শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হ্যাঁ ভাই মুসলমানদের জন্য অ্যালকোহল হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অবশ্যই হারাম। নেশা জাতীয় সকল জিনিসই ইসলামে হারাম। যেমন, সিগারেট, জর্দা, গুল, বিড়ি, তামাক, এ্যালকোহল, মদ, গাঁজা, হেরোইন ইত্যাদি ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

একজন ধার্মিক মাত্রই এলকোহল ভীতি রয়েছে। এলকোহল বা মদ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ এর মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবার পর থেকেই বিবেকবান মানুষের কাছে এটা পরিত্যাজ্য। কিন্তু এ এলকোহলের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য কি? এলকোহল মাত্রেই কি হারাম! মদতো একটি বিশেষ শ্রেণীর এলকোহল। এ ছাড়াও তো রয়েছে অসংখ্য এলকোহল, তাহলে সব এলকোহলই কি হারাম? এ নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন আমাদের মনে। এলকোহল সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তাদের তো কথাই নেই, যারা জানেন তাদের মনেও হাজারো প্রশ্নের উঁকি ঝুঁকি। সে কারণেই আমাদের এবারের আলোচনা ইসলামী শরীয়ত এর দৃষ্টিতে “এলকোহল”।


রসায়নের দৃষ্টিতে এলকোহল হলো সে সব যৌগ, যা কিনা হাইড্রোকার্বনের এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণুকে অনুরূপ সংখ্যক হাইড্রক্সিলমূলক (OH) দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলে যা পাওয়া যায়। যেমন-


CH4 (মিথেন) মিথাইল এলকোহল। CH3-CH3 (ইথেন) ইথাইল এলকোহল। CH3-CH3-CH3 (প্রোপেন) প্রোপোইল এলকোহল।- OH মূলকের সংখ্যানুযায়ী এলকোহলকে আবার নিচের কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। ১। মনোহাইড্রিক এলকোহল। ২। ডাইহাইড্রিক এলকোহল। ৩। ট্রাইহাইড্রিক এলকোহল। ৪। পলি হাইড্রিক এলকোহল।


কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রেই এলকোহল বলতে ইথাইল এলকোহলকেই বোঝানো হয়েছে। অন্যান্য এলকোহলের ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ নাম ব্যবহার করলেও এলকোহলের আলোচনায় শুধুমাত্র ইথাইল এলকোহল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যার প্রমাণ Goodman and Gilman Pharmacology, RemingtonÕs Pharmaceutical sciences, Martindale Pharmacopoeia, Text book of medicine etc.


সুতরাং রসায়নের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত এলকোহল হারাম হলে হারাম হবে গ্লিসারিন প্রোপাইলিন গ্লাইকল, ম্যানিটল ইত্যাদি। যেগুলো বহুদিন যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। কেননা সেসব এলকোহলই হারাম বলে বিবেচিত হবে যেগুলোতে নেশাকর প্রকৃতি আছে এবং তা অল্পতেই হোক বা বেশিতেই হোক এবং তা এক ফোঁটাই হোক বা অধিক পরিমাণেই হোক। তাহলে এটা স্পষ্ট সম্মানিত শরীয়ত নিষিদ্ধ করেছে যে, এলকোহল তা ইথাইল এলকোহল এবং ইথাইল এলকোহল সহযোগে প্রস্তুতকৃত দ্রব্যসমূহ। এটাও নিশ্চিত যে, নির্দিষ্ট মাপকাঠির বিচারে এ মদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যার উপস্থিতি অন্য কোন এলকোহলে পাওয়া গেলে তাও হারাম বলেই বিবেচিত হবে।


Martidale Pharmacopoeia তে ইথাইল এলকোহল সম্পর্কে বলা হয়েছে,


Alcohol (Ethyl Alcohol) has a depressant action on the central nervous, particularly on the cerebral cortex and on its inhibitory functions. By masking hesitancy, circumspection and self-criticism, Alcohol in small doses may appear initially to stimulate, especially in surrounding conducive to excitement, without such an environment its action to usually hypnotic এ ইথাইল এলকোহল বা ইথানল যা নেশাকর পাণীয়তে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তা সামান্য পরিমাণও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। শরীরের কোন স্থানে লাগলে তা নাপাকী হিসেবে শরীয়তে চিহ্নিত হবে। এরূপ অন্যকোন এলকোহল যা খাওয়ার উপযুক্ত বা অনুপযুক্ত কিন্তু তার বৈশিষ্ট্যে নেশাকর প্রকৃতি রয়েছে তাও ইথাইল এলকোহলের আইনের অন্তর্ভুক্ত।


এখানে প্রশ্ন হতে পারে, খাওয়ার অনুপযুক্ত এলকোহল (যাতে নেশাকর প্রকৃতি আছে) কেন হারাম হবে। এর জবাব এভাবে দেয়া যেতে পারে, যদি কোন ফলের রসের সঙ্গে ইথাইল এলকোহল মেশানো হয়, তবে তা হারাম হবে। শুধু ইথাইল এলকোহল হারাম বলে ঠিক তেমনি কোন বিষাক্ত দ্রব্যের সঙ্গে ইথাইল এলকোহল মেশালে তা খাওয়ার অনুপযুক্ত হলেও যদি তাতে ইথাইল এলকোহলের মূল বৈশিষ্ট্য আবিকৃতই থেকে যায়। তবে তা হারাম এবং নাপাকী হিসেবে ধরা হবে। বাজারে অনেক প্রিপারেশনে ইথাইল এলকোহল ব্যবহৃত হলেও ইথাইল এলকোহলকে ব্যবহারের পূর্বে পানের অনুপযুক্ত করে নেয়া হয়। একে ডিনেচারড এলকোহল বলে।


Remington Pharmaceutical Science এ বলা হয়েছে,


Denatured Alcohol is ethyl alcohol to which have been added such denaturing materials as to render the alcohol unfit for use as an intoxicating beverage.


সাধারণত দু’ধরনের ডিনেচারড এলকোহল ব্যবহৃত হয়। একটিকে বলা হয়,


(1) Completly Denatured Alcohol (2) Specially Denatured Alcohol.


এক্ষেত্রে একটি বিষয় স্পষ্ট হওয়া উচিত তা হচ্ছে- এ সকল এলকোহল কখনও সরাসরি কখনও বা প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত হয়। যেমন- পেকটিন, ভিটামিন্স, হরমোন্স এন্টিবায়োটিক, এলকালয়েড এবং ব্লাড প্রোডাক্ট প্রভৃতি দ্রব্য প্রসেসিংয়ে S.D Alcohol ব্যবহৃত হয় কিন্তু মূল পদার্থে Alcohol এর কোন উপস্থিতি থাকে না। সুতরাং সেগুলো হারামও নয়, নাপাকীও নয়। কিন্তু যেখানে এর বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে যেমন ক্লিনিং সলিউশন, ভিনেগার, External Pharmaceuticals ইত্যাদির ব্যবহার জায়িয কিন্তু নাপাকীর হুকুমের আওতাভুক্ত। যে সকল Flavour –এ S.D Alcohol বা Absoluote Alcohol ব্যবহৃত হবে, সে সকল ফ্লেভার কাপড়ে লাগলে তাও নাপাকীর হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে। মিথাইল এলকোহল প্রসঙ্গে জানা যায় যে, এর সামান্য পরিমাণ নেশা সৃষ্টিকারক বৈশিষ্ট্য আছে। যদিও এটা অতিমাত্রায় বিষাক্ত বলে খাওয়ার অনুপযুক্ত। মিথাইল এলকোহল প্রসঙ্গে -


Goodman and Gilman Pharmacoiogy তে বলা হয়েছে


Methyl Alcohol poisoning – poisoning due to methyl Alcohol results from a combination of the following.


(1) A minor factor of CNS depression, similar to that product by ethyl Alcohol.


(2) A major factor of acidosis due to the production of formic Acid.


(3) A specific toxicity of the oxidation products of methanol (Probably formaldehyde) for the retinal calls.


মিথাইল এলকোহল প্রয়োগে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার সামরিক বাহিনীর ছয় ভাগ লোকের অন্ধত্বের কারণ ছিল মিথানল। মিথাইল এলকোহলের এই নেশাকর প্রভাবের জন্য এটি Denatured ethyl Alcohol এর আইনের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ ব্যবহারযোগ্য কিন্তু নাপাকের হুকুম বর্তাবে, যেমন বার্নিশ স্পিরিট। এছাড়া এমাইল এলকোহল, বেনজাইল এলকোহল, আইসো প্রোপাইল এলকোহল, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রিপারেশন্স এবং কমার্শিয়ালি ব্যবহৃত হলেও এদের


CNS deprressent হিসেবে কোন বৈশিষ্ট্য নেই। সুতরাং এমনি যে সকল এলকোহলে মাদকতার বৈশিষ্ট্য নেই সেগুলো ব্যবহারযোগ্য এবং নাপাকীর হুকুম থেকেও মুক্ত, কিন্তু পানের অনুপযুক্ত। যেমন Rub হিসেবে


iso-propyl Alcohol । সুতরাং Alcohol মাত্রই আবার নাপাকও নয়। এ ব্যাপারে আমাদের ধারণাকে স্পষ্ট রাখা উচিত। তবে তাকওয়া অর্জনকারীদের মূল বৈশিষ্ট্য হবে “সন্দেহজনক বস্তু থেকে রিবত থাকা”



তথ্যসুত্র

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অবশ্যই হারাম।কারণ,এগুলো শূকরের মাংস দিয়েও বানানো হয়।তাছাড়া অন্যান্য বিষাক্ত জিনিস তো আছেই।একারণেই এ্যালকোহল পান করা মুসলমানদের জন্য হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

জি। এটি ইসলাম এ বৈধ নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মহান আল্লাহর বাণীঃ হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া আর আস্তানা ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার। সূরাহ আল-মায়িদাহ-৯০ আবূ হুরাইরাহ  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মি‘রাজের রাতে ঈলিয়া নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সম্মুখে শরাব ও দুধের দু’টি পেয়ালা পেশ করা হল। তিনি উভয়টির প্রতি লক্ষ্য করলেন। এরপর দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করেন। তখন জিব্রীল (আঃ) বললেনঃ যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আপনাকে স্বভাবজাত দ্রব্যের দিকে পথ প্রদর্শন করেছেন। অথচ যদি আপনি শরাব গ্রহণ করতেন তাহলে আপনার উম্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত। সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৭৬   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO মাদক দ্রব্যের এক আন্তর্জাতিক শ্রেণী বিন্যাস করেছে। সেটা হলোঃ-নারকটিক জাতীয়ঃ হেরোইন, মরফিন, আফিম, পেথিডিন, কোডিন ফেনসিডেল, মেথাডন। বারবিচুরেট জাতীয়ঃ ফেনোবারবিটন, পেনটোবারবিটন। প্রশান্তিদায়ক ঔষধঃ ডায়াজেপাম, নাইট্রাজেপাম, ক্লোবাজাম, লরাজেপাম ইত্যাদি।মদজাতীয়ঃ বিয়ার, ব্রান্ডি, হুইসকি, ভদকা, রাম, বাংলা মদ, তাড়ি, জিন, রেকটিফাইড স্পিরিট, ৫% এর কম এলকোহল যুক্ত যেকোন তরল পদার্থ দিয়ে তৈরী সুগন্ধি বা জিনিষ হারাম নয়। ইবন উথাইমিন (রহঃ) এর মতে, অ্যালকোহল খাওয়া আমাদের জন্য হারাম। কিন্তু অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধী ব্যবহার করা হারাম নয়। তবে সুগন্ধীতে অ্যালকোহলের পরিমান হতে হবে ৫% বা তার কম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এ্যালকোহল যদি খেজুর কিংবা আঙ্গুর দ্বারা তৈরি করা হয় তাহলে সে এ্যালকোহল মুসলিমদের জন্য হারাম। আর যদি অন্য কোন উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয় তাহলে তা মুসলমানদের জন্য হারাম নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ