আসসালামু আল্লাইকুম....!!!


বিয়ের আগে ইসলাম ধমে অবৈধ মেলা-মেশা করা নিষেধ,বা জায়েজ নাই....এটা আমরা মুসলিমরা সবাই জানি!!!
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যদি কেউ এটা করে এবং করার পর যদি জানতে পারে সে মহিলাটি গভবতী হয়েছে,,,সে অবস্তায় তাদের কি করা উচিত।  এবং যদিও সন্তান হয় তাহলে আমাদের সমাজে এটাকে জারজ সন্তান বলে থাকে সে অবস্তায় কি করনীয়,যদিও বাচ্চা টাকে মেরে ফেলা সম্ভব না,কারণ অপরাধ অবুঝ বাচ্চাটি করেনি করেছে তাহারা,,,কেহ যদি নিম্ন প্রশ্নের উওর দেন উপকৃত হবো,,,ধন্যবাদ!!!!!!

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এখানে দুটি অবস্থা থাকতে পারে। 

1. অবৈধ মেলামেশা করা পুরুষটি সেই নারীকে সন্তান জন্ম দেয়ার আগেই বিয়ে করে নিয়েছে।

2. অবৈধ মেলামেশা করা পুরুষটি সেই নারীকে সন্তান জন্ম দেয়া আগে বিয়ে করেনি।


প্রথম অবস্থায় সন্তানের দায়িত্ব তার পিতার উপরই বর্তাবে।

দ্বিতীয় অবস্থায় সন্তানের দায় বর্তাবে তার মায়ের উপর। সেই সন্তান মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হবে। এমতাবস্থায় সেই সন্তান অবৈধ পিতার কোন সম্পত্তির অধিকারীও হবে না। তবে যদি অবৈধ পিতা তার অবৈধ সন্তানকে কিছু সম্পত্তি লিখে দিয়ে যেতে চায় তাহলে দিতে পারে।


হাদীস শরীফে এসেছে-

আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! অমুক আমার পুত্র,জাহিলী যুগে আমি তার মায়ের সাথে যিনা করেছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইসলামে অবৈধ সন্তানের দাবীর কোনো ব্যবস্থা নেই। আর জাহিলী যুগের প্রথা বাতিল হয়ে গেছে। বিছানা যার সন্তান তার এবং যিনাকারীর জন্য রয়েছে পাথর। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২২৭৪]


এমতাবস্থায় করণীয় হল, সমাজে সেই সন্তানের বৈধতা দেয়ার জন্য এবং একটি প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখাবার জন্য সেই নারী ও পুরুষের পরস্পর যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে নেয়া।


তথ্যসূত্র : আহলে হক্ব মিডিয়া, বাংলাদেশ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ