দিতে পারবে তবে এটি এত ঘৃণ্য কাজ যে, আল্লাহও নারাজ হন।
ইসলামে তালাক খুবই ঘৃণ্য একটি কাজ। একান্ত বাধ্য না হলে তালাক দেয়া ইসলাম কোন ভাবেই ভাল দৃষ্টিতে দেখে না। আল্লাহ তায়ালা যে বন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন সেটা মানুষ ছিন্ন করুক এটা মহান আল্লাহ পছন্দ করেন না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-
“যারা আল্লাহ তা‘আলাকে দেওয়া দৃঢ় অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের জন্য রয়েছে লা’নত ও অভিসম্পাত এবং তাদের জন্যই রয়েছে মন্দ আবাস”। ------ সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ২৫
তাফসীরে কুরতুবিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর হাদীস বর্ণিত আছে যে,
“তোমরা বিয়ে কর কিন্তু তালাক দিও না, কেননা তার দ্বারা আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে”
আবু দাঊদ শরীফের হাদীসে বলা হয়েছে-
“আল্লাহ তালাকের চেয়ে নিকৃষ্ট কোন কিছু ইসলামে হালাল করেননি।”
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে , কারণবশতও তালাক দেয়াও ইসলাম ভালভাবে নেয় না, কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানব জীবনে শান্তি আনয়নই তার উদ্দেশ্য। এরপরেও যদি কোন স্বামী কারণ দর্শানো ছাড়াই স্ত্রীকে তালাক দেয় , তাহলেও তালাক হয়ে যাবে। একই ভাবে বিবাহের কাবিনের সময় যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অধিকার প্রদান করা হয় তাহলে স্ত্রীও তালাক প্রদান করতে পারবে।
এই ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই লক্ষ্যণীয়-
কোন ভাবেই যেন স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়া না হয়।
স্ত্রীর কোন ঋতুস্রাবের আগে এক তালাক প্রদান করে রাখা, যাতে চাইলে ফিরিয়ে নেয়া যায়, নতুন বিয়ে করা ছাড়াই।
মনে রাখতে হবে,
তালাক খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। যদিও এটি ইসলাম ভাল নজরে দেখে না, তবুও কেউ দুষ্টুমি করে কিংবা রাগ করে অথবা সাধারণ ভাবে, যে কোন ভাবেই হোক তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।