আকীকার গোশত কুরবানীর গোশতের মতই তিন ভাগে বন্টিত হয়। তা নিজে খাবে, আত্মীয় স্বজনকে খাওয়াবে এবং গরীব-মিসকীনকে ছাদকা করবে। এই নিয়ম অনুযায়ী কোরবানীর পশুর সাথে আকিকা দেওয়া যাবে। তবে উত্তম হবে ছাগল দ্বারা।
হাদিসের বানীঃ- ইউসুফ ইবনু মাহাক (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে আবদুর রাহমানের মেয়ে হাফসার নিকট গেলেন। তারা তাকে অাকীকার ব্যপারে প্রশ্ন করলে তিনি তাদেরকে জানান যে, তাকে আইশা (রাঃ) জানিয়েছেন, ছেলে সন্তানের পক্ষে একই বয়সের দুটি বকরী এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষে একটি বকরী আকীকা দেওয়ার জন্যে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন। [সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৫১৩]
মুসাদ্দাদ (রহঃ) উন্মু কুরয কাবিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ বলতে শুনেছি, ছেলের জন্য দুইটি একই ধরণের বকরী এবং মেয়ের জন্য একটি বকরী দিয়ে আকীকা দেওয়া যথেষ্ট হবে। [সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ২৮২৫]
মাসয়ালাঃ- উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে। তবে শরীকদের কারো পুরো বা অধিকাংশ উপার্জন যদি হারাম হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না।
এক্ষেত্রে কোরবানীর পশুর সাথে আকিকা দেওয়া উচিৎ নয়। তবে কোরবানীর পশু পুরাটাই নিজস্ব হলে আকিকার জন্য উত্তম হয়।
সারকথাঃ-আকীকার জন্য উত্তম সময় হলো সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিবস। সপ্তম দিনে আকীকা দিতে না পারলে চৌদ্দতম দিনে, তা করতে না পারলে একুশতম দিনে আকীকা প্রদান করবে। সপ্তম দিনে আকীকা করার সাথে সাথে সন্তানের সুন্দর নাম রাখা, মাথার চুল কামানো এবং চুল এর সমপরিমাণ ওজনের রৌপ্য ছাদকাহ করাও মুস্তাহাব।