একদম ভোর রাতে নয়, ফজরের নামাজ পড়ার মতো সময় হাতে রেখে গোসল করলেই যথেষ্ট।
কিন্তু তা না করলে অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত ফজরের নামাজ আদায় না করলে উভয়ই গুনাহগার হবেন। এক ওয়াক্ত নামাজ কোনো কারণ ছাড়া বাদ দিলে তার ৮০ বছর (মতান্তরে ২ কোটি বছর) জাহান্নামে কাটাতে হবে। যদিও এই শাস্তি সম্পর্কিত হাদীসটি অনেকের মতে দুর্বল, তবে এটি উপেক্ষা করাও অনুচিত।
অবশ্যই পবিত্র মনে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন।
স্ত্রী সহবাসের পর ওযু করে পবিত্র হয়ে নেয়া উচিৎ, কারণ আমরা কেউ বলতে পারিনা আমার মৃত্যু কখন এসে যায়। কাজেই একেবারব অপবিত্র অবস্থায় না থেকে ওযু করে হালকা পবিত্র হয়ে নেয়া উত্তম। যেহেতু আপনি হালাল স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করেছেন এবং তাতে কন ক্ষতি/পাপ নেই। আপনি সহবাসের পর যখন খুশি তখন গোসল করে নিতে পারেন। ওই অবস্থায় আপনি বা আপনার স্ত্রী যে কোন কাজ করতে পারবেন যেমনঃ রান্না করা, খাওয়া, বাচ্চাকাচ্চারর দেখাশুনা করা, অসুস্থদের সেবা করে, মুখস্ত কোরআন পড়া, জিকির করা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অবশ্যই নামাজ কাজা হয় এমন কাজ করা যাবেনা। নামাজের টাইম হওয়ার আগেই গোসল করে নিতে হবে। ১০ টায় গোসল করলে আপনি ইচ্ছে করেই নামাজ ছেড়ে দায়ার দায়ে দায়ী হবেন। আর ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়া শিরকের পর সবচেয়ে বড় গোনাহ (অনেক আলেমগন শিরক'ও বলেছেন)। এমনকি এটি মানুষ হত্যা, অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন, ব্যভিচার, চুরি ও মদপানের চেয়েও মারাত্মক গোনাহ। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘যে কেউ ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয় আল্লাহ পাক তার হতে তাঁর জিম্মাদায়িত্ব উঠিয়ে নেন’ (বুখারি-১৮, ইবনে মাজাহ-৪০৩৪, মুসনাদে আহমদ-২৭৩৬৪)। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ তার প্রতি বিমুখ হন! নামাজ না পড়লে দুনিয়াতেও অশান্তি শুরু হয়ে যায়