শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
tusarmia80

Call

তোতলামি সারানোর একমাত্র চিকিৎসা “থেরাপি”। সঠিক সময়ে থেরাপির মাধ্যমে একজন অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট সম্পূর্ণভাবে তোতলামো সারিয়ে তুলতে পারেন। থেরাপির তিনটি ভাগ রয়েছে— ইন্ডিভিজুয়াল থেরাপি, গ্রুপ থেরাপি এবং কাউন্সেলিং থেরাপি । প্রথম দুটি স্পিচ থেরাপির অংশ।

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

তোতলামির সর্বোত্তম চিকিৎসা হলো,

স্পিচ থেরাপি। এটির মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হতে পারে।

স্পিচ থেরাপি হচ্ছে ভালো করে মুখের উচ্ছারণ বা কথাবার্তা বলতে পারেন না তাদের জন্য। যারা কথা বলতে তোতলায়, শব্দ সঠিক না, মুখের শব্দ স্পষ্ট না তাদের জন্য স্পিচ থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। আগ্রহীদের অনুরোধ করব আরও বিশদ জানতে স্পিচ থেরাপি সম্পর্কে গভীর অধ্যয়ন করতে। আমরা জানি মস্তিষ্কই আমাদের সকল কাজের, সকল বুদ্ধি-বৃত্তির উৎস। এখানে দর্শন, শ্রবণ, বাক, ঘ্রাণ সব কাজেই নিজ নিজ কুঠুরী আছে এবং সেখানে সংবাদ আনা-নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নায়ু আছে। যদি কোনো কারণে এগুলি নষ্ট হয়ে যায়, বা অপুষ্টি জনিত কারণ ঘটে বা সঠিক রক্ত চলাচল ব্যাঘাত ঘটে তখন তৎসংলগ্ন উপসর্গ গুলি রোগ আকারে দেখা দেয়। যেমন- স্ট্রোকের ফলে বা জন্মগত কারণে আমাদের বাক পদ্ধতি নষ্ট হতে পারে। বাক পদ্ধতি নষ্ট হওয়া বলতে কথা বলার আড়ষ্টতা, জড়তা, উচ্ছারণের অস্পষ্টতা ইত্যাদি বুঝায়। এ ধরনের উপসর্গগুলি কিশেষ কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে নিরাময় করা সম্ভব। যেহেতু কথা বলার প্রধার অঙ্গ জিহবা, ফলে জিহবার নানা রকম কৃৎ কৌশল স্পিচ থেরাপির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। প্রয়োজনে একজন ফিজিও-থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়ে জিহবাকে নানাভাবে ব্যায়াম করিয়ে বাক পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা যায়।

ব্যায়াম সমূহ : এমন কিছু থেরাপিউটিক এক্সাসাইজ আছে যেগুলো করলে আপনি আপনার স্পিচ ঠিক করতে সফল হবেন।

#জিহবা বের করে যতদূর সম্ভব চিবুকের দিকে নামান। চিবুক স্পর্শ করলে ভালো, না হলে ঐ অবস্থানে কিছুক্ষণ থেকে জিহবা মুখের ভেতর প্রবেশ করান। এভাবে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে ১০-১২ বার করার চেষ্টা করুন।

# জিহবা বের করে উপরের দিকে (নাকের ডগার দিকে) তুলুন। কিছুক্ষণ থেকে জিহবা ভিতরে প্রবেশ করান, বিশ্রাম নিন এবং আবার করুন। এভাবে ১০-১২ বার করে করশুন।

#জিহবা বের করে ঠোঁটের দুপাশে যতটা দ্রুত সম্ভব নাড়াতে হবে অর্থাৎ একবার ডানপাশ ও একবার বাম পাশে নাড়াতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ করে বিশ্রাম নিন এবং আবার করুন।

#জিহবা সোজা বের করে কিছুক্ষণ টান করে রাখুন। ভেতরে প্রবেশ করান, বিশ্রাম নিন এবং আবার একইভাবে করুন।

#জিহবা একবার বের করা ও প্রবেশ করানো- এভাবে দ্রুত করুন। ১০ বার বা সাধ্যমত করুন।#জিহবা বের করে ঠোঁটের উপর-নিচে ঘড়ির মতো করে ঘুরান।

বর্ণমালা ক, ল, স, শ, ষ, দ, ব, চ, ণ বর্ণগুলো বার বার উচ্চারণ করতে হবে। এই বর্ণগুলি দিয়ে গঠিত (প্রথম অক্ষর, যেমন- কলেবর, দুধ, কখন, নিমাইবাবু, নুন আনেন) শব্দগুলো বিভিন্নভাবে বলুন জোরে জোরে।

#কবিতার বই থেকে জোরে জোরে আবৃত্তি অভ্যাস করুন, এটি বাক জড়তা কাটানোর জন্য ভালো একটি পন্থা।

#কথা বলার সময় ধীরে লয়ে কথা বলুন। অচেনা ব্যক্তি বা পরিবেশে কথা বলার সময় নিজের অক্ষমতা যেন প্রকাশ না পায় এবং নিজেকে কখনো দূর্বল বা খাটো ভাববেন না।

#আয়নার সমানে দাঁড়িয়ে বা কোনো বন্ধুর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে তাৎক্ষণিক কথোপকথন করুন। এতে কথা বলার স্বাধীনতা বাড়বে, শব্দ চয়ন বাড়বে এবং আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে এত নিবিষ্ট হয়ে পড়বেন যেন আপনি ভুলেই যাবেন যে আপনি তোতলা বা আপনার কথা জড়িয়ে যায় বা উচ্চারণ ঠিক হয় না।

কয়েকটি ইংরেজি বর্ণমালা A, E, U, Y, I, O উচ্চারণ করুন জোরে জোরে উচ্চারণ করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ