আমারা যে ৩ রাকাত বেতরের নামাজ পড়ি,  তাতে ৩য় রাকাতে দোয়া কুনুত পড়ার পূর্বে হাত তুলে আল্লাহ আকবার বলে রাফায়াদান করি । এইটা প্রশংগে জানতে চাই।  এর দলিল সমহ । 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বিতর নামাযের শেষ রাকাতে কুনূতের জন্য তাকবীর বলে হাত উঠাতেন। এ বিষয়ে ইবনে মাসউদ রা. থেকে বিশুদ্ধসূত্রে একাধিক বর্ণনা হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে এসেছে।  ইমাম বুখারী একে সহীহ বলেছেন। [দেখুন: শরহু মুশকিলিল আসার ১১/৩৭৪, শায়খ শুআইব বলেন: এর সনদ হাসান। আলমু‘জামুল কাবীর, তাবারানী ৯/২৪৩ হা.৯১৯২, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/৫৩০ হা. ৭০২১, জুয্উ রাফইল ইয়াদাইন: ইমাম বুখারী পৃ.১৪৬ হা. ১৬৩] হযরত আলী (রাঃ) বলেন, ‘বিতর ফরয নামাযের মত অবশ্যপালনীয় নয়; তবে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাকে সুন্নতের(সুন্নতে মোয়াক্কাদা)রুপদান করেছেন; তিনি বলেছেন, “অবশ্যই আল্লাহ বিতর (জোড়হীন), তিনি বিতর (জোড়শূন্যতা বা বেজোড়) পছন্দ করেন। সুতরাং তোমরা বিতর (বিজোড়) নামায পড়, হে আহলে কুরআন!” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫৮৮নং) আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমযানে নবীজীর নামায কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে এবং রমযানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত(তাহাজ্জত) পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত(তাহাজ্জত) পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন।-(সহীহ বুখারী ১/১৫৪, হাদীস ১১৪৭; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪, হাদীস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮, হাদীস ১৬৯৭; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯, হাদীস ১৩৩৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬, হাদীস ২৪০৭৩) সা‘দ ইবনে হিশাম রাহ. বলেন, হযরত আয়েশা রা. তাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। [-সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; হাদীস ১৬৯৮; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ১৫১ (বাবুস সালাম ফিল বিতর) মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯৪, হাদীস ৬৯১২; সুনানে দারাকুতনী ২/৩২, হাদীস ১৫৬৫; সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১] - كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يسلم في الركعتين الأوليين من الوتر  অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের প্রথম দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। ইমাম হাকেম (রহ.) তা বর্ণনা করার পর বলেন- هذا حديث صحيح على شرط الشيخين অর্থাৎ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহীহ। ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী (রাহ. )‘তালখীসুল মুস্তাদরাক’-এ হাকেম রাহ.-এর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। -মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮০

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ