যেহেতু সবাই এটা নিয়ে কানাঘুষা করতেছে তাই আপনার উচিত সাময়িক সময়ের জন্য আপনার প্রেমিকার সাথে কন্টাক্ট না রাখা। আর ভবিষ্যতে দেখা সাক্ষাতে খুব কেয়ারফুলি হতে হবে আর বিশেষ করে মেয়েটার বাড়িতে বা বাড়ির দিকে আর কখনো দেখা করতে যাবেন না।আর আপনার প্রেমিকাকে বলবেন কোনো দরকারে ক্লাশমেটের সাথে কথা বলতে ছেলে গুলো দেখেছে ওকে।বানিয়ে বললে হয়তো বিশ্বাস করবে বিকজ যারা দেখেছে তাদের বয়স কম বিশ্বাস নাও করতে পারে সবাই.
আপনি মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিলেন।এখন আপনি যদি তাঁর বাবা মা কে বিষয়টি বলতে যান তারা মেনে নেবে না এটাই স্বাভাবিক।তাই আপনি বিষয়টি তাদের না বলাই শ্রেয়। আপনি যদি সত্যিকারভাবে আপনার ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে চান,আপনার বেশ কয়েটি বছর অপেক্ষা করতে হবে।তবে এই সময়ে তাঁর সাথে খুব কম দেখা করবেন।তবে মোবাইলে যোগাযোগ রাখবেন।আপনি যখন নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন তখন তার বাবা মা মেনে নিতে পারে।
এই মুহুর্তে আপনার আসলে কিছুই করার নাই ধৈর্য ধরা ছাড়া। আমার মনে হয় না ওর বাবা মা (পরিবার) আপনাদের সম্পর্ক মেনে নেবে। আর আপনার বাবা মাও মেনে না নিতে পারে। কারণ কোন বাবা মা ই চায় না তাদের সন্তানের ক্ষতি হোক। এই সময় হচ্ছে আপনাদের পড়ালেখার সময় আর এ সময়ে যদি প্রেম ভালবাসাতে জড়িয়ে পড়েন তাহলে আপনাদের পড়ালেখার ক্ষতি হবেই এতে কোন সন্দেহ নেই। আর কোন বাবা-মাই চাইবে না এ বয়সে তাদের ছেলে মেয়ের পড়ালেখার ক্ষতি হোক। সুতরাং এই মুহুর্তে আপনার প্রয়োজন পড়ালেখা ঠিক মতো চালিয়ে যাওয়া বাবা মায়ের মন রক্ষা এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। আমার পরামর্শ হচ্ছেঃ আপনি যেহেতু মেয়েটিকে সত্যিই ভালোবাসেন সেহেতু আপনি মেয়েটিকে বিয়েও করবেন এটাই তো সত্যিকারের ভালোবাসা। কিন্তু এই মুহুর্তে আপনারও বিয়ের বয়স হয় নাই মেয়েটারও বিয়ের বয়স হয় নাই। আর আপনি বিয়ে করেই বা কি করবেন? আপনি মেয়েটাকে খাওয়াবেন কিভাবে? কিছুদিন পরে তো আপনার এই আবেগ আর কাজ করবে না তখন আপনি কি করবেন? আর মেয়েটার পরিবারতো আপনাকে তাদের মেয়ে বিয়ে দিবেই না। তাই বলছি আপনি নিজে ঠিকমতো পড়ালেখা চালিয়ে যান মেয়েটাকেও ঠিকমতো পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বলেন। আপনি স্টাবলিশ হন। একজন স্টাবলিশ ছেলের কাছে মেয়েটার বাবা মা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না। শেষ কিছু কথা হচ্ছেঃ মেয়েটার বাসায় যেহেতু জেনেই গেছে সেহেতু মেয়েটার উপর কি যাচ্ছে একটু ভাবার চেষ্টা করুন। আল্লাহ না করুক মেয়েটা যদি হঠাৎ কোন দুর্ঘটনা করে বসে কিংবা অন্য কেউ মেয়েটার ক্ষতি করে বসে তখন দোষটা আপনার উপরও ছাপিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু দেখা গেলো যে আপনি নির্দোষ। আপনি দোষ না করা সত্যেও আপনি ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তখন শুধু আপনার আর মেয়েটার ক্ষতি হবে না, একই সাথে মেয়েটার পরিবার এবং আপনার পরিবারেরও ক্ষতি হবে। তাই বলছি যা কিছুই করবেন নিজের সুক্ষ্ণ মস্তিষ্কে ভালো করে চিন্তা ভাবনা করেই করবেন। বিঃ দ্রঃ চট্টগ্রামের আলোচিত তাসফিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনাটি খুজে পড়বেন ভালো করে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। আপনার জীবন সুন্দর ও সাফল্য মন্ডিত হোক সেই কামনা
যেহেতু আপনারা ফ্রেন্ড সেহেতু কথা বলতেই পারেন এমন একটা ভাব আনুন। আর আপাতত কিছুদিন out of touch এ থাকুন। সময় সুযোগ বুঝে কথা বলুন। প্রেয়সী চাপে আছে থাকতে দিন কিছুদিন। এখানে আপনার কিছু করার নেই। ভালোবাসায় যতত আঘাত বা বাধা আসে ভালোবাসা তত খাটি হয়। কিছুদিন গেলে দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। আর সব ঠিক হয়ে গেলে একই ভুল পুনরায় করবেননা। একটু অন্যভাবে দেখা করবেন ও কথা বলবেন। ধন্যবাদ।