মানুষের রং নিয়ে ইসলাম কখনও পার্থক্য করেনি৷ কারন ইসলাম মানুষের আমল এবং অন্তরের অবস্থা দেখে৷ নবি করিম সাঃ বলেন৷ان الله لا ينظر الي صوركم ولكن ينظر الي اعمالكم وقلوبكم.... তাছারা অন্য এক হাদীসে নবি করিম সাঃ এরশাদ করেন৷ তোমরা আমিরের অনুসরন কর ৷ যদিও সে হাবশি গোলাম হোক৷ উক্ত হাদিসে হাবশি গোলামের কথা বলা হয়েছে৷ হাবশি যে কালো হয়৷ যদ্বারা বোঝা যায় যে কাল কে হেয় করা যাবেনা৷ কারন আল্লহর কাছে সবাই সমান৷
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। সুরা হুজুরাত আয়াত ১২ অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীদের পছন্দ করেন না। (সুরা লোকমান আয়াত ১৮) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ দেখতে চায় যে , চেহারা ও সম্পদের দিক থেকে কে তার চেয়ে উত্তম, সে যেন তখন তার চেয়ে যে নিম্নমানের তার দিকে তাকায়। (বুখারী ৬৪৯০) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, এমন কোনো ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে শস্যদানা পরিমাণ ঈমান থাকবে এবং এমন কোনো ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে শস্যদানা পরিমাণ অহংকার থাকবে। (মুসলিম শরীফ-১/৬৫)