রমজান ইবাদতের মাস। রমজানে সাহরির সুবাদে তাহাজ্জুদ পড়া খুবই সহজ। সাহরির সময়ই তাহাজ্জুদের সময়। তাই রমজানে তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেহেতু সাহরি খাওয়ার জন্য ছোট-বড় প্রায় সবাই ঘুম থেকে ওঠেন, তাই সবাইকে তাহাজ্জুদ পড়তে উৎসাহিত করুন। তাহাজ্জুদ নামাজ নবীজি (সাঃ) নিয়মিত পড়তেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবী (সাঃ) কে উদ্দেশ করে বলেন, রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জুদ কায়েম করবে, ইহা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (মাকামে মাহমুদে)। (আল-কোরআন, সুরা- বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭৯
কেউ যদি সন্ধ্যারাতে বিতর আদায় করে থাকেন, তাহলে তাঁর জন্য তাহাজ্জুদ নামাজে বিতর আদায় করা জায়েজ নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে, সন্ধ্যারাতে যদি কেউ দুই রাকাত বিতর আদায় করে থাকেন, তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় প্রথমেই তিনি এক রাকাত বিতর পড়ে সালাম ফেরাবেন। এর ফলে তাঁর আগের বিতর নামাজ যোগ হয়ে যাবে। তার পর তিনি দুই রাকাত, দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বেন