হ্যাঁ গাছ অক্সিজেন গ্রহন করে।
গাছও প্রানীর মত শ্বাস প্রশ্বাস করে। তবে সেটা সেটা খুব কম। গাছ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ার খাদ্য উৎপাদনের সময় উপজাত উপাদান হিসেবে অক্সিজেন O2 তৈরী করে এবং সেটা পরিবেশে ত্যাগ করে। দিনের বেলা গ্রহনের তুলনায় ত্যাগ বেশি হয় বিধায় আমরা বলি গাছ অক্সিজেন ত্যাগ করে। যেহেতু রাতে সূর্যালোক থাকে না, সুতরাং সালোকসংশ্লেন ক্রিয়া বন্ধ থাকে এবং অক্সিজেনও ত্যাগ করে না। তবে অক্সিজেন গ্রহন চলতে থাকে।
হ্যাঁ গাছ রাতের বেলা অক্সিজেন গ্রহন করে। সব ধরনের জীবে শ্বসন ক্রিয়া চলে। শ্বসন-প্রক্রিয়ায় O2 গ্যাস গৃহীত হয় এবং CO2 গ্যাস বর্জিত হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণী শ্বসন-প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত O2 গ্যাস গ্রহণ ও CO2 গ্যাস ত্যাগ করলে বায়ুমণ্ডলে O2 গ্যাসের স্বল্পতা ও CO2 গ্যাসের আধিক্য তৈরি হয়। কিন্তু সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ-প্রক্রিয়ায় O2 গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ত্যাগ করে বলে O2 ও CO2 গ্যাসের ভারসাম্য বজায় থাকে। গাছ সাধারনত অক্সিজেন ত্যাগ করে, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহন করে। কিন্তু রাতে তা ভিন্ন অর্থাত, প্রায় সব গাছই রাতে অক্সিজেন গ্রহন করে থাকে। (নিম গাছ ছাড়া)। তাই রাতে, বেশী পাতাযুক্ত গাছের (তেঁতুল গাছ) নিচে যাওয়া ঠিক না কারন ঐ সময় গাছের আশপাশের অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় ।তাই সেখানো কোন মানুষ গেলে তারও নিশ্বাস নিতে কষ্ট হবে এমনকি অজ্ঞান ও হয়ে যেতে পারে।