"আর যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে, তোমরা এতীমদের প্রতি ন‍্যায়পরায়ণ হতে পারছো না, তাহলে স্ত্রীলোকদের মধ‍্যে যাকে তোমাদের ভালো লাগে, তাকে বিয়ে করতে পারো, দুই বা তিন বা চার। আর যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে, তোমরা সমব‍্যবহার করতে পারবে না, তাহলে একজনকেই। অথবা তোমাদের ডান হাত যাদের ধরে রেখেছে, এইটিই বেশি সঙ্গত, যেনো তোমরা সরে না যাও।"

(সূরা: আন-নিসা, আয়াত: ৩)

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Junait

Call

আমরা জানি যে এই সমগ্র পৃথিবীতে পুরুষের তুলনায় নারী পরিমাণে বেশি। যদি একজন পুরুষ এক জন নারীকে বিয়ে করে তাহলেও কোটি কোটি যুবতী নারী থাকবেন যাদের বিবাহ করার মতো কেউ থাকবে না। এজন্যই আল্লাহ সমগ্র নারী অধিকারের জন্য পুরুষকে শর্ত সাপেক্ষে একাধিক বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন।  স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এটা দৃষ্টিকটু দেখায় কারণ কোনো  নারীই তার স্বামীকে শেয়ার করতে চাইবে না। একটু ভিন্ন ভাবে ভাবুন যে, যদি একাধিক বিবাহের অনুমতি  না দেওয়া হতো তাহলে যে কোটি কোটি নারীরা স্বামীহীন থাকতো তাদের কি অবস্থা হতো.??? যৌন তাড়নার কারণে অবশ্যই তারা যেনার কাজে লিপ্ত হবে এছাড়াও সাংসারিক জীবনে পা রাখতে পারবে না। যাদের দ্বারা যেনা হবে তারাও তো কোনো না কোনো সমাজের  পুরুষ তাহলে ভেবে দেখুন কতটা হুমকি স্বরূপ হতো এমনটা হলে। অন্য নারীরা যেন অশ্লীন পথে না যায় এবং পুরুষেরা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্যেই আল্লাহ এ সমাধান দিয়েছেন। এর থেকে ভালো সমাধান পৃথিবীতে আর কিছুই নেই, যদি থেকে থাকে তাহলে পারলে দেখান

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনার প্রশ্নের দুটি দিক রয়েছে। ১। পুরুষকে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের সুযোগ দেয়া হলো। কিন্তু নারীকে একাধিক স্বামী গ্রহণের সুযোগ দেয়া হলো না কেন ?

২। পুরুষকে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের সুযোগ দেয়া হলো কেন ? একটিতেই সীমিত করা হলো না কেন ?

সম্ভবত আপনার প্রশ্ন দ্বারা দ্বিতীয় দিকটিই উদ্দেশ্য। তো আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলবো, পুরুষের একাধিক স্ত্রী গ্রহণে সমস্যাটা কোথায় ? একজন পুরুষের জন্য একাধিক স্ত্রী গ্রহণে কোনো সমস্যা নেই। বরং ঐচ্ছিক এ বিধানটিতে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। ১। প্রথমত এটা কোনো বাধ্যগত বিধান নয়; বরং প্রয়োজন সাপেক্ষ ইচ্ছাধীন বিধান। আর সকল পুরুষের যৌন চাহিদা সমপর্যায়ের নয়। অধিক বীর্যবান পুরুষের একজন স্ত্রী হলে তা উভয়ের জন্যই কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। স্ত্রীর জন্য স্বামীর চাপ সহ্য করা কষ্টকর হবে। স্বামীর জন্যও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা বিশেষত মিনসের সময়গুলো অধিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে স্বামী তার চাহিদা পূরণে অবৈধ পন্থা গ্রহণের চেষ্টা করবে। ২। আমাদের দেশে পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ফলে এ ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ভারসাম্য রক্ষা হবে। বিপথগামী নারীদের সংখ্যাও কমে আসবে। উল্লেখ্য, আমাদের সমাজে যে একাধিক বিবাহকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় এবং এক স্ত্রী অন্য স্ত্রীকে সহ্য করতে পারে না এটা আমাদের একটি সামাজিক দুর্বলতা। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠা প্রয়োজন। এ দুর্বলতাটা বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে এসেছে। ইসলামের সূতিকাগার আরবে সামাজিক এ অপসংস্কৃতিটা নেই। সুতরাং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন। দৃষ্টিতভঙ্গি বদলাতে পারলে সব সহনীয় হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ