উল্লেখিত হাদীস অনুসারে বিবাহের পূর্বে নাবালেগ মেয়েদের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ করা বা দেওয়া যাবেনা। নাবালেগ মহিলাকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। এতদানুসারে আলিমগণ বলেন, সুস্পষ্ট ভাবে না বলা পর্যন্ত অকুমারী মহিলার বিবাহ হতে পারে না। যদিও তার অলী তার অনুমতি ব্যতিরেকে তার বিবাহ দিয়ে দেয় এবং সে তা অপছন্দ করে তবে অধিকাংশ উলামার মতে, তার এ বিবাহ বাতিল হবে। অলী অনুমতি গ্রহণ না করে কুমারী কন্যাকে বিবাহ প্রদানের বিষয়ে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কুফাবাসী এবং অপরাপর অধিকাংশ আলিমের মতে অলী যদি তার সাবালিকা কুমারী কন্যাকে সম্মতি না নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয় আর সে পিতৃপ্রদত্ত এই বিয়েতে সন্তুষ্ট না হয় তবে এই বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে। ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উসমান ইবনু মাযঊন (রাঃ) ইন্তিকালের সময় তার একটি কন্যা সন্তান রেখে যান। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, আমার মামা এবং ঐ মেয়ের চাচা কুদামা মেয়েটির পিতার মৃত্যুর পর মেয়েটির সাথে পরামর্শ না করেই তাকে আমার সাথে বিবাহ দেন। সে তার দেয়া এ বিবাহ অপছন্দ করে এবং মুগীরাহ ইবনু শু’বাহর সাথে বিবাহিত হতে পছন্দ করে। অতএব কুদামা মুগীরার সাথে তার বিবাহ দেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১৮৭৮] ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অকুমারী মহিলাকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। কুমারী মহিলাকেও তার সম্মতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর চুপ থাকাই তার সম্মতি। [সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১১০৭] কুতায়বা (রহঃ) ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অকুমারী মেয়ে নিজের ব্যপারে তার ওলীর অপেক্ষা অধিক হকদার। কুমারীর বেলায় তার বিষয়ে তার নিকট থেকে অনুমতি নিতে হবে। আর তার চুপ থাকা অনুমতি। [সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১১০৮]