>> যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৭) >> আমি লোকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছি এই মর্মে যে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। যে কৃতজ্ঞ হয়, সে তো কেবল নিজ কল্যাণের জন্যই কৃতজ্ঞ হয়। আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। (সুরা লোকমান : আয়াত ১২) >> অতএব, আল্লাহ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাতকারী হয়ে থাকো। (সুরা নাহল : আয়াত ১১৪) আমরা উপরের সূূূরা গুলো থেকে এটা বুঝতে পারি যে একমাত্র আল্লাহ তা'আলাই শুকরিয়া পাওয়ার যোগ্য।তিনি কুুরআনে তার পাশাপাশি আর কারও শুকরিয়া আদায়ের কথা বলেন নি।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহর শুকরিয়ার সাথে সাথে আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া এবং নিজের শুকরিয়ার কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে এসেছে, যে ব্যক্তি শুকরিয়া আদায় করলো সে মূলত নিজের জন্য শুকরিয়া আদায় করলো। সূরা নামল ৪০ বস্তুত শুকরিয়া অর্থ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, কৃতজ্ঞ হওয়া, প্রশংসা করা। এটা যেমন আল্লাহর জন্য হয় তদ্রূপ বান্দার জন্যও হতে পারে। সুতরাং মানুষ মানুষের শুকরিয়া আদায় করতে পারে। ফলে শুকরান লাকা, শুকরিয়া আরব বিশ্বে এবং আমাদের মুসলিম সমাজেও একটি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপক পরিভাষায় পরিণত হয়েছে।