পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়। ওমর (রাঃ) নিজ কন্যা হাফছাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে সে সময়ে মুজাহিদদের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাস বাইরে থাকার ব্যাপারে সময় নির্ধারণ করেছিলেন (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১২৫৯৪)।
মতিউর রহমান মাদানী তাঁর ব্যক্তিগত একটা অভিমত ব্যক্ত করেছেন তবে বিচ্ছিন্ন দুই-একটা লাইন দিয়ে কারো সম্পুর্ন বক্তব্য যাচাই করা যায় না।
দেশে কাজ কর্মের যথেষ্ট স্বল্পতা আর সামাজিক নিরাপত্তার অভাবের কারনে মানুষ জীবিকার সন্ধানে পরিবার-পরিজন ছেড়ে বাধ্য হয়ে দীর্ঘ সময় বিদেশে থাকে।
পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়। ওমর (রাঃ) নিজ কন্যা হাফছাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে সে সময়ে মুজাহিদদের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাস বাইরে থাকার ব্যাপারে সময় নির্ধারণ করেছিলেন (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১২৫৯৪)।
ওমর (রাঃ) তাঁর মেয়ে হাফসা কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এক জন নারী তার স্বামী ছাড়া কতদিন থাকতে পারে? তিনি উত্তর দিয়ে ছিলেন ছয় মাস বা চার মাস। তারপর থেকে তিনি কোন সৈনিককে ছয় মাসের বেশি বাহিরে থাকতে দিতেন না (মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বায়হাক্বী ১৪/২৪৯)। এ থেকে বুঝা যায় যে বিশেষ প্রয়োজনে ৬ মাস স্ত্রী ছাড়া থাকা যায়। এর চেয়ে বেশি থাকলে স্ত্রীর সম্মতির প্রয়োজন আছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে তোমাদের উপর তোমাদের নফসের হক্ব আছে তোমাদের স্ত্রীর হক্ব আছে, তোমরা সবার হক্ব আদায় করবে (বুখারী হা/৬১৩৯)। তাই একান্ত অসুবিধায় না পড়লে স্ত্রী ও সন্তানদের দেখাশোনা করার যে দায়িত্ব প্রত্যেক স্বামীর রয়েছে তা পালনার্থে সকলকে নিয়ে একত্রে বসাবস করাই উত্তম।