পর্নো মুভি দেখা বাদ দিন, মেয়েদের সংগো ত্যাগ করুন, অস্লিল গান শোনা ও খারাপ বন্ধুদের সংগো ত্যাগ করুন, নিজেকে সবসময় ব্যাস্ত রাখুন, ও রাতে ঘুমাবার আগে কঠিন পরিশ্রম করুন, তেমন কাজ না থাকলে কঠিন ব্যায়াম করুন, যাতে শুবার সাথে সাথে ঘুম এসে যায়, আর উপুর হয়ে বা চিৎ হয়ে ঘুমাবেন না, কাত হয়ে ঘুমাবেন, কোনো মেয়ের ধ্যান নিয়ে ঘুমাবেন না। সাথে আল্লাহ কে সরন রাখেন ও নামাজ কালাম পড়েন ইংশা আল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
হস্তমৈথুন ছাড়ার টিপস :
– কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন,
সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে
যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত
কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে
সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে
যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে
পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ
হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ
পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার
সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন
এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের
হয়ে আসুন।
– মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না।
তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র
করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে
করবেন।
– যতটা সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন।
– ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে
মুক্তি পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে
ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই
বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে।
তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা
করে যান।
– যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে
চলুন।
– কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন
করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে
অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে
পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।
– যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত
করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো
থেকে দূরে থাকুন। যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন
থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ
মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি
নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন।
হার্ডড্রাইভ বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে
দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে্র
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট
ব্লক করে দিন। কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি
গার্বেজ করে দিন।
– হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না।
নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন।
ঘনঘন নয়।
– যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা
পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে,
তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
– হস্তমৈথুনে চরমভাবে এডিক্টেড হলে
কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন,
বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন,
সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে
ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে
পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে
পারেন।
– সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না
থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।
– ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের
কথা ভুলিয়ে দেবে।
– সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে
চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন
না।
– ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম
টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না
করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
– যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে
অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।
– বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস
থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের
হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।
– যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই
অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
– বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময়
কাটান।
– ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ
ব্যায়াম করতে পারেন।
– নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার
সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।
– ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন
– অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের
বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার
করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো
জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা
করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন
বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়।
এখানে লজ্জার কিছু নাই।
– উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
– বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার
খাবেন না।
– গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে
শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাপ করবেন না।
@সর্বোপরি ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করুন।
পরিশেষে আল্লাহ তাআলার দরবারে এই দোয়া করি আল্লাহ তাআলা যেন এই ধ্বংসাত্মক বদ অভ্যাস থেকে আপনাকে সহ সকল যুবকদের হেফাজত করেন।
"নিশ্চয় নামাজ মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে"(আল কোরআন) আপনি যদী নিয়মিত নামাজ পড়েন তবে আপনি এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে পারবেন। এছাড়াও কিছু পরামর্শ আছে সেগুলো হল,, রাতে একা না থাকা, মোবাইলে খারাপ কিছু না রাখা, সবসময় নিজেকে কোন কাজে ব্যস্ত রাখা, সবসময় পাক পবিত্র থাকার অভ্যাস করা, দৃড় সংকল্প গ্রহণ,ইত্যাদি। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারি।