নির্দিষ্ট উচ্চতায় নির্দিষ্ট গতিতে একটি স্যাটেলাইটকে গতিশীল করা হলে এটি আজীবন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান থাকবে। একবার এই গতি সৃষ্টি করার পর আর নতুন কোনো শক্তি তথা জ্বালানী প্রয়োজন হয়না। প্রয়োজনীয় এই গতিশক্তিকে বলা হয় অরবিটাল ভেলোসিটি, এটি নির্ণয় করা যায় নিচের সূত্র দ্বারা-
G = 6.673 x 10-11 N•m2/kg2
Mcentral = কেন্দ্রিক বস্তুর ভর
R = অরবিটালের ব্যাসার্ধ
যাই হোক, স্যাটেলাইটের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ফাংশনের জন্য বিদ্যুৎ শক্তি প্রয়োজন হয়, আর এর জন্য ব্যবহার করা হয় সৌরশক্তি।
এ ধরনের স্পেস প্রোব গুলোতে সাধারণত খুব অল্প কিছু জ্বালানী থাকে। প্রথমত উৎক্ষেপণ রকেটে করে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল উপেক্ষা করে এগুলোকে পৃথিবীর একটা কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এরপর এটি রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ওই কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। এই কক্ষপথটি ডিম্বাকৃতির হওয়ার কারণে ঘুরতে ঘুরতে এটি এক পর্যায়ে পৃথিবীর টানকে কাজে লাগিয়ে একটা মোমেন্টাম অর্জন করে। (এক পর্যায়ে এটি পৃথিবীর কাছে চলে আসে, আবার দূরে সরে যায়) এসময় এর নিজস্ব জ্বালানী ব্যবহার করে এটির কক্ষপথ আরেকটু বড় করে তোলা হয়। এটি আবার ঘুরতে থাকে। আবার জ্বালানী ব্যাবহার করে আরেকটু সরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে কয়েক দফা করতে করতে এটি এক পর্যায়ে পৃথিবীর সব আকর্ষণের বাইরে চলে যায়। এরপর এটির অবশিষ্ট জ্বালানী ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এর যাত্রার সূচনা করে দেওয়া হয়। যেহেতু এর জ্বালানী খুব অল্পই অবশিষ্ট থাকে , সেহেতু তা দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তার গতি আর কমে না। এক্ষেত্রে নিউটনের গতির ১ম সূত্র কাজে আসে। এ সূত্রানুযায়ী বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরল পথে চলতে থাকে। যেহেতু এই স্পেস প্রোবগুলোতে জ্বালানী ব্যবহার একটা গতি দিয়ে দেওয়া হয়, সেহেতু কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশের (ভ্যাকুয়াম) মধ্য দিয়ে সুষম গতিতে চলতে থাকে। আর অন্যান্য যন্ত্রপাতি চালু রাখতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে।