যায় সাধারণ জ্ঞানের। এগুলো পড়লে সহজেই জানা যাবে দেশ ও বিদেশে কখন কি হচ্ছে, কবে কোন আইন টি পাশ হয়েছে, কার সাথে কি চুক্তি হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে। যা একজন তার্কিকের বিতর্কের জন্য অবশ্যই জানা থাকা জরুরি।
এখন আসা যাক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আপনি কিভাবে যুক্তি তর্ক খণ্ডাবেন, কোন কোন ব্যাপার মেনে চললে আপনার পারফরমেন্স ভালো হবে সেই বিষয়ে:
বিতর্কটাকে মজা নিয়ে উপভোগ করুন। কখনোই বেশি মানুষ দেখে নার্ভাস হয়ে যাবেন না বা স্ট্রেস নেবেন না। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীকে শত্রু ভাবার কোন কারণ নেই। স্টেজের বাইরে এরাই হতে পারে ভালো বন্ধু। নতুন মানুষের সাথে মিশতে পারছেন, নতুন নুতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছেন, আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ছে এসব ভেবে বিতর্ককে ইতিবাচক ও শিক্ষণীয় ভাবুন।