শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মোবাইলে সেন্সর ১৩ প্রকার সাধারনত দেখা যায় সেগুলো হল--

  • আক্সেলেরোমিটার সেন্সর
  • জাইরোস্কপ সেন্সর
  • ম্যাগনেটোমিটার  সেন্সর
  • প্রক্সিমিটি সেন্সর
  • লাইট সেন্সর
  • ব্যারোমিটার সেন্সর
  • থার্মোমিটার সেন্সর
  • এয়ার হিউমিডিটি সেন্সর
  • প্যাডোমিটার সেন্সর
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
  • রেডিয়েশন সেন্সর
  • হার্ট রেট সেন্সর 
  •  ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর

 আক্সেলেরোমিটার>>  সেন্সরটি আপনার ফোনকে আপনি কি ভাবে ধরে রেখেছেন তার সম্পর্কে সফটওয়্যারকে বলে দেয়। যেমন ধরুন আপনার ফোনের অটো রোটেট অপশনটি যখন চালু করা থাকে তখন আপনি যখন কোন ফটো দেখেন ফোনটি স্বাভাবিক ভাবে খাঁড়া করে ধরে তখন ফটোটিও খাঁড়া হয়ে দেখা যায়, কিন্তু আপনি যখন ফোনটিকে ল্যান্ডস্কেপ করে ধরেন তখন ফটোটিও ল্যান্ডস্কেপ হয়ে যায়।


  জাইরোস্কপ>> সেন্সর এর  কাজ  এটি এক প্রকারের আক্সেলেরোমিটার। কিন্তু অনেক উন্নত আক্সেলেরোমিটার। জাইরোস্কপের সাহায্যে আপনার ফোন একদম নিখুঁত তথ্য পায়, যে আপনি ঠিক কীভাবে, কি অ্যাঙ্গেলে বা কত ডিগ্রি কোণ বাঁকিয়ে আপনার ফোনটিকে ধরে আছেন। গুগলের একটি অ্যাপ আছে ফটোসফিয়ার নামের, যার মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি ফটো নেওয়া হয়ে থাকে। তো এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি যখন ৩৬০ ডিগ্রি ফটো ক্যাপচার করেন তখন আপনার ফোন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে বিভিন্ন ফটো ক্যাপচার করে। এই অবস্থায় জাইরোস্কপের সাহায্যে ক্যামেরা জানতে পারে যে কোন ফটো কত অ্যাঙ্গেলে ক্যাপচার করা হয়েছে। এবং সেই হিসেব অনুসারে আপনার ফোনের সফটওয়্যার সেই ফটো গুলোকে একত্রিত করে একটি পুরো ৩৬০ ডিগ্রী ফটোতে রূপান্তরিত করে।


ম্যাগনেটোমিটার>> এই সেন্সরটি আপনার ফোনে কম্পাসের কাজ করে থাকে। আপনার ফোনে যদি ম্যাগনেটোমিটার না থাকে তবে ম্যাপে বা বিভিন্ন কম্পাসের অ্যাপে নর্থ ছাউত ইত্যাদি নির্দেশনা দেখতে পাবেন না। এই সেন্সরের সাহায্যে কিছু অ্যাপ মেটাল ডিটেক্টর হিসেবে কাজ করে। যেহেতু এই সেন্সরটি একটি ম্যাগনেট তাই আপনি যদি কোন ধাতব পদার্থ আপনার ফোনের কাছে নিয়ে আসেন তবে এই সেন্সর তা নির্ণয় করতে পারে। এবং এর সাহায্যে বিভিন্ন প্রকারের অ্যাপ গুলো কাজ করে থাকে।


প্রক্সিমিটি>>  সেন্সরটি আপনার ফোনের বাহিরে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। এটি আপনার ফোনের সামনের ক্যামেরা বা উপরের স্পিকারের আসেপাশে দেখাতে পাওয়া যায়। এই সেন্সরটি আপনার ফোনের স্ক্রীন থেকে আপনার দূরত্ব মাপার কাজ করে থাকে। যেমন যখন আপনি কোন কলে থাকেন এবং আপনার ফোনটি কানে রেখে কথা বলতে থাকেন তখন আপনার ফোনের স্ক্রীনের লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুটি সুবিধা হয়। এক হলো আপনার ব্যাটারি লাইফ সেভ হয় এবং দ্বিতীয়ত আপনি যখন কানে ফোন লাগিয়ে কলে থাকেন তখন জেনো আপনার চেহারা লেগে কলটি কেটে না যায় বা হোল্ড হয়ে না যায় বা যেকোনো অপশন ক্লিক হয় না যায় এর জন্য স্ক্রীনের লাইট বন্ধ হয়ে যায়।


লাইট সেন্সর>>এই সেন্সরটি কাজ করে আপনার ফোনের ব্রাইটনেস অটোমেটিক ঠিক করার জন্য। আপনি যখন আপনার ফোনকে হাতে স্বাভাবিক ভাবে ধরে রাখেন তখন লাইট সেন্সর আপনার চারপাশের বিস্তৃত আলোর মাত্রা পরিমাপ করে ফোনের সফটওয়্যারকে তথ্য প্রদান করে। এবং সেই তথ্য অনুসারে আপনার ফোনের স্ক্রীনের আলো কম বা বেশি হতে দেখা যায়।


ব্যারোমিটার>>সেন্সর বায়ুমণ্ডলের চাপকে পরিমাপ করার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই সেন্সরটির সাহায্যে আপনি জানতে পারবেন যে সমুদ্রতল হতে আপনি কতটা উচ্চতায় রয়েছেন। এই সেন্সরটি প্রধানত দুইটি কাজ করে থাকে। একটি হলো আপনার ফোনে যদি ব্যারোমিটার থাকে তবে এটি জিপিএস কে সাহায্য করে থাকে এবং আপনার লোকেশন একদম আরো সঠিক করে জানাতে পারে। 


থার্মোমিটার >> এই সেন্সরটি প্রায় সব ফোনেই লাগানো থাকে। কিন্তু ঐ থার্মোমিটার লাগানো থাকে আপনার ফোনের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা মাপার জন্য। যেমন আপনার ব্যাটারি বা সিপিইউ এর তাপমাত্রা লখ্য করে তাছাড়া আপনার ফোনের বাকী যন্ত্রাংশ গুলোর তাপমাত্রাও লখ্য করে থাকে। যাতে কখনো কিছুর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা ঠিক করার জন্য ফোনের পারফর্মেন্স স্লো করতে পারে।


এয়ার হিউমিডিটি >সেন্সরটি  স্যামসাং এর কিছু ফোনে দেখতে পাওয়া গেছিলো। এই সেন্সরটি আপনার চারপাশের পরিবেশের অবস্থা নির্ণয় করে আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে যে এই আবহাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী কি না।


প্যাডোমিটার>> এই সেন্সরটি প্রায় সব ফোনে থাকে না প্যাডোমিটারআক্সেলেরোমিটারের আরেকটি উন্নত সংস্করণ। এবং এটির মাধ্যমে আপনি নির্ণয় করতে পারবেন যে সারাদিনে আপনি কতটা পায়ে হেঁটেছেন। এই কাজটি আপনি আক্সেলেরোমিটারের সাহায্যেও করতে পারবেন, কিন্তু এটি এতটাও সঠিক হবে না। কিন্তু আপনার ফোনে যদি একটি বিশেষ প্যাডোমিটার সেন্সর থাকে তবে একদম সঠিক ভাবে আপনার হাঁটাচলা নির্ণয় করা সম্ভব, আপনাকে কোন তৃতীয়পক্ষ অ্যাপস ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না।


ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর>>এটি আপনাকে অপশন দিয়ে থাকে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে আপনার ফোনকে লক অথবা আনলক করার। তাছাড়াও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাপস পারচেজ করা ছাড়াও অনলাইন পে করার অপশন দিয়ে থাকে।


রেডিওশন সেন্সর>> এই সেন্সরটি আপনার চারপাশের পরিবেশে কতটা ক্ষতিকর রেডিয়েশনের অস্তিত্ব রয়েছে। যেমন মনে করুন আপনার ঘরে অনেক প্রকার রেডিও একটিভ ডিভাইজ রয়েছে যেমন আপনার সেলফোন সিগন্যাল, ওয়াইফাই সিগন্যাল, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি। তো এই সেন্সরটি মূলত সেই রেডিয়েশনের মাত্রা পরিমাপ করে এবং আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে এটি আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তার সম্পর্কে। যদিও এটি বর্তমানে মাত্র কিছু ফোনেই আছে।তবে,আস্তে আস্তে এটার ব্যবহার বাড়বে।


হার্ট রেট সেন্সর এবং ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর>> এই সেন্সর দুটি স্যামসাং এর গালাক্সি এবং নোট সিরিজের কিছু ফোনে দেখা গেছে। এই সেন্সরটির সাহায্যে আপনার হার্ট রেট এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা সম্ভব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ