কুরআনের ভাষ্যমতে ঋণের লেনদেন করলে লিখে রাখতে হয়। কার কাছ থেকে কত টাকা নেয়া হলো ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলো লিখে রাখা চাই। তবে কোনো কারণে যদি ঋণদাতাকে না পাওয়া যায় তাহলে যথাসাধ্য তার অনুসন্ধান করতে হবে। তাকে না পেলে তার উত্তরসূরীদেরকে দিতে হবে। অনুসন্ধান করতে করতে যদি প্রবল ধারণা হয় যে তাকে কিংবা তার কোনো উত্তরসূরীকে আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় তাহলে তার নামে জাকাতের উপযুক্ত দরিদ্রদের সে টাকা দান করে দিবেন। আপনি নিজে উপযুক্ত হলে ব্যয় করতে পারবেন। তবে কোনো দিন যদি তার সন্ধান মিলে তাহলে তাকে টাকা দানের কথা বলতে হবে। যদি সে এ দানকে মেনে নেয় তাহলে ভাল কথা। নতুবা তাকে সে টাকা ফেরত দিতে হবে।
লোকটিকে কিংবা তার ওয়ারিসদেরকে কিংবা তার নিকটাত্মীয়কে খুঁজে বের করার সংশয় দূর হওয়া পর্যন্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরেও যদি কাউকে না পাওয়া যায় তাহলে লোকটির তরফ থেকে টাকাগুলো গরীব-দুঃখীকে সাদাকাহ করে দিবেন। এতিমখানায় দান করলেও অসুবিধা নেই। আর যদি আপনি সাদাকাহ গ্রহণের উপযুক্ত হন তাহলে আপনিও উক্ত টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরতবর্তীতে মালিক এসে দাবি করলে তাকে উক্ত টাকা ফেরত দিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি- ২/২৯৯-৩০০, আল-মুহিতে বুরহানি- ৮/৮৬৬, ফাতাওয়ায়ে সিরাজিয়া- ২৪১)
সুত্রঃ http://quranerjyoti.com