ল্যাপটপ কিনতে হলে Ram, প্রসেসর এবং hard disk দেখতে হয়৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ল্যাপটপ কেনার সময় র‍্যাম, ইন্টার্নাল স্টোরেজ,গ্রাফিক্স কার্ড, স্ক্রিন এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ল্যাপটপ হোক আর যেকোনো ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য হোক কেনার আগে এর পার্টস গুলো দেখে নিতে হয় । স্মার্টফোন হলো কম্পিউটারের ক্ষুদ্র সংস্করণ তাই প্রায়ই একই এদের কেনার উপায় । কেনার সময় আপনি যেই জিনিস গুলো  দেখে নিবেন 

  • কোম্পানি: কেনার সময় অবশ্যই একটি ভালো কোম্পানির কিনবেন যার সার্ভিসিং সেন্টার পার্টস পাওয়া যাবে । এমন কোম্পানির সহজে কিনবেন না যেগুলো কেবল বাজারে এসেছে ওখন দেখবেন এর পার্টস পাবেন না আবার সার্ভিসিং করাতে পারবেন না । আমার মতে এইচপি ল্যাপটপ ভালো(মতৈক্য থাকতে পারে । সবার মতামতকে স্বাগতম)
  • RAM : স্মার্টফোনের মতো RAM গুরুত্ব পূর্ণ ল্যাপটপের জন্য । প্রসেসর ও রোম অনুযায়ী ভালো মানের ও পরিমাণের RAM একান্ত প্রয়োজনীয় ভালো ভাবে একটি ল্যাপটপ চালানোর জন্য । আমার মতে 4GB RAM একটি যথেষ্ট সাধারণ ব্যবহারের জন্য । 
  • ROM:  রোম বেশি হলে আপনি বেশি তথ্য রাখতে পারবেন । বর্তমানে 1 টেরাবাইট রোম ভালো একটি ল্যাপটপের সাধারণ ব্যবহারের জন্য 
  • প্রসেসর উচ্চ গতির ও ভালো মানের : INTEL কোম্পানির ভালো মানের প্রসেসর সংবলিত ল্যাপটপ নেয়া উচিৎ । বর্তমানে সপ্তম প্রজন্মের প্রসেসর বাজারে ভালো চলছে । 
  • গ্রাফিক্স কার্ড ক্ষমতা দেখতে হবে । 
  • স্ক্রিন রেজিলুশেন কেমন দেখতে । 
  • টাচ প্যাড কিবোর্ড কি রুপ দেখতে হবে । ইত্যাদি 

মনে রাখবেন সব কিছুতে আপনি সব পাবেন না  । কিছু না কিছু সমস্যা থাকবে বা কমতি থাকবে । এখানেই আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে । আমার মতে কিনতে যাওয়ার আগে সাথে একজন অভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে যাওয়া উত্তম হবে এবং একটি ভালো মানের স্বানামধন্য কোম্পানির ল্যাপটপ কিনুন । ধন্যবাদ 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

টাচস্ক্রিন আপনি যদি টাচ বা স্পর্শ করে পণ্য চালাতে পছন্দ করেন, তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনার জন্য ভালো হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উইন্ডোজ ৮ ইন্টারফেসের টাইল ও জেশ্চার আপনার টাচস্ক্রিন অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে এবং তা সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপগুলোতে ওয়েব পেজ ব্যবহার করা সহজ। এ ছাড়াও ছবি ও ডকুমেন্টস দেখতেও সুবিধা হয়। টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনি কিবোর্ডযুক্ত ল্যাপটপ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে টাচস্ক্রিন সুবিধার ল্যাপটপ পাবেন। সাধারণত সিনেমা দেখা, গান শোনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করাসহ ছোটখাটো কাজের জন্য কম দামের ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে ১৫ ইঞ্চি পর্দার মনিটরসহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন।  নকশা ও ওজন আপনি যদি বেশি বেশি ভ্রমণ করেন তখন আপনার জন্য হালকা-পাতলা ল্যাপটপ বা আলট্রাবুক ভালো হবে। ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি মাপের যে ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকে সেটি কিনবেন। যদি বাড়ি বা অফিসের কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তবে ১৪ ইঞ্চি বা ১৫.৬ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনুন। আপনি যদি গেমার বা ছবি ও ভিডিও সম্পাদনার কাজের জন্য ল্যাপটপ চান তবে আপনাকে শক্তিশালী ল্যাপটপ বেছে নিতে হবে। এ জন্য ১৫.৬ বা ১৭ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আপনি যদি সব সময় সঙ্গে করে ল্যাপটপ নিয়ে ঘোরেন তবে আপনার জন্য ধাতব কাঠামোর ল্যাপটপ যুত্সই হবে। আপনার ল্যাপটপ যদি বাড়ির সকলেই ব্যবহার করে তবে তা ধাতব কাঠামো ও করপোরেট মডেলের হলে ভালো হবে। প্রচলিত প্রায় সব ল্যাপটপের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়নের হয়ে থাকে। এতে যত বেশি সেল (৪-১২) থাকবে, ব্যাটারি তত বেশি সময় চার্জ ধরে রাখতে পারবে। তথ্য ধারণ ক্ষমতা ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তাতে কতটুকু তথ্য আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এখনকার দিনে ১৫.৬ ইঞ্চি ল্যাপটপ ছাড়া অপটিক্যাল ড্রাইভের ব্যবহার কম দেখা যায়। এখন হার্ডড্রাইভের পরিবর্তে ফ্ল্যাশ ভিত্তিক ড্রাইভ এসএসডিও ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। ফ্ল্যাশ স্টোরেজ দামি হলেও এর নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম। এর আকার ছোট এবং কাজ করে দ্রুত।  অপারেটিং সিস্টেম অনেকেই অল্প কিছু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য প্রি-লোডেড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপ কেনেন না। কিন্তু নিজে থেকে ওএস এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টল করা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। ল্যাপটপ কেনার সময় আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটি ইনস্টল করুন। ল্যাপটপের আকার যদি বাড়ি বা অফিসের জন্য ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবেন তবে ল্যাপটপের আকার বড় হওয়া ভালো। এতে চোখের সুবিধা হবে এবং কাজের জন্য সুবিধা পাবেন। যদি কোনো প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য ল্যাপটপ কিনতে হয় তবে তা হালকা-পাতলা ও ছোট স্ক্রিনের হলে ভালো হয়। ফিচার ভালো একটি ল্যাপটপে ইনটেল বা এএমডির মাল্টিকোর সিপিইউ থাকলে ভালো। ৩-৪ টি ইউএসবি পোর্ট এবং ল্যাপটপটি দ্রুতগতির কিনা তা দেখে নেওয়া বাঞ্চনীয়। সাধারণত উচ্চ রেজ্যুলেশনের গেম খেলা, ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য উচ্চ গতির ল্যাপটপ কেনা জরুরি। এ জন্য প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩.০ গিগাহার্টজ বা এর বেশি হলে ভালো হয়। প্রসেসর কোন সিরিজের (কোর আইথ্রি, ফাইভ, সেভেন) তা জেনে নেওয়াও জরুরি। কেনার আগে অবশ্যই গ্রাফিকস সক্ষমতা কেমন দেখে নেবেন। ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য কমপক্ষে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআরথ্রি র্যাম হলে ভালো হবে। ব্র্যান্ড পুরোনো ল্যাপটপ কেনার সময় সতর্ক থাকুন। ওয়ারেন্টি দেখে নিন। পরিচিত ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ কেনার আগে তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা ও অতীতে তাদের ল্যাপটপ বিক্রির রেকর্ড সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো হবে। কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার, ব্যাগ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যা আপনার ল্যাপটপের সঙ্গেই পাচ্ছেন তা বুঝে নেবেন। এ ছাড়া সব সময় অনুমোদিত ডিলার, আমদানিকারক, বিশ্বস্ত মাধ্যম বা দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ