ইংরেজি পেন (penna) শব্দ
এসেছে লাতিন শব্দ
পেন্না (pen ) থেকে , যার
মানে হল পাখির পালক । এক
কালে পালকের কলম ব্যবহার
হত, আমাদের বাংলাদেশ
তথা ভারতবর্ষে অবশ্য
খাগের কলম ব্যবহার হত ।
কলমের আবিষ্কার : আদিম
অবস্থায় মানুষ যখন গুহায়
ভিতরে বাস করত তখন গুহার
ভিতরের দেওয়ালে কোন
তীক্ষ জিনিস দিয়ে ছবি
আকঁত বা হিজিবিজি আকঁত
যাকে । আবার অনেক সময়
কোন পাতা বা শিকারের
রস বা রক্ত দিয়ে আকিবুকি
কাটত । তার অনেক পরে যখন
সভ্যতার একটু একটু উন্মেষ ঘটল
তখন কাদামাটির পাটায়
বা নরম পাথরে লিখা শুরু
করে ,এদের মাঝে চীনে
উটের লোম দিয়ে তৈরি
তুলির ব্যাবহার লক্ষ করা
যায় ।
তবে প্রথমে মিশরীয়রা
একটা কাঠির ডগায় তামার
নিবের মত কিছু একটা
পরিয়ে লিখা শুরু করে । আর
প্রায় হাজার চারের বছর
আগে গ্রীসবাসীরা
রীতিমত লিখা শুরু করে
দেয় ।এদের কলম তৈরি হত
হাতির দাঁত বা এই জাতীয়
কিছু দিয়ে ।যার নাম ছিল
স্টাইলস (Stylus ) । সেজন্য
এখনও লিখার ধরন কে ”
স্টাইল ” (Style)বলা হয়ে
থাকে ।আর মধ্যযুগে
কাগজের আবিস্কারের
পরে পালকের কলম দিয়ে
লিখা প্রচলিত হয় ।
আধুনিক কলমের আবিষ্কার :
ইংল্যান্ডে ১৭৮০ সালে
নিব পরান কলমের প্রচলন
ছিল কিন্তু তার প্রায় ৫০ বছর
ধরে খুব একটা ব্যবহার হত না
। ১৮৮৪ সালে ওয়াটারম্যান
(L.E.Waterman ) আবিস্কার
করেন ফাউন্টেন পেন । তবে
এর নিব তৈরিতে প্রয়োজন
হত ১৪ ক্যারেট সোনা । আর
ডগা তৈরিতে লাগত
ইরিডিয়াম ।
এরপরে অনেক দেশও
ফাউন্টেন পেন তৈরি করা
শুরু করে । আর বিংশ
শতাব্দীতে তৈরি হয় বল
পয়েন্ট পেন বা বল পেন (Ball
point pen বা ball pen ) ।