শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
JannatiMim

Call

ইসলামে হাসা মানা না। তবে এমন ভাবে হাসা  যাবে না যেটা আপনাকে আল্লাহ থেকে দুরে সরে দেয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামে অট্টহাসি দেওয়া নিষেধ, আর মুচকি হাসি দেওয়া সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি। সহীহ শামায়েলে তিরমিযী, হাদিস নম্বরঃ ১৬৮

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আনন্দে, সুখে মুখে হাসি আসাটা স্বাভাবিক এবং এতে কোনো সমস্যা নেই। আনন্দে হাসি হাসা অবশ্যই জায়েজ।  তবে অকারণে ঠাট্টা-তামাশা করে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে জোরে হাসাহাসি করতে নিষেধ রয়েছে। কোরআনের অনেক স্থানে কাউকে নিয়ে উপহাস করতে নিষেধ করা হয়েছে।  তবে এমন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা যায় যা সত্য এবং যাতে কোনো মানুষের সম্মানের হানি ঘটবে না। কারণ আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স) একবার তাকে 'দুই কানওয়ালা ব্যক্তি' বল সম্বোধন করেছিলেন যা তিনি রসিকতা হিসেবেই বলেছিলেন। এছাড়া আবু হুরায়রাকেও তিনি রসিকতা করে আবু হুরায়রা ডেকেছিলেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মানুষের মুখের হাসি আল্লাহর অনেক বড় একটি নিয়ামত। হাদীসে কাউকে হাসতে দেখলে দুয়া বলার বিধান রয়েছে। সুতরাং ইসলামে হাসি নিষিদ্ধ নয়; বিধিত। তবে হাসির একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সে সীমাবদ্ধতা লঙ্ঘিত হলে তা আর বিধানিক থাকবে না। হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা অধিক পরিমাণে হেসো না। কারণ অধিক হাস্য হৃদয়ের মরণ ডেকে আনে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস ২৩০৫। হাসান বসরী রহ. বলেন, মুমিনের অস্বাভাবিক হাসি হৃদয়ে অন্যমস্কতার লক্ষণ। মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, আসার ২৭২০৯। উমর রা. একদা আহনাফ রা.কে লক্ষ করে বললেন, হে আহনাফ ! যার হাসি বৃদ্ধ পায় তার প্রভাব প্রতিপত্তি হ্রাস পায়। মু'জামে তাবারানী আওসাত, হাদীস ২২৫৯। সারকথা, মুচকি হাসি হলো উত্তম। অট্টহাসি নিষিদ্ধ। মধ্যম স্তরের হাসি বিধিত।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ