মানুষের গলার স্বরযন্ত্রে দুইটি পর্দা আছে এদেরকে বলে ভোকাল কর্ড।এটির কম্পনের ফলে গলা থেকে শব্দ নির্গত হয় এবং মানুষ কথা বলে।বয়ষ্ক পুরুষদের ভোকাল কর্ড বয়সের সাথে সাথে দৃঢ় হয়ে পড়ে। কিন্তু শিশু বা নারীদের ভোকাল কর্ড দৃঢ় থাকে না বলে বয়ষ্ক পুরুষদের গলার স্বরের কম্পাঙ্ক কম এবং নারী বা শিশুদের স্বরের কম্পাঙ্ক বেশি হয়। তাই পুরুষদের গলার ষ্বর মোটা কিন্তু শিশু বা নারীদের কন্ঠস্বর তীক্ষ।
মেয়েদের গলার স্বর খুব বেশি পরিবর্তন হয় না বললেই চলে। মেয়েদের দেহে অ্যান্ড্রোজন হরমোনের প্রভাব অনেক কম থাকায় স্বাভাবিক নিয়মে তাদের স্বরযন্ত্রের আকার ও গঠন পাল্টায় না। ছেলেদের স্বাভাবিক কথাবার্তার সময়ে কম্পাঙ্ক সেকেন্ড/ ১২০ বার হয় অথচ মেয়েদের কম্পাঙ্কের সংখ্যা পাওয়া যায় সেকেন্ড/২৫০ বার। গবেষকদের গবেষণায় প্রমানিত, এই জন্য মেয়েদের গলার স্বরের তীক্ষ্ণতা বেশি। কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয় বিধায় মেয়েদের গলার আওয়াজ চিকন,মিস্টি-মধুর ও রিনিঝিনি শোনায়।
আমাদের বয়ঃসন্ধি কালের সময় মস্তিকের পিটুইটারি থেকে লিঙ্গ ভেদে দুটি হরমোন বের হয়, যা আমাদের কণ্ঠ পুরুষালি বা স্ত্রীসুলভ করে। ছেলেদের হরমোনটির নাম টেসটোসস্ট্রেন (Testosterone) ও মেয়েদের হরমোনটির নাম প্রজেস্ট্রোরেন (Progesterone) বি.দ্রিঃ মেয়েদের একই সময় এস্ট্রোজেন ও টেসটোসস্ট্রেন হরমোন নিঃসারিত হয় কিন্তুূ তা কণ্ঠকে গম্ভীর করে না সাধারনত।
মানুষ কথা বলে বাকযন্ত্র বা ভোকাল কর্ডের মাধ্যমে।1থেকে10বছর বয়স পর্যন্ত সকল মানুষের গলার স্বর চিকন থাকে।বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছেলেদের ভোকাল কর্ড দৃঢ় হয়ে যায়।ফলে শব্দের কম্পন কম হয় এবং কথাগুলি মোটা হয়।যার ফলে অধিকাংশ নয় সকল ছেলেদের গলার স্বর মোটা শুনা যায়।অপরদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেয়েদের ভোকাল কর্ড দৃঢ় হয় না।তাই সকল মেয়েদের গলার স্বর চিকন শুনা যায়।....উৎস্য:পদার্থবিজ্ঞান বই(9-10)এর শব্দ ও তরঙ্গ বিভাগ থেকে সংগৃহিত