কোরআন স্পর্শ বা মাথা রেখে কসম করার বিধান নেই। কসম আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নামে হয়। যেহেতু ইহা আল্লাহর কালাম, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কথা, তাই এটিও একধরনের কসম। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম এ কথা বলেছেন যে, কসমের হুকুমের মধ্যে আসবে। তাই এই কসম যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই সেই কসমটি পূরণ করতে হবে। এটি বিধান নয় কিন্তু কসম করলে সেটি পূরণ করতে হবে, ভঙ্গ করা যাবে না। এখন আপনাকে কসম ভাঙ্গার কাফফারা দিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ তোমাদেররকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশজন মিসকীনকে খাবার দান করা-মধ্যম ধরণের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফফারা-যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাজত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তার আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। (সূরা মায়েদাহ: ৮৯)