কলেজে যে দারিদ্রদের জন্য উপবৃত্তির নাম দেয় এই বিষয়ে একটা দরখাস্ত লিখে দিন। আমার পরিবার অনেক দরিদ্র+ঋণগ্রস্থ। বাবা দিন মজুর। শুনেছি কলেজে শতকরা 10% ছেলেদেরকে উপবৃত্তি দেয়। আর এই 10% ছেলের মধ্যে যাতে আমাকেও কলেজ কতৃপক্ষ বিবেচনা করে এ বিষয়ে একটি দরখাস্থ লিখতে সহায়তা করুন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার কলেজেই উপবৃত্তি ফরম থাকার কথা। সেখান থেকে ফরম সংগ্রহ করে নিন্মোক্ত তথ্য ও শর্তের আলোকে ফরম পূরণ করে জমা দিন। সবচেয়ে সুন্দর হয়, আপনি আপনার কলেজের একজন বিশ্বস্ত টিচারের সাথে পরামর্শ করুন। তার দেয়া পরামর্শ মতে সামনে অগ্রসর হোন। সহায়তার জন্য নিম্নোক্ত তথ্যগুলো কাজে লাগাতে পারেন।


উপবৃত্তির চাহিদা পত্র পুরণ করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অনুসরন করতে হবে:

 কম্পিউটার থেকে প্রিন্টকৃত চিহিদা পত্রের ১,৪,১০ ও ১১ নং কলামের শিক্ষকদের কোন কাজ নেই ।
 ২ ও ৩ নং কলামের নাম ও মোবাইল নং পরিবরতন করা যাবে না।
 ৫ নং কলামে ‍ছাত্রছাত্রীর নাম ইংরেজী বড়হাতের অক্ষরে লিখতে হবে।
 ৬ ও ৮ নং কলামে শ্রেনীর তথ্য অবশ্যই লিখতে হবে।
 ৭ও ৯ নং কলামে টাকার পরিমান আলাদা আলাদা ভাবে লিখতে হবে।
 ১২ নং কলামে কারও মোবাইল নং পরিবর্তন হলে নতুন মোবাইল নং লিখতে হবে।
 কোন অভিভাবককে বাদ দিতে হলে তার row / সারি সহ বাদ দিতে হবে। তার স্থানে নতুন ছাত্রছাত্রীর নাম লিখা যাবে না।
 যৌথ কার্ডের ক্ষেত্রে একটি সারিতে একাধিক ছাত্রছাত্রীর তথ্য প্রদান করা যাবে না। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর জন্য আলাদা আলাদা সারিতে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর ঘরে তার প্রাপ্য টাকার পুরোটায় লিখতে হবে অর্থাৎ কোন অভিভাবকের ৩ জন ছেলেমেয়ে থাকলে তারা যদি প্রত্যেকেই সকল মাসেই নির্দিষ্ট পরিমান উপস্থিত থাকে তবে ৩ মাসে তাদের নামের পাশে ৩০০ করে টাকার চাহিদা দিতে হবে। অর্থাৎ প্রত্যেককে একক ছাত্রছাত্রী ধরে নিয়ে তার চাহিদা দিতে হবে। সফটওয়ারে সয়ংক্রিয়ভাবে ৭৫০ টাকা হয়ে যাবে। অন্যন্য ক্ষেত্রেও একই নিয়োম প্রযোজ্য হবে।
 নতুন আবেদন ফরম/কেওয়াইসি ফরম পূরন করতে হবে কেবলমাত্র নতুন মা/ অভিভাবকদের ক্ষেত্রে। অন্য বিদ্যালয় থেকে টিসি নিয়ে এসে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীর জন্য নতুন করে আবেদন ফরম পূরন করতে হবে না। তবে তাদের নতুন বিদ্যালয়ে চাহিদা দিতে হবে এবং পুরাতন বিদ্যালয়ের তথ্য বাদ দিতে হবে।


উপবৃত্তি ফরম পূরন করার জন্য যে সকল কাগজপত্র সংগে আনতে হবে।

১। নিজ মোবাইলসহ, পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।

২। এস,এস,সি পাশের মার্কসিটের ফটোকপি।

৩। ৪ কপি রঙিন ছবি।


উপবৃত্তির শর্তাবলী:
৮. অধ্যয়নরত ছাত্রীদের মধ্য হতে সর্বোচ্চ ৪০% দরিদ্র ছাত্রী উপবৃত্তি পাবে;
৯. অভিভাবকের বার্ষিক আয় ৭৫,০০০/- (পঁচাত্তর হাজার) টাকার কম, জমির পরিমান ৭৫ শতাংশের কম থাকা;
১০. উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত অবিবাহিত থাকা;
১১. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সন্তান এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানগণ উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে;
১২. আবেদন পত্রের সাথে অভিভাবকের বার্ষিক আয়, জমির পরিমাণ ও বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে (প্রত্যয়নপত্রের নমুনা ফরম কমিটির নিকট হতে সংগ্রহ করতে হবে)।

যে সকল ছাত্রী উপরোক্ত শর্তাবলী আওতায় পড়বে শুধুমাত্র তারাই উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ