যদি কেউ স্ত্রী সহবাসের সময় নিজেকে বা স্ত্রীকে উত্তেজিত করার জন্য স্ত্রীর যৌনিতে মুখ দেয় তা হলে ইসলাম ধর্ম কি বলে? এটা কি জায়েয আছে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

স্বামী স্ত্রী একে অন্যের সম্পূর্ণ শরীরে চুমু খেতে পারবে শুধু সামনের ও পিছনের লজ্জাস্থান ব্যতিত। কেননা এটি ওলামায়ে কেরাম হারাম বলেছেন। বিবেকও সেই দিকে সায় দেয়। কেননা, ওই মুহুর্তে লজ্জা স্থানে মানেই নাপাকির উপস্থিতি। সেই নাপাকিতে ইসলাম কখনো মুখ লাগনো সমর্থন করে না, আর তা চিন্তা করাও রুচিতে বাঁধে। উত্তেজনার জন্য ব্লু ফিল্ম স্টাইল পরিহার করে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন। যেমন স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালবাসায় শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোতে জিহ্বা, মুখ ও হাত দিয়ে আদর করুন।  বিশেষ করে স্তনে, গলায়, ঠোঁটে, জিহ্বায়, গালে, বুকে, পেটে, নাভীতে। একে অন্যের লজ্জাস্থানে হাত দিয়ে নাড়া চাড়াও করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সংগম অবস্থায় স্বামী স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থানকে চোষা এবং মুখে নেওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ, এবং মাকরুহ ও গুনাহের কাজ। এটা কুকুর, গরু, বকরী ইত্যাদি প্রানীর স্বভাবের মত। তাই এ কাজ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। চিন্তা করে দেখুন যে মুখে পবিত্র কালিীমা পড়া হল, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা হয়, দরুদ শরীফ পড়া হয়, তাকে এমন নিকৃষ্ট কজে ব্যবহার করতে মন কিভাবে চায়। তাই এ কাজ মুমিনের কাজ হতে পারে না। (দেখুনঃ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ও ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়া)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মা আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেছেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি আমার লজ্জাস্থান দেখেন নি এবং আমিও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লজ্জাস্থান দেখেনি।


তাছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন লজ্জাস্থানে না তাকাতে। কেননা তাতে নাকী চোখের জ্যোতি কমে যায়।

দ্বিতীয়ত্বঃ যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটি একটি পুশুভিক্তিক আচরণ। যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটা সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারেনা। পুশুদের হাত নেই বলেই তার সঙ্গীনিকে মুখ দ্বারা উত্তেজিত করে। কিন্তু আপনার তো হাত আছে।


আপনার হাত থাকতে কেনো আপনি (পুরুষ ও নারী) কেনো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগিয়ে আপনার সঙ্গীনিকে উত্তেজিত করবেন?? আমার জানা মতে পুশুরাও তো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগায় না। তবে আপনি কেনো সৃষ্টির সেরা হয়ে যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন???

এটা তো প্রসাবের রাস্তা। আপনি কি যে পাত্রে প্রসাব করেন সে পাত্রে কি খাদ্য রেখে খাবেন??? আপনার রুচিতে হলে খেতে পারেন আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার এই কথার বিপরীতে যদি আপনি বলেন এটা (যৌনাঙ্গ) তো ধোয়া ও পরিস্কার থাকে। জবাবে আমি আপনাকে বলবো আপনি কারো বাসায় মেহমান হয়ে গেলেন। আপনার সামনে সে বাসার মালিকের ছোট্ট ছেলে ফল রাখার পাত্রেতে প্রসাব করে দিল এবং বাসার মালিক তা ধুয়ে সে পাত্রে আপনাকে ফল বা খাবার আপনি কি সে খাবার খাবেন? অবশ্য আপনার রুচিতে হলে খেতে পারেন।


আপনি তাকান তো আপনার নিজের দিকে। আপনি যখন আপনার মায়ের গর্ভে ছিলেন, তখন মহান আল্লাহ আপনার মায়ের মাসিকের রক্ত বন্ধ করে সে রক্ত দিয়ে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সে মাসিকের রক্ত কি আপনাকে মুখ দিয়ে পান করিয়েছেন না কি নাড়ী দিয়ে। মহান আল্লাহ মাসিকের রক্ত নাড়ী দিয়ে আপনার দেহ প্রবেশ করিয়ে আপনার প্রাণ রক্ষা করেছেন। কেনো করেছেন?

উত্তর হচ্ছে এই রক্ত যদি আপনার মুখ দিয়ে আপনার দেহে প্রবেশ করাতেন তাহলে আপনার মুখ টা নাপাক হয়ে যেত। তা হলে আপনি দুনিয়াতে এসে অপবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম নিতেন। আপনি যাতে পবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম জপতে পারেন সে জন্য মহান আল্লাহ এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মায়ের গর্ভে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন।

তৃতীয়তঃ যৌনাঙ্গতে মুখ লাগালে যৌনাঙ্গতে লেগে থাকা জীবাণু আপনার দেহে প্রবেশ করবে। তাতে আপনি অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাছাড়া আপনি যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন সে যদি যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তখন আপনি কি করবেন???

আপনার প্রশ্নের উত্তর : নাজায়েজ 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সহবাসের সময় নিজেকে/ স্ত্রীকে উত্তেজিত করার জন্য লজ্জাইস্থানে হাতদিয়ে মুলন যাবে মুখদিয়ে নয় এটা হারাম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
আপনি জানেন যে, লজ্জাস্থান ধৌত করতে হয় বাম হাত দিয়ে এবং ডান হাত দিয়ে ধৌত করা নিষেধ করা হয়েছে। কেননা লজ্জাস্থান একটি অপবিত্র জায়গা। তাহলে কিভাবে লজ্জাস্থানে মুখ দেয়া জায়েজ হতে পারে?
যে মুখ দিয়ে আমরা আল্লাহর পবিত্র নাম নেই, আম্মু-আব্বু কে মধুর সুরে ডাকি, সেই মুখ দিয়ে কিভাবে এই কাজ করতে পারি? 
 রাসূল সাঃ চিন্তাও পারেন নি যে, উম্মতে মুহাম্মদি ইহুদী -খ্রিষ্টানদের এই ঘৃণিত- নোংরামি  কাজগুলো মুসলমান করতে পারে। না হলে এই ব্যাপারে স্পষ্ট বিধান(কুরান -হাদিস) থাকতো। কিন্তু শরীয়তের কিছু মৌলিক বিধি -বিধান রয়েছে ;যে গুলোর মাধ্যমে বিবেচনা করে দেখতে হবে কোনটা খারাপ কোনটা ভাল।  
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ