Call
দোআ কবুল করা না করা একান্তই আল্লাহর ইচ্ছাধীন। এমনও হতে পারে আপনি যা চাচ্ছেন তা না জায়িজ তাই কবুল হচ্ছে না। বা কবুল হলে তা আপনার জন্য মঙ্গল নয়। আল্লাহর অদৃশ্য হিকমত আল্লাহই ভাল জানেন। তবে হ্যাঁ, বান্দা আল্লাহর কাছে যা দোআ করে তা দুনিয়াতে কবুল না হলেও আখিরাতে তার প্রতিদান পাবে, আর তখন বান্দা আফসোস করবে যে- হায়! যদি একটি দোআও দুনিয়াতে কবুল না হতো।
দোআর কিছু আদব আছে। সেগুলো জানাও জরুরী।

আপনি কয়েকটি অজিফা পড়তে পারেন। শুধু অজিফা না পড়ে যদি সম্ভব হয় পাঁচ ওয়াক্ত নামায তো পড়বেন সাথে তাহাজ্জুদের সময় উঠে দুরাকাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে কাঁদুন। আল্লাহ চাহে তো আপনার দোআ কবুল হবে।

“يا وهاب” ৭ বার। যে প্রত্যেহ পাঠ করবে, إن شاء الله عزوجل সে মুস্তাযাবুদ দাওয়াত হয়ে যাবে। (অর্থাৎ তার প্রত্যেক দোআ কবুল হবে)

“يا رافع” ২০ বার। যে প্রতিদিন পাঠ করবে, إن شاء الله عزوجل তার উদ্দেশ্য পূরণ হবে।

“يا سميع” ১০০ বার। যে প্রত্যেহ পাঠ করবে ও পাঠকালে কথা-বার্তা বলবেনা এবং পাঠ করে দোআ করবে,إن شاء الله عزوجل যা প্রার্থনা করবে তা পাবে।

উপরের তিনটি আমলই পাবেন এখানে, লিংকে আরো আছে। লিখাকে সংক্ষিপ্ত করতে আর দিলাম না। চাইলে আপনিই দেখে নিতে পারেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সুনির্দিষ্ট এমন কোনো আমল নেই যা করলে আপনার দুআ নিশ্চিত কবুল হবে। বরং দুআ কবুলের কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো পালন করা হলে আশা করা যায় আল্লাহ আপনার দুআ কবুল করবেন। তেমনিভাবে দুআ কবুলের কিছু পর্যায় রয়েছে। কিছু দুআ কবুল হবে। কিন্তু ফল পরাকালে পাওয়া যাবে। আবার কিছু দুআ কবুল হবে। কিন্তু সেটা বুঝা যাবে না। যেমন বড় কোনো বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকা। দুআর কারণে সে সম্ভাবনা কেটে যাওয়া।

দুআ কবুলের শর্ত সমূহ :

১. আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কাউকে না ডাকা। 

২. দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা। 

৩. দোয়ার মধ্যে পাপের কিছু না থাকা। 

৪. আল্লাহ্‌র প্রতি ভাল ধারণা নিয়ে দোয়া করা। 

৫.  দোয়াতে মনোযোগ থাকা। 

৬. খাদ্য পবিত্র (হালাল) হওয়া। 

৭. দোয়ার ক্ষেত্রে কোন সীমালঙ্ঘন না করা।

৮. ফরয আমল বাদ দিয়ে দোয়াতে মশগুল না হওয়া। 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ