অতীত কখনো মুছে যায় না। অতীতের প্রভাব বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওপর এসে পড়ে। তবে তা গোপনে। দূরদৃষ্টি দিয়ে দেখলে কেবল তা বোঝা যায়। অতীতের অবসান ঘটলেও মানব চোখে তা প্রকৃত সত্য নয়। বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওপর এর প্রভাব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অতীতের ওপর নির্ভর করেই গড়ে ওঠে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সৌধ মালা। মানুষ ভাগ্যের অধীন। তার অতীত জীবনের কর্মফলের ওপর নির্ভর করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সাফল্য। তাই অতীতের প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই।মানুষ যখন নিজ নিজ অস্তিত্ব হারাতে বসে.তখন পথ নির্দশনা স্বরূপ আঁকড়িয়ে ধরে আপন অতীত ইতিহাসকে।অতীত সমাগত বর্তমানে উত্তরণের সিঁড়ি এবং অনাগত ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমার সেতুবন্ধন। কাজেই জীবনকে উন্নতির পথে চালনা করার জন্য অতীতের প্রভাবকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। অতীতের শিক্ষা থেকেই ভবিষ্যতের দিকে এগুতে হবে। অতীতের কর্মই ভবিষ্যতের পাথেয়। এ কথাটি মনে রাখতে হবে। অতএব, আজ যা বর্তমান কাল তা অতীত। অতীতের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে বর্তমানের জীবন সভ্যতা ও সংস্কৃতি। আগামী দিনের জন্যও অতীত অনন্ত প্রেরণার উৎস। তাই অতীতকে ছোট করে দেখার বা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই।