শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এরূপ কোন আয়াত কুরআন মাজীদে বিদ্যমান নেই যেখানে বলা হয়েছে একজন নারী কোন দেশের রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারবে না ৷ কিন্ত অসংখ্য হাদীসে বর্ণিত আছে যে, 
.
সে জাতি কক্ষনো সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে।
.
[৪৪২৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৮)
বইঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ প্রকাশনী), অধ্যায়ঃ ৯২/ ফিতনা হাদীস নং ৭০৯৯ ৷
.
কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, এ হাদীসগুলোর সম্পর্ক সে মহিলার সঙ্গে, অর্থাৎ এ নির্দেশ সে নারীর জন্য নির্দিষ্ট, যে পারস্যের শাসনকর্তা ছিল ৷ অবশ্য অন্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত ভিন্ন ৷ তারা ঐ হুকুম সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য মনে
করেন ৷
.
এবার আসুন পর্যালোচনা করে দেখা যাক ইসলাম ধর্মে একজন মহিলা রাষ্ট প্রধান হতে পারবে কিনা?
.
যদি কোন নারী আধুনিক সমাজের কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হন, প্রায় দেখা যাবে সে
রাষ্ট্রপ্রধান বিভিন্ন মিটিং করছেন অন্য
দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ৷ যারা হতে
পারে পুরুষ ৷ আর মাঝে মধ্যেই তারা ক্লোজ ডোর মিটিং করে ৷ যেখানে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না ৷ যদি একজন মহিলা আরেকজন পুরুষের সাথে ক্লোজ ডোর মিটিং করে ইসলাম এটার অনুমতি দেয় না ৷ ইসলাম বলে যে একজন মহিলা
কোন পর পুরুষের সাথে একা থাকতে পারবে না, মিটিং করতে পারবে না ৷ ইসলাম কোন নারীকে গায়রে মাহরাম পুরুষের সঙ্গে একাকী সাক্ষাতের অনুমতি দেয় নি ৷ 
অনেক সময় তাকে দেশের প্রয়োজনে অন্য
দেশের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হবে ৷
হতে পারে সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পুরুষ ৷
ইসলাম কিন্ত এরুপ সাক্ষাতের অনুমতি দেয় নি ৷ ইসলাম পুরুষ ও নারীর অবাধ মেলামেশার অনুমতি দেয় না ৷ প্রয়োজনে দেশের প্রধান হিসেবে নারীকে সাধারন সভা সমাবেশেও থাকতে হবে ৷ একজন রাষ্ট্র প্রধানের ছবি বিভিন্ন সময়ে প্রচার করা হয় ৷ তার ছবি তোলা হয়৷ তার ভিডিও তৈরী হয় ৷ খুব কাছ থেকে
ক্যামেরা ধরা হয় ৷ সেখানে অন্য রাষ্ট্র
প্রধানও থাকতে পারে ৷ অন্য পুরুষ লোকও থাকতে পারে ৷ ঐ ছবিতে সে গায়রে মাহরাম পুরুষের সঙ্গে থাকবে ৷ তখন এই মহিলা রাষ্ট্র প্রধান, হতে পারে সে মার্গারেট থ্যাচার অথবা অন্য যে কেউ ছবিতে দেখবেন অনেক পুরুষের সঙ্গে তারা হ্যান্ডশেক করছেন, তাকে গায়রে মাহরামের সঙ্গে থাকতে হবে ৷ ইসলাম
পুরুষ ও নারীর এ ধরনের মেলামেশা কে অনুমতি দেয় না ৷ ৷ রাষ্ট্রপ্রধান মাঝে মধ্যেই দেশের সাধারণ মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ যদি মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান হন তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে এভাবে সাক্ষাৎ করা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে ৷
.
আর বিজ্ঞান আমাদের বলে যে মহিলাদের ঋজ স্রাবের সময় কালে তাদের মানসিকতা আর ব্যবহারে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায় ৷ কারণ এ সময় তাদের সেক্স হরমন গুলো বের হয়ে যায় ৷
আর তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হলে এই পরিবর্তনের
কারণে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে তার সমস্যা
হতে পারে ৷ এছাড়াও বিজ্ঞান আমাদের বলে যে মহিলারা তারা পুরুষদের তুলনায় কথা বার্তা বলায় বেশী পারদর্শী ৷ আর পুরুষরা তাদের রয়েছে বিশেষ কিছু মানসিক ক্ষমতা ৷ বিশেষ ক্ষমতা মানে পুরুষরা বেশি কল্পনা করতে পারে ৷ যে ভবিষ্যতে কি হবে ৷ ভবিষ্যতের ঘটনা গুলো কল্পনা করতে পারে ৷ আর রাষ্ট্রপ্রধান হলে এই বিশেষ মানসিক
ক্ষমতা গুলোর প্রয়োজন রয়েছে ৷ একজন মহিলা সে একজন পুরুষের চাইতে কথাবার্তা বলায় বেশি পারদর্শী ৷ যেটা একজন মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজন ৷ একজন মহিলা তিনি অন্ত:সত্বা হয়ে যেতে পরেন ৷ তখন তার কয়েক মাস বিশ্রামের প্রয়োজন হয় ৷ সে সময় কে সেই রাষ্ট্রের দেখাশোনা করবে? তার সন্তান থাকতে পারে ৷ মা হিসেবে এই দায়িত্ব টা খুবই ইম্পর্টেন্ট ৷ আর এই কাজটা একজন পুরুষের জন্য সুবিধাজনক
কারণ তিনি একই সাথে সন্তানের বাবা আর রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারেন ৷ কিন্ত একজন মহিলার পক্ষে একই সাথে মা আর রাষ্ট্র প্রধান হওয়াটা সুবিধাজনক নয় ৷ আমিও সেই সব বিশেষজ্ঞদের মতই বলবো মহিলাদের কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া উচিত নয় ৷ 
.
কিন্ত তার মানে এই না যে মহিলারা
সিদ্ধান্ত গ্রহণে বা আইন প্রণয়নে অংশ নিতে পারবেন না ৷ আর আমি আমার লেকচারে আগেও বলেছি যে আইন প্রণয়নে সময় সে অংশ নিতে পারে ৷ তার ভোট দেয়ার অধিকার আছে ৷ আর
আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি ,
হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় উম্মে সালমা (রা:) নবী করিম (সা:) কে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছিলেন - যখন সব মুসলমান অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন ৷আপনারা জানেন, দেশের প্রধান হয়তো প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতি হয়, কিন্ত অনেক সময় সচিব বা একান্ত সহায়ক কে সিন্ধান্ত
নিতে হয় ৷ তাহলে এভাবে একজন মহিলা
দেশের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে
পারেন ৷ এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে যা সঠিক পথনির্দেশ দেয় ৷
.
আশা করি উওরটা পেয়েছেন।


(সূত্রঃ ডঃ জাকির নায়েক)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ