আমার ওজন ৫১.৭০ কিলোগ্রাম
বয়স ১৭.৫ বছর
আমি ওজন কমাতে চাই
সে জন্য আমাকে কী কী করা লাগবে
.??????
মেদ কমানো আসলে খুব কঠিন কাজ নয়। একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই তা সম্ভব। আর একমাত্র তাহলেই হওয়া যায় মনের মতো ফিগারের অধিকারী। মেদ কমাতে পানি পান করার জুড়ি নেই। যে কোনো মানুষেরই দিনে কমপক্ষে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য প্রয়োজন আরো বেশি পরিমাণ পানি পান করা। খাওয়া- দাওয়ার দিকেও খানিকটা নজর দিতে হবে। তবে তাই বলে পছন্দের খাবারগুলো সব বাদ দিতে হবে- এমন নয়। চর্বি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার কম এবংসে তুলনায় ফল এবং সবজি কিছুটা বেশিখেতে হবে।তবে মিষ্টিজাতীয় পানীয় একেবারে নয়! আপনার সকাল শুরু করুণ লেবুর শরবৎ দিয়ে ।পেটের চর্বি কমানোর জন্য এটি হচ্ছে সবচাইতে উপযোগী চিকিৎসা। কিছু পরিমাণ লেবু চিপে এর রস গ্লাসে নিয়ে তাতে সামান্য পরিমান গরম পানি ও লবন মিসিয়ে সকালে পান করুণ। এভাবে প্রতিদিন চালিয়ে যান ফলে আপনর বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং মেদ কমেতে থাকবে।
আপনি এই নিয়ম গুলো দেখেন।।
১) প্রাকৃতিক হোক কিংবা কৃত্রিম, চিনি হচ্ছে চিনি। তাই মিষ্টি জাতয় খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করুন। আগে মনে করা হতো চিনির চাইতে মধু ভালো বা মধু খেলে ওজন বাড়বে না। বিষয়টি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। মিষ্টি খাবার বেশী খেলে ওজন বাড়বেই!
২) ওজন কমানোর জন্য সব খাবারের "ফ্যাট ফ্রি" ভার্সন বেছে নিচ্ছেন? এই কাজটিও বাদ দিন। সাধারণত ফ্যাট ফ্রি খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে না, কিংবা থাকে কৃত্রিম ফ্যাট। দুটিই আপনার জন্য সমান ক্ষতিকর। বরং লো ফ্যাট খাবার বেছে নিন, কিংবা রেগুলার ফুল ফ্যাটই খান। তবে পরিমাণে কম।
৩) আগে মনে করা হতো ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন ৬ বার আহার করা উচিত, অল্প অল্প করে। এই ভাবনাটাও বাদ দিন। তখনই খাওয়ার অভ্যাস করুন যখন আপনি সত্যি সত্যি ক্ষুধার্ত।
৪) এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন যা আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখবে ও ঘন ঘন ক্ষুধা লাগতে দেবে না। এতে আজেবাজে খাবার খাওয়া রোধ হবে। যেমন প্রোটিন বা আঁশ জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। সকালের নাস্তায় ডিম খেলে দুপুরের আগে আর আপনার ক্ষুধা অনুভূত হবে না। ফলে ক্যালোরি গ্রহণ থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
৫) লবণ ছাড়া বাঙালির ভাতের পাত যেন জমেই না। তবে ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতি অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস। একই সাথে অতিরিক্ত লবণ দেয়া বাদাম, চিপস বা প্রসেসড ফুড ইত্যাদি সবই বাদ দিতে হবে।
৬) সকলেই মনে করেন যে ওজন কমানোর জন্য মুরগীর মাংস খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো। তবে সত্য এটাই যে আপনি চর্বি ফেলে দিয়ে যে কোন মাংসই খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ, পরিমাণে অল্প। আর ফার্মের মুরগীর বদলে দেশী মুরগি খেতে পারলে সেটা আরেকটু বেশী স্বাস্থ্যকর।
৭) অনেকেই মনে করেন মাখন বা ঘি বাদ দিয়ে সয়াবিন তেল খেলে তাতে বুঝি ফ্যাট কম। সত্যটা এই যে, তেল বা তেল জাতীয় খাবার কোনটাই আমাদের সজরিরের ও ওজনের জন্য ভালো নয়। মাখন হোক, ঘি বা সয়াবিন তেল ইত্যাদি যত কম খাবেন ততই ভালো। অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আরও স্বাস্থ্যকর।
৮) ভাতের বদলে রুটি খাচ্ছেন দুই বেলা, তাও কমে না ওজন? কমবেও না। ভাতের বদলে রুটি খেয়ে ভাবছেন যে অনেক কম খাওয়া হচ্ছে। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে দুটিই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। আর এই কার্বোহাইড্রেট অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়বেই। ভাত হোক বা রুটি, সবই খেতে হবে পরিমাণে খুবই পরিমিত।
৯) ওজন কমাতে চাইলে সারাদিন শুধু ফলমূল আর সবজি খেয়ে থাকতে হবে? একদম কিন্তু নয়! বরং আপনার প্রত্যেক বেলার খাবারের অর্ধেকটা রাখুন সবজি ও ফল, বাকি অর্ধেক রাখুন নিয়মিত পছন্দের খাবার। তাতেই আপনার ওজন কমবে আর ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।।।
বয়সের হিসাব করে উচ্চতা বের করা যায় না।
শরীরের তুলনায় ওজন স্বাভাবিক কি না তা
নির্ভর করে উচ্চতার উপর।
আপনার উচ্চতা যদি ৪ ফুট ১১ ইঞ্চির কম হয়
তাহলে অতিরিক্ত ওজন বলে বিবেচিত। যদি
উচ্চতা ৫ ফুট থেকে সাড়ে ৫ ফুটের মধ্য হয়
তবে আপনার ওজন স্বাভাবিক আছে।
ওজন কমানোর টিপস...............
১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
২. গ্রিন টি পান করুন
৩. প্রচুর পরিমাণে শশা খান
৪. শাকসবজি এবং ফল খান
৫. প্রচুর ঘাম ঝরান
৬. খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন:
কী খাবেন তা তো জানলেন। পাশাপাশি কী কী খাবেন না, সে দিকেও আপনাকে নজর রাখতে হবে। দুধ, মিষ্টি, অ্যালকোহল বর্জন করুন।
৭. কম খাবার খান, পানি পান করবেন বেশি করে
এতে ক্ষুদা কম অনুভব হবে।
পদ্ধতি : ২
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে লেবুর রস খুব দ্রুত শরীরের মেদ কাটতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি একদিনে ১ কেজি ওজন কমিয়ে থাকে। লেবুর রস প্রাকৃতিক অস্ত্র যা দেহের চর্বি পুড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া এটি দেহের বিষাক্ত টক্সিন দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
আপনার যা প্রয়োজন
◌ ৮ কাপ পানি
◌ ৬টি লেবুর রস
◌ ১/২ কাপ মধু
◌ ১০ টি পুদিনা পাতা
◌ কয়েকটি বরফ কুচি
মিশ্রণ প্রক্রিয়া
০১।। পানি হালকা গরম করে নিন। খুব বেশি গরম করবেন না।
০২।। পানি, লেবুর রস, মধু, পুদিনা পাতা, সব একসাথে মিশিয়ে নিন।
০৩।। এবার এটি ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।
০৪।। কয়েক ঘণ্টার পর বের করে পান করুন।
০৫।। এক কাপ পানি একটি বরফ কুচি দিবেন এর বেশি না। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা শরীরের শক্তি হ্রাস করে থাকে।
খাবার নিয়ম
• প্রতিদিন নাস্তা খাওয়ার আগে এক গ্লাস লেবুর পানি খান। সকালের নাস্তায় খাবেন সালাদ এবং ফল।
• সকাল ১১ টায় আরেক গ্লাস লেবু পানি খাবেন সাথে অল্প কিছু ভাজা বাদাম খেতে পারেন।
• দুপুরের খাবারে একটি ডিম সিদ্ধ এবং অলিভ অয়েল ও আপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে লেটুস সালাদ খাবেন।
• বিকেল ৪টায় আরেক গ্লাস লেবু পানি খান। এর সাথে আপনার পছন্দের কোন ফল খেতে পারেন।
• রাতের খাবারে এক টুকরা মাছ বা মাংস খেতে পারেন। তার সাথে সালাদ খেতে পারেন।
• রাতের খাবারের ২ ঘন্টার পর আরেক গ্লাস লেবু পানি পান করুন।
এটি ওজন কমানোর সাথে সাথে আপনার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে।
ওজন কমানোর জন্য খাদ্য তালিকা.......
* যথাসম্ভব বর্জন করুন ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, ভাজা, তৈলাক্ত খাবার, খাবারের মধ্যবর্তীকালীন খাবার।
* খাবারের শেষে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করুন বা একেবারে কমিয়ে খান।
* বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খান। বেশি মাছ খান, চামড়া ছাড়া মুরগি আর কম লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
* ডিম ভাজি বা পোচ বাদ দিয়ে সেদ্ধ ডিম খান। একটা পুরো ডিমের বদলে দুটো ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
* দুধ-চিনি ছাড়া হলে চা-কফি খেতে কোনো বাধা নেই। কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
* রান্নায় বেশি পানি ব্যবহার করুন। তেল, মসলা যতটুকু সম্ভব কমিয়ে দিন।
* রান্নায় তেল কমানোর জন্য ননস্টিক প্যান ব্যবহার করতে পারেন।
* দই, নারকেল, ঘি, ডালডা−এসব দিয়ে রান্না করবেন না। ভুনা খাবার বাদ দিন।
* সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ছয় থেকে আট গ্লাস। খাওয়ার আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন, এতে দ্রুত ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে আপনার পেট ভরার অনুভুতি আসবে।
* খাবার গেলার আগে খুব ভালো করে চিবিয়ে নিন।
* যদি সেটা সবজি না হয় তবে রান্নার সময় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। খাওয়ার সময় টিভি দেখা, খবরের কাগজ পড়া আর বন্ধু বা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে গল্প করা থেকে বিরত থাকুন।
* স্নেহবর্জিত দুধ বেছে নিন কিংবা দুধ জাল দিয়ে ঠান্ডা করার পর সর সরিয়ে নিন।
* সালাদে কোনো মাছ বা মাংসের টুকরো মেশাবেন না। বরং কিছু মসলা যোগ করতে পারেন।
* তাজা ফল খান, কাস্টার্ড বা জুস হিসেবে নয়।